Adsense সম্পর্কে প্রয়োজনীয় 50 টি প্রশ্নের উত্তর - এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে হলে জানতেই হবে।
আমরা যারা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সঙ্গে কমবেশি যুক্ত তারা সবাই Adsense / এডসেন্স সম্পর্কে কমবেশি অনেক তথ্য জানি। সাধারণত এডসেন্স থেকে আমরা ইউটিউব বা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করে থাকি।
কিন্তু এই এডসেন্স সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত এমন কিছু বিষয় যা আমরা জানি না।এই কারণে যখন আমরা আমাদের ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইটকে টাকা ইনকাম করার জন্য মনিটাইজ করতে যাই তখন নানান রকম সমস্যা দেখা দেয়।
এডসেন্স এর কিছু নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম পলিসি আছে,তাই যদি আমরা এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই বা এডসেন্স এর মাধ্যমে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইটকে মনিটাইজ করতে চাই তবে অবশ্যই আমাদের এডসেন্সের এই প্রোগ্রাম পলিসি গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
আমরা যখন আমাদের ওয়েবসাইটকে এডসেন্স এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই তখন প্রায়ই দেখি তা এপ্রুভ হয় না বরং দেখায় ইউ হ্যাভ সাম ইস্যু।অর্থাৎ আমাদের কিছু সমস্যা থাকে আমাদের ওয়েবসাইটে সেগুলো আবার ঠিক করে আমাদেরকে এপ্লাই করতে বলা হয়।
এডসেন্স এর সকল প্রোগ্রাম ও পলিসি গুলি সম্পর্কে যদি আমাদের সমস্ত ধারণা থাকে তবে আমরা খুব সহজেই এডসেন্স থেকে আমাদের ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলের জন্য মনিটাইজ একবারই করতে পারব।
যখন আমরা এডসেন্স নিয়ে কোন সমস্যায় পড়ি তখন গুগলে গিয়ে সেই সমস্যা সম্পর্কে সার্চ করি। কখনো আমাদের সমস্যা সম্পর্কে আমরা সচেতন হই ও তার সমাধান করতে পারি কিন্তু কখনো আমাদের সমস্যার নির্দিষ্ট উত্তরটি আমরা জানতে পারিনা আর সমাধান করতে পারিনা।
এই কারণে এডসেন্স সম্পর্কিত এমন 50 টি বিষয় যা সব সময় গুগলে সার্চ করে খোঁজা হয় এমন বিষয় গুলি আমি এখানে আলোচনা করব যাতে শুধুমাত্র বাংলা ভাষাতেই আপনারা এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেয়ে যান ও সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে পারেন। তাহলে চলুন প্রথমে আমরা এই 50 টি প্রশ্ন সম্পর্কে জেনে নিন যে কোন কোন প্রশ্ন গুলি সম্পর্কে আমি এখানে আলোচনা করব।
এডসেন্স সম্পর্কে প্রয়োজনীয় 50 টি প্রশ্ন
- এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করার আগে প্রথমে কি করতে হবে ?
- এডসেন্সে এপ্লাই করতে গেলে কোন ভাষা নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে ?
- ওয়েবসাইটের জন্যে এপ্লাই করতে হলে কতগুলি পোস্ট ও ভিজিটর থাকতে হবে ?
- এডসেন্সে এপ্লাই করতে গেলে কি কাস্টম ডোমেইন এর প্রয়োজন আছে ?
- আমাদের ওয়েবসাইটে অ্যাড ব্লক (Ads Blank) কেন আসে ?
- ব্লগার এ পোস্ট এর মধ্যে কিভাবে অ্যাড লাগাতে হয় ?
- 1000 ভিউতে এডসেন্স থেকে কত টাকা ইনকাম হয় ?
- গুগল এডসেন্স ব্যবহার করলে কি সুবিধা পাওয়া যায় ?
- একটি পেজে এডসেন্সের কতগুলি Ads ব্যবহার করা যায় ?
- এডসেন্স এর floting অ্যাড কি ব্যবহার করা যায় ?
- এডসেন্সের Ads এ Synchronous এবং Asynchronous ads কি ?
- কোন প্রকার Ads (Synchronous এবং Asynchronous) ব্যবহার করতে হয় ?
- লো সিপিসি (CPC) যুক্ত এড বন্ধ করলে কি ইনকাম বাড়ে ?
- এডসেন্স এর ইনকাম কিভাবে বাড়ানো যায় ?
- এডসেন্স থেকে কত টাকা ইনকাম করা যেতে পারে ?
- এডসেন্স এর ক্ষেত্রে কত শতাংশ CTR ঠিক থাকে ?
- অ্যাডসেন্সে Block URL কে কিভাবে Unblock করে ?
- একটি ওয়েবসাইটে কি একাধিক এডসেন্স ব্যবহার করা যায় ?
- এডসেন্স এর সঙ্গে অন্যকোন অ্যাড কি ব্যবহার করা যায় ?
- অ্যাডসেন্সে কত টাকা হলে তা ব্যাংকে তোলা যায় ?
- এডসেন্স এর সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় কি ?
- যদি এডসেন্সের পলিসি না মানা হয় তবে কতদিনের জন্য অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয় ?
- একটি এডসেন্স একাউন্ট কে কি আলাদা আলাদা ওয়েবসাইট বা ব্লগে ব্যবহার করা যায় ?
- এডসেন্সের সিপিসি ( CPC) কিভাবে বাড়ানো যায় ?
- এডসেন্স পেমেন্ট কবে Send করে, এবং কবে তা ব্যাংকে অ্যাড হয় ?
- এডসেন্স একাউন্ট কিভাবে ভেরিফাই করতে হয় এবং পিন কবে আসে ?
- এডসেন্স এর পিন না আসলে কি করতে হয় ?
- অ্যাডসেন্সে কি অ্যাড ভিউ এবং পেজভিউ আলাদা হয় ?
- অ্যাডসেন্সে কি একজন ব্যক্তির দুটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে ?
- ব্লগার এর ফ্রি ডমিন এর সঙ্গে কি অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়া যায় ?
- হোস্টেড ও নন হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট কি ?
- অ্যাডসেন্সে পেজ লেভেল অ্যাড কি ?
- অ্যাডসেন্সে এস্টিমেটিং এবং ফাইনাল আর্নিং কি ?
- ইউটিউব এর ইনকাম অ্যাডসেন্সে কবে যুক্ত হয় ?
- এডসেন্সের এড এ কি নিজে ক্লিক করা যায় ?
- অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ কিভাবে করতে হয় ?
- এডসেন্সের ট্রাম অ্যান্ড কন্ডিশন / প্রাইভেসি পলিসি কি ?
- গুগল এডসেন্সের এড পলিসি কি ?
- ইউটিউব চ্যানেলের এডসেন্স এর সঙ্গে ওয়েবসাইট কি যুক্ত করা যায় ?
- এডসেন্স ইনভেলিড ক্লিক থেকে কিভাবে বাঁচাতে হয় ?
- এডসেন্স এর অ্যাড PTC ওয়েব সাইটে কি ব্যবহার করা যায় ?
- ওয়েবসাইটের স্পিড কম হলে কি এডসেন্স থেকে কম ইনকাম হয় ?
- গুগোল অ্যাডসেন্সে টিম এর সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ করতে হয় ?
- গুগল এডসেন্স একাউন্ট ডিজেবল হলে কি করতে হবে ?
- কখন এডসেন্সের পেমেন্ট দেরি হয় ?
- এডসেন্সের এড লিমিট কি ?
- এডসেন্সের এড লিমিট কিভাবে ঠিক করতে হয় ?
- যদি এডসেন্স একাউন্টে ইনকাম না হয় তবে কি বন্ধ হয়ে যায় ?
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে কখন ইনকাম করা যায় ?
উপরের এই 50 টি প্রশ্ন সম্পর্কে যে সকল উত্তর আমি দেব তার বেশিরভাগই আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে।আশা করি আমার এই অভিজ্ঞতা আপনাদের অবশ্যই কাজে লাগবে এবং যে প্রশ্নগুলি উত্তর আমি জানিনা সেগুলির উত্তর আমি গুগল এডসেন্স ফোরাম থেকে নিয়ে এখানে তা আপনাদের দিলাম।
এডসেন্স এপ্লাই করার আগে কি করতে হবে ?
যদি আপনার এডসেন্স এর জন্য আবেদন বা এপ্লাই করতে হয় তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এক্ষেত্রে আপনি কোন রকম তাড়াহুড়ো করবেন না আপনার সাইট বা ব্লগ কে যথাযথভাবে তৈরি করার পর আপনি এপ্লাই করবেন। কিভাবে এডসেন্স এপ্লাই করে তারা তাড়াতাড়ি অ্যাপ্রভাল নিতে হয় জানার জন্য এখানে ক্লিক করতে পারেন।
অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে গেলে কোন ভাষা নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে ?
এডসেন্স প্রথমে শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষাকে সাপোর্ট করত তারপর ধীরে ধীরে যত ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়তে চলেছে ততো বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা গুলি অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পেতে শুরু করেছে।
ইংরেজি ভাষার পর হিন্দি এমন কি হিংলিশ ( kaise adwense apply kare ?) ভাষা টিও এডসেন্স সাপোর্ট করতে শুরু করেছে।এছাড়াও 2018 সাল থেকে আমাদের প্রিয় বাংলা ভাষাটি ও গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে বাংলাতেও ব্লগ তৈরী করতে পারেন। এছাড়াও হিংলিষ বা ইংরেজি ও হিন্দিতে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে গেলে কতগুলি পোস্ট ও কত ভিজিটর প্রয়োজন ?
যদিও গুগোল ওয়েবসাইট অ্যাপ্রভাল এর জন্য এ বিষয়ে কোন কিছু পরিষ্কার করে আমাদের জানায়নি যে একটি ওয়েবসাইট অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেতে গেলে ন্যূনতম কত গুলি পোস্ট এবং কতগুলি ভিজিটর প্রয়োজন আছে।
এখানে আমি আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ন্যূনতম 15 থেকে 17 টি পোষ্ট and এক থেকে দেড় হাজার শব্দের সংখ্যায় লিখে থাকেন তবে আপনি এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি কোন ভুল না থাকে তবে অবশ্যই আপনি অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভাল পেয়ে যাবেন।
এবার বলি যে কতগুলি ভিজিটর প্রয়োজন,আসলে গুগল থেকে এরকম কোনো নির্দেশ নেই যে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য নূন্যতম কতগুলি ভিজিটর হলে তা অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাবে।এবং আমি আমার ব্যক্তিগত মতামত থেকে বলছি আপনার ওয়েবসাইটে যদি একটি ভিজিটরও না থাকে তবুও আপনি অন্য শর্তগুলি যদি পূরণ করেন তবে অবশ্যই আসছে যা প্রমাণ পেয়ে যাবেন।
অর্থাৎ অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটে কোনরকম ভিজিটর না থাকলেও আপনি অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পেয়ে যাবেন।কিন্তু আপনার কমপক্ষে 15 থেকে 17 টি এক থেকে দেড় হাজার শব্দ সংখ্যা বিশিষ্ট পোস্ট থাকতে হবে।
এডসেন্সের জন্য কি কাস্টম ডোমেইন প্রয়োজন ?
আপনি নিশ্চয়ই একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট একটি ব্রান্ডিং এর জন্য তৈরি করবেন সুতরাং আপনাকে অবশ্যই একটি কাস্টম ডোমেইন প্রয়োজন, যদিও এটি আমার মতামত।যদি আপনার ওয়েবসাইটে একটি কাস্টম ডোমেইন থাকে তবে আপনার অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল এর সুযোগ বেশি থাকবে।
তবে এমন নয় যে কাস্টম ডোমেইন না হলে আপনার ওয়েবসাইট অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাবেনা। এমন অনেক ব্লগ সাইট আছে যেখানে কোন কাস্টম রমের নেই তারা blogspot.com ওয়েবসাইট তৈরি করেছে সেগুলো থেকেও যথেষ্ট পরিমাণ অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল নিয়ে টাকা ইনকাম হচ্ছে।
সুতরাং বলতেই পারি যে এডসেন্সের জন্য বাধ্যতামূলক একটি কাস্টম ডোমেন প্রয়োজন নেই কিন্তু একটি কাস্টম ডোমেন থাকলে তা অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পেতে পেতে বেশি সাহায্য করে। তো অবশ্যই আপনি একটি কাস্টম ডোমেইন কিনে তা ব্লগ সাইটে ব্যবহার করবেন।
ওয়েবসাইটে Ads Blank কেন হয় ?
অ্যাডসেন্সে ads blank হল একটি সাময়িক সমস্যা। এডসেন্স থেকে যখন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের অ্যাপ্রভাল নি তখন দুইভাবে এটি কাজ করে।প্রথমত যখন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটটিকে অ্যাপ্রভাল এর জন্য অ্যাডসেন্সে আবেদন করি তখন এটি ম্যানুয়ালি চেক হয় তা অ্যাপ্রভাল।
তারপর অ্যাপ্রভাল হয়ে যাওয়ার পর আমাদের নিজে এডসেন্স থেকে এড কোড তৈরি করে তা আমাদের ওয়েব সাইটে বসাতে হয়। এই এড কোড গুলি paste korar সঙ্গে সঙ্গে তা দেখাতে শুরু করে না। একেই অসলে এডস ব্ল্যাংক / ads blank বলে।
এই ads ব্লাঙ্ক কমপক্ষে 10 মিনিট সময় লাগে সরে যেতে কখনো কখনো এটি প্রায় এক মাস সময় লেগে যেতে পারে। কারণ অ্যাডসেন্সে টিম আপনার ওয়েবসাইটের এড কোড গুলি কে আবার ভালোভাবে চেক করে তা অনুমোদন দেয়।
ব্লগারে পোষ্ট এর মধ্যে কিভাবে অ্যাড বসাতে হয় ?
অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাওয়ার পর প্রত্যেকটি পোষ্টের মধ্যে এড কোড লাগাতে গেলে সেই পোস্টটি ওপেন করতে হয়। পোষ্ট ওপেন করার পর এক দিকে থাকে কম্পোজ অন্যদিকে থাকে HTML / এইচটিএমএল। এই HTML / এইচটিএমএল এ ক্লিক করে তারপর যেখানে যেখানে লাগানো প্রয়োজন সেখানে লাগাতে হয়।
তবে সুন্দরভাবে এড কোড বসাতে গেলে অবশ্যই একটু HTML সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন, তানাহলে একটি ads code / এড কোড কখনও কখনও একটি প্যারাগ্রাফ এর মধ্যে বসে যেতে পারে যা ভিজিটরদের জন্য খুব অস্বস্তি মূলক।
সুতরাং কমবেশি একটু নিজের টেস্ট করে তারপর এড কোড গুলি পোষ্টের মধ্যে বসানো ভালো এতে যে সমস্ত দর্শক আমাদের ওয়েবসাইটে পোস্ট গুলি পড়তে আসবে তাদের কোনো সমস্যা হবে না।
ওয়েবসাইটে 1000 ভিউতে কত টাকা দেয় ?
যদিও এডসেন্স আমাদের টাকা দিয়ে থাকে কি ওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে।অর্থাৎ কি পরিমান মূল্যবান কিওয়ার্ড আমাদের পোস্টে ব্যবহার করা আছে তার উপর নির্ভর করে এডসেন্স আমাদের পোস্টে এড দেয়।
একজন ভিজিটর যখন একটি উন্নত মানের কিওয়ার্ড কে সার্চ করে আমাদের ওয়েবসাইট পর্যন্ত পৌঁছায় তখন এডসেন্স থেকে দামি দেখানো হয় এবং তখন এই এডে ক্লিক হলে আমাদের বেশি পরিমাণ ইনকাম হয়।
বিশেষত আমাদের বাংলা ওয়েবসাইটগুলির ক্ষেত্রে মোটামুটি ধারণা দেওয়া যায় যে প্রতি ক্লিকে এডসেন্স থেকে আমাদের ০.০২ থেকে ০.১০ সেন্ট (ডলার) ইনকাম হয়ে থাকে।
এই হিসেবে যদি 1000 ভিউতে মোটামুটি আমাদের 40 টি ক্লিক হয় তবে তা থেকে এক থেকে চার ডলার পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে। যদিও এটি অনুমানযোগ্য তবুও মোটামুটি এরকমই ইনকাম হয়ে থাকে। এরপর নির্ভর করে যে আপনার ওয়েবসাইটটি কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করছে। কিছু কিছু নির্দিষ্ট কিবোর্ড এর উপর এডসেন্স বেশি পরিমাণে টাকা দিয়ে থাকে। যেমন ইন্সুরেন্স, টেকনোলজি, অনলাইন ইনকাম ইত্যাদি।
গুগল এডসেন্স এর সুবিধা কি ?
গুগল এডসেন্স আসলে একটি গুগল এর প্রোডাক্ট যা Ads and আমাদের ওয়েবসাইটের মধ্যে যুক্ত হয়ে কাজ করে। যখন আমরা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার কথা মনে করি তখন যতগুলি সোর্স থাকে তাদের মধ্যে সবথেকে উপরে গুগল এডসেন্স।
কারণ এই গুগল এডসেন্স হলো একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান যা থেকে মানুষ খুব সুরক্ষিতভাবে টাকা ইনকাম করতে পারে। আর এই গুগল এডসেন্স আমাদের ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার সুযোগ করে দেয়।
আমরা যদি খুব সহজে গুগল এডসেন্স এর বিভিন্ন পলিসি গুলি মেনে চলি তবে খুব ভালোভাবে আমরা এডসেন্স থেকে আমাদের ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারব এই কারণে আমরা গুগল এডসেন্স ব্যবহার করি।
একটি পেজে কতগুলি এডসেন্স এড ব্যবহার করা যেতে পারে ?
একটি পেজে আপনি কতগুলি এডসেন্সের এড বসাবেন তা প্রকৃত ভাবে আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি আপনার ইচ্ছা মত আপনার একটি পেজের উপরে এডসেন্সের এড বসাতে পারেন।
তবে এডসেন্সের এড বসাতে গেলে অবশ্যই আগে ভাবতে হবে যে আপনার যে পেজ সেই পেজটি কত বড় ভাবে লেখা আছে।আপনার পেজটি যদি বেশি বড় না হয় এবং সেখানে যদি অতিরিক্ত মাত্রায় এড বসিয়ে দেন তবে তা ভিজিটররা গ্রহণ করে না।
এই কারণে বসানোর সুযোগ থাকলেও বেশি পরিমাণ এর একটি পেজে বসানো উচিত নয় এতে আপনার পেজ এর স্পিড অনেক কমে যায় যা গুগোল রেংকিং এর ক্ষেত্রে পিছনে ফেলে দেয়।
যদিও গুগল অ্যাডসেন্স এখন ওয়েবসাইটের জন্য auto ads / অটো এডস নামে একটি সার্ভিস চালু করেছে যার মাধ্যমে অটোমেটিকভাবে গুগোল আপনার পেজে এড দেবে সেখানে আপনার নিজের কোন এড বসানোর প্রয়োজন হবে না।
গুগলের মত অনুযায়ী তারা প্রথমে আপনার পেজটিকে অপটিমাইজ করে যতগুলি অ্যাড ব্যবহার করা উচিত ততগুলি উপযুক্ত স্থানে অ্যাড দেবে যা সিটিআর বাড়াতে সাহায্য করে ও আপনার ইনকাম বাড়বে।
এডসেন্সের Floting এড কি ব্যবহার করা যায় ?
এডসেন্সের ফ্লোটিং অ্যাড ব্যবহার করা যায় না কারণ এটি গুগোল এর প্রোগ্রাম পলিসির বিরোধিতা করে।
যদি আপনি কখনো আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এর ফ্লোটিং এড ব্যবহার করেন তবে তবে আপনার এডসেন্স একাউন্ট ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।
সুতরাং যে সমস্ত বিষয়গুলি গুগল এডসেন্স তার পলিসি ভায়োলেশন বলে মনে করে সেগুলি কখনোই করা উচিত নয় এতে একাউন্ট ব্লক হয়ে যেতে পারে।
এডসেন্সের Ads এ Synchronous এবং Asynchronous ads কি ?
এই দুই প্রকার এড আলাদা আলাদা অ্যাড। গুগল এডসেন্স এই দুটিকে আমাদের জন্য আলাদা করে তৈরি করেছেন প্রথমটি যখন আমরা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করি তখন ওয়েবসাইট খোলার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি একবার এই লোড হয় না একটির পর একটি লোড হতে থাকে।
অর্থাৎ প্রথম একটি লোড হবে সেটি সম্পূর্ণ লোড হওয়ার পর দ্বিতীয় টি লোড হবে এবং দ্বিতীয় টি সম্পন্ন হওয়ার পর তৃতীয় টি লোড হবে। গুগল এডসেন্স একে Synchronous ads বলেছে।
আবার এমন এক শ্রেণীর অ্যাড সিস্টেম আছে যা প্রথমটির মত পরপর লোড না হয় তা একসঙ্গে লোড হয়। ওকে গুগল Asynchronous ads বলেছে।
এডসেন্সের Synchronous এবং Asynchronous কোনটি ব্যবহার করব ?
এই দুটি এড এর মধ্যে আমি অবশ্যই Asynchronous ads ব্যবহারের কথা বলব। কেননা এই ধরনের এড একবারে সব গুলি লোড হয় আমাদের ওয়েবসাইটে।
ওয়েবসাইটের স্পিড আমাদের র্যাঙ্কিংয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই কারণে Asynchronous অ্যাড ব্যবহার করলে তা খুব তাড়াতাড়ি লোড হয়।
Low CPC যুক্ত এড বন্ধ করলে ইনকাম বাড়ে ?
যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ইনকাম বাড়াতে চান তবে অবশ্যই আপনি আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাড সেকশন থেকে Low CPC যুক্ত অ্যাড গুলোকে সরিয়ে দিতে পারেন।
তবে একটি কথা মনে রাখবেন যদিও লো সিপিসি যুক্ত অ্যাপগুলি আমরা সরালে তা থেকে ইনকাম বাড়বে তার মানে কখনো এমন নয় যে আপনার ইনকাম কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
বরং low CPC যুক্ত এড গুলো বন্ধ করলে আপনার ওয়েবসাইটে কম পরিমাণে অ্যাড লোড হতে পারে। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ ads গুলি low CPC যুক্ত হয় এই কারণে বেশি পরিমাণ cpc যুক্ত ads আমাদের দেশে খুব কম ব্যবহার হয়।
এই কারণে যদি আপনি ওয়েবসাইটে হাই সিপিসি অ্যাড গুলি ব্যবহার করেন তবে কখনো কখনো ওয়েবসাইটের ইনকাম না পেরে কমে যেতে পারে কারণ তা আপনার বিষয়ে সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নাও হতে পারে।
এডসেন্স এর ইনকাম কিভাবে বাড়ানো যায় ?
এডসেন্স এর ইনকাম নির্ভর করে আপনার কনটেন্টের উপর অর্থাৎ কি ধরনের কনটেন্ট এর উপর ভিজিটর আসে এবং সেখানে কি ধরনের এড ডিসপ্লে হচ্ছে তার উপর।
আপনার ওয়েব সাইটে আসা একটি যদি দামি অ্যাড হয়ে থাকে তবে তার উপরে ক্লিক হলে তার থেকে বেশি পরিমাণ ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের উপর দামি অ্যাড তখনই আসবে যখন আপনি একটি দামী কিওয়ার্ড বা শব্দযুক্ত আর্টিকেল লিখবেন তখন।
তাহলে এডসেন্স এর ইনকাম বাড়াতে গেলে আপনাকে এমন একটি শব্দ বা কিওয়ার্ড বাঁচতে হবে যার উপর এড আসলে সেগুলি দামি এড হবে এবং তা থেকে একটি ভালো ইনকাম হবে।
আপনার আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটে উপযুক্ত স্থানে অ্যাড বসাতে হবে। এমন যেন না হয় যেখানে এড বসাবেন সেখানে দর্শক কোনরকম ক্লিক করবে না আর যদি ক্লিক না হয় তবে তা থেকে ইনকাম হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
এডসেন্স থেকে কত ইনকাম করা সম্ভব ?
এডসেন্স এর ইনকাম কখনো কখনো শুনলে গল্পের মত মনে হতে পারে কিন্তু এটা সত্যিই অতি বাস্তব যে অ্যাডসেন্স থেকে একটিমাত্র ওয়েবসাইট থেকেও মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব।
আমাদের ভারতবর্ষে অমিত আগারওয়াল, হর্স আগারওয়াল প্রমূখ ব্লগাররা তাদের ব্লগার থেকে বা ওয়েবসাইট থেকে মাসে কুড়ি থেকে ত্রিশ লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে। কি শুনে অবাক লাগলো তো এটাই আসলে সত্যি কথা যে একটি ব্লগ সাইট থেকে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
তবে ইনকাম করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে বিষয়টি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে করতে হবে অর্থাৎ ওয়েবসাইট বা ব্লগে করতে গেলে তার প্রতি একান্ত আন্তরিকতা থাকা প্রয়োজন যদি আন্তরিকতা না থাকে তবে আপনি ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারবেন না।
আপনার ওয়েবসাইটের নির্বাচিত বিষয় এবং কি পরিমান ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে পৌঁছাচ্ছে এর উপর নির্ভর করে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম হবে সুতরাং একটি ওয়েবসাইটের ইনকাম একরকম।
ইন্টারনেটে কয়েক বিলিয়ন ওয়েবসাইট আছে কিন্তু তারা সবাই এডসেন্স থেকে সমানভাবে ইনকাম করতে পারে না এই কারণে ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে হলে আগে মনোযোগ দিয়ে ওয়েবসাইটের বিষয়ে ভেবে তারপর তাতে কাজ করতে হবে অবশ্যই তা থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
কত পরিমান CTR এডসেন্স এর জন্য Safe ?
CTR হল ক্লিক থ্রু রেট, এটি এডসেন্সের একটি সংকেত যার মাধ্যমে আপনাকে এইটুকু বুঝিয়ে দেওয়া হয় যে 100 টি পেজভিউ হলে সেখানে কতগুলি অ্যাড মানুষ ক্লিক করছে।যদি বেশি পরিমাণ ক্লিক হয়ে থাকে তবে অ্যাডসেন্স ইনভেলিড ক্লিক বলে ধরে নেয় যা এডসেন্সের জন্য ক্ষতিকর।
আমার ব্যক্তিগত মতামত এডসেন্সের জন্য নির্ধারিত CTR হওয়া উচিত 4 থেকে 7 এর মধ্যে। অর্থাৎ এই পরিমাণ CTR যদি ওয়েব সাইটে থেকে থাকে তবে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টটি সুরক্ষিত থাকবে।
সাধারণত একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটে 25 শতাংশ সিটিআর অর্থাৎ 100 টি পেজ ভিউ তে চারটি ক্লিক হলে তা উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। যদি এর থেকে বেশি পরিবহন ক্লিক হয়ে থাকে তবে গুগল এডসেন্স ইনভেলিড ক্লিক বলে তা অ্যাড লিমিট করে দিতে পারে।
- আশাকরি এডসেন্সের CTR বিষয়টি বোঝাতে পেরেছি, আসলে এডসেন্স ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যাকে না মানলে খুব সমস্যা হতে পারে।
অ্যাডসেন্সে Block URL কে কিভাবে Unblock করে ?
যদি কোন কারনে এডসেন্স আপনার ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয় তবে তা আবার আনব্লক করতে গেলে না হওয়ার মতোই ব্যাপার হয়ে থাকে।
কেননা এডসেন্স যদি আপনার ওয়েবসাইটটিকে একবার ব্লক করে দেয় তারা আর ওই ওয়েবসাইটটিকে আনব্লক করে না। এর জন্য একটি মাত্র পথ খোলা থাকে তা হল অ্যাডসেন্সে হেলপ অপশনে গিয়ে আপনি আবেদন করতে পারেন।
আপনার রিকোয়েস্ট এবং সমস্ত তথ্য যদি তাদের পছন্দ হয় এবং তারা যদি মনে করে যে আপনি সঠিক লিখেছেন তবে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ইউআরএল আনব্লক করে দিতে পারে।
ওয়েব সাইটে একাধিক এডসেন্স ব্যবহার করা যায় ?
প্রথমত বলি একটি ওয়েবসাইটের জন্য একটি এডসেন্স একাউন্ট ব্যবহার করা যুক্তিসম্মত।কিন্তু কোনো কারণে যদি আপনার এডসেন্স একাউন্ট নষ্ট হয়ে যায় তবে অন্য একটি এডসেন্স একাউন্ট ব্যবহার করা যায় কিন্তু একই সঙ্গে দুটি এডসেন্স একাউন্ট একটি ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা যায় না।
একথা মনে রাখতে হবে যে বারবার একটি ওয়েবসাইটের সঙ্গে এডসেন্স একাউন্ট পরিবর্তন করা এডসেন্সের পলিসিকে ভায়োলেশন করে সুতরাং আপনি এটি করার আগে অবশ্যই গুগল এডসেন্স এর থেকে হেল্প নিয়ে তবে করবেন। তা না হলে আপনার ওয়েবসাইট লিংক ব্লক হয়ে যেতে পারে।
এডসেন্স এর সঙ্গে অন্যকোন অ্যাড কি ব্যবহার করা যায় ?
এর উত্তরে বলব হ্যাঁ অবশ্যই আপনি এডসেন্স এর সঙ্গে অন্যকোন এড নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু সেখানে দেখতে হবে যে তারা এডসেন্সের এড কে সাপোর্ট করছে কিনা।
বা এডসেন্স অন্যসব যে এড কম্পানির অ্যাড ব্যবহার করতে চাইছেন তাদেরকে সাপোর্ট করে কিনা এই পলিসি দেখে নিয়ে তবে আপনার ওয়েবসাইটে অন্য অ্যাড নেটওয়ার্কের ব্যবহার করা উচিত তা না হলে এডসেন্স ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।
কত টাকা হলে এডসেন্স পেমেন্ট দেয় ?
এ বিষয়টি আমরা সকলেই কমবেশী জানি যে এডসেন্স আমাদের একাউন্টে 10 ডলার হলে তা আমাদের ব্যাংক একাউন্টের সেন্ড করে দেয়। 100 ডলার হল এডসেন্সের ন্যূনতম ট্রান্সফার লিমিট।
এডসেন্স এর সঙ্গে কি এফিলেট মার্কেটিং করা যায় ?
অ্যাডসেন্সে এফিলিয়েট মার্কেটিং একসঙ্গে করা যায়। কিন্তু অবশ্যই এডসেন্সের এড এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের লিঙ্কগুলি যেন কখনোই একই রকম না হয় এর ফলে আপনার ইনকাম এর সমস্যা হতে পারে।
যদি ভিজিটররা আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক এ ক্লিক না করে এডসেন্স এর উপর ক্লিক করে তবে সেক্ষেত্রে আপনার ইনকাম সিলেট থেকে কোনভাবেই সম্ভব না তাই যেখানে অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকবে তার আশেপাশে কোন এড কোড ব্যবহার না করা যুক্তিযুক্ত।
এডসেন্সের পলিসি প্রোগ্রাম না মানলে কি হবে ?
যদি আমরা এডসেন্স এর প্রোগ্রাম এবং পলিসিকে না মানি তবে আমাদের অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এডসেন্স প্রতি মুহূর্তে আমাদের ওয়েবসাইটের ট্রাফিক এবং আমাদের সমস্ত তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকে।
এই কারণে আমরা যদি কখনো এডসেন্সের নির্দিষ্ট পলিসিকে না মানি অর্থাৎ ভায়োলেশন করি তবে এডসেন্স এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে আমাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে। এই কারণে অবশ্যই এডসেন্সকে সমস্ত পলিসিকে পালন করুন।
একটি এডসেন্স একাউন্ট অন্য ওয়েবসাইটের পর ব্যবহার করা যায়
একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট অবশ্যই অনন্য ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের উপর ব্যবহার করা যায়। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।
আপনি একটি এডসেন্স একাউন্ট থেকে কমবেশি 500 টি পর্যন্ত ইউ আর এল কে যুক্ত করতে পারেন তা মনিটাইজ করার জন্য। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোনো একটি ইউআরএল যদি পলিসি ভায়োলেশন করে থাকে তবে কিন্তু মূল এডসেন্স একাউন্ট ডিজেবল হয়ে যাবে।
অ্যাডসেন্সের CPC কিভাবে বাড়ানো যায় ?
এডসেন্সের CPC বাড়ানোর সরাসরি কোনো নিয়ম নেই বা কায়দা নেই। এডসেন্সের সিপিসি বাড়াতে গেলে প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার ওয়েবসাইটটি বয়স কত। একটি বেশীদিনের ওয়েবসাইটের উপর সবসময় দামি অ্যাড দেখানো হয় আর দামি আটের সিপিসি বেশি হয়।
এরপর দেখতে হবে আর্টিকেলটি কোন বিষয় নিয়ে লেখা অর্থাৎ কোন কিওয়ার্ড কে কেন্দ্র করে আপনার আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। কি ওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করে অ্যাডসেন্সে সিপিসি কাজ করে সুতরাং সিপিসি বাড়াতে গেলে তা ভালো মানের কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখতে হবে।
এডসেন্স পেমেন্ট কবে সেন্ড করে ও কবে ব্যাংকে যুক্ত হয় ?
অ্যাডসেন্সে যদি সমস্ত ইনকাম 100 ডলার হয়ে যায় তবে তা পরবর্তী মাসের 21 তারিখে আমাদের ব্যাংকের একাউন্টে সেন্ড করে।
তার সেন্ড করা পেমেন্ট প্রসেসিং হতে থেকে তিন দিন সময় লাগে।একবার প্রসেসিং হয়ে গেলে তা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যুক্ত হয়ে যায়।কখনো কখনো যদি এই দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ছুটি থাকে তবে সেখানে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যেহেতু এটি একটি ইন্টারন্যাশনাল প্রসেস তাই যে দেশ থেকে ট্রানজেকশন টি হয় সেই দেশে এই কার্যকরী দিনের মধ্যে কোনরকম ছুটি পড়ছে কিনা সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ এডসেন্সের থেকে ব্যাংকে টাকা আসার জন্য।
যদি আপনার এডসেন্স থেকে টাকা আসতে দেরি হয় তবে সে ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আপনার নির্ধারিত ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন অনেক সময় আপনার আইএফএসসি বা IFSC কোড নিয়ে আবার কখনো Swift code নিয়ে সমস্যা হলে তা একাউন্টে আসতে দেরি হয়।
কিভাবে এডসেন্স একাউন্ট ভেরিফাই করতে হয় ?
এডসেন্স যখন আপনার একাউন্টে 10 ডলার জমা হবে তখনি আপনার নির্ধারিত অ্যাড্রেস যে একটি 4 সংখ্যার পিন যুক্ত চিঠি পাঠিয়ে দেয়। চিঠিটি কমবেশি দুই সপ্তার মধ্যে আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যায়।
এবং এডসেন্স এই চিঠি পাঠানোর পর আপনার এডসেন্স সাইটের মধ্যে একটি ভেরিফাই অপশন দেয় যেখানে এই তিনটি বসিয়ে সাবমিট করলে একাউন্টি ভেরিফাই হয়ে যায়।
যদি কখনো এই পিন আসতে দেরি হয় বা না আসে তবে তা সর্বোচ্চ তিনবার আপনাকে রিকোয়েস্ট করতে হবে। কখনো কখনো এডসেন্স আমাদের চিঠি পাঠালেও আমাদের পর্যন্ত আসে না।
কতভাবে আমার চিঠিটি এডসেন্স পাঠালেও আমার ঠিকানা পর্যন্ত তা আসেনি তারপর আমি আমার আধার কার্ড দিয়ে তা ভেরিফাই করে নি। যদি এডসেন্স পরপর তিনবার কোড সেন্ড করে এবং যদি আপনি না পান তবে তার উপর তারপর আপনাকে একটি অপশন দেয়া হয় যেখানে আধার কার্ড বা যে কোন আইডি ডকুমেন্ট দিয়ে ভেরিফাই করা যায়।
এডসেন্সের Ads ভিউ ও page ভিউ কি এক ?
আমরা যখন অ্যাডসেন্স এর মধ্যে গিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটের ইনকাম দেখি তখন সেখানে দেখা যায় যে পেজভিউ এর সঙ্গে আমাদের ওয়েবসাইটের পেজভিউ এক হয় না কারণ এডসেন্স পেতে সেই পেজকে গণনা করে যে সমস্ত পেজে অ্যান্ড ডিসপ্লে হয়েছে।
এডসেন্সের এড যে সমস্ত পেজে ডিসপ্লে হয়না সে সমস্ত পেজকে এডসেন্স গণনা করে না সুতরাং এই দুটি বিষয়ে আলাদা আলাদা।
একজন ব্যক্তিকে দুটি এডসেন্স তৈরি করতে পারে ?
এর উত্তরে প্রথমেই বলব না কখনোই সম্ভব নয়। যদি আমরা কখনো ভুলবশত দুটি এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করে ফেলি এবং তার একটি সম্পর্কে আমাদের কোন ধারনা না থাকে তখন অন্যটিতে আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য এপ্লাই করলেও গুগোল অটোমেটিক আমাদের জানিয়ে দেবে যে আমাদের এই নামে আরও একটি এডসেন্স একাউন্ট আছে।
আর যতক্ষণ পর্যন্ত সেই অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টটি ডিজাবেল করবো বা নষ্ট করে দেবো ততক্ষন পর্যন্ত আমাদের এই এডসেন্স একাউন্টে কিন্তু কোনভাবেই ওয়েবসাইটের জন্য গুগোল মিস করবে না। সুতরাং এক ব্যক্তির পক্ষে দুটি Adsense একাউন্ট খোলা কখনোই সম্ভব না। তবে অবশ্যই পরিবারের কারো নামে খুলে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ব্লগারে ডমিন না কিনে অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাওয়া যায় ?
এই বিষয়টি আগেও আমি আলোচনা করেছি তবুও বলি ব্লগার এর ক্ষেত্রে যদি blogspot.com ব্যবহার করি তবুও আমরা এডসেন্স থেকে অ্যাপ্রুভাল পেতে পারি।
কারণ এ দুটি সার্ভিস গুগলের নিজস্ব তাই অবশ্যই আমরা ব্লগার কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার না করেও এডসেন্সের অ্যাপ্রুভাল পেতে পারি কিন্তু সে ক্ষেত্রে অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাওয়া একটু কাজ বলে মনে হয়।
সর্বোপরি যদি একটি কাস্টম ডোমেইন না থাকে তবে সেই ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে তুলে নিয়ে আসা খুবই কঠিন সুতরাং যদি ভিজিটর না আসে তবে এডসেন্স থেকে অ্যাপ্রভাল পেলেও ইনকাম কিছুই হবে না।
হোস্টেড ও নন হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট কি ?
গুগলের নিজস্ব কোন প্রোডাক্টের জন্য যদি আমি অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পেয়ে থাকি তবে আমার এডসেন্স টি একটি হোস্টেড এডসেন্স একাউন্ট হবে। এক্ষেত্রে হোস্টেড একাউন্ট হলে তার থেকে ইনকাম নন হোস্টেড থেকে প্রায় 10-15 শতাংশ কম।
অন্যদিকে যদি আমরা গুগলের এডসেন্স কে গুগলের সার্ভিস বাদে অন্য কোন ওয়েব সাইট বা প্লাটফরম এ ব্যবহার করে থাকি তবে ওই গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টটি হবে নন হোস্টেড একাউন্ট। এডসেন্স নন হোস্টেড হলে তাতে রেভিনিউ বেশি পাওয়া যায়। নন হোস্টেড একাউন্ট এর ক্ষেত্রে 68 পার্সেন্ট রেভিনিউ আমাদের থাকে বাদবাকি 32% গুগোল রাখে।
অ্যাডসেন্সে পেজ লেভেল অ্যাড কি ?
আমরা যখন আমাদের ওয়েবসাইটে এই পেজ লেভেল অ্যাড যুক্ত করি তখন দেখতে পাবো একটি পেজ থেকে অন্য পেজে যেতে গেলে নিচের দিকে সাধারণত মোবাইলে একটি এড ওপেন হয় বর্তমানে এটি এডসেন্সের অটো এড।
যে সমস্ত এড গুলি পেজের নিচের দিকে সবসময় ডিসপ্লে হয় তখন সেই আটকে আমরা বা গুগোল পেজ লেভেল অ্যাড বলে থাকে। আবার কখনও কখনও দুটি পেজের মধ্যে যখন আমরা যাতায়াত করি তখন একটি এন্ড ডিসপ্লে হয় এটিও একটি পেজ লেভেল অ্যাড।
এস্টিমেট আর্নিং ও ফাইনাল আর্নিং কি ?
অ্যাডসেন্সে এস্টিমেট অরনিং হলো সেই পরিমাণ অর্থ যা আমরা ইনকাম করি প্রতিটি দিন বা প্রতি সপ্তাহে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এটি যদিও মূল টাকা সঙ্গে যুক্ত হয় না।
আর অন্যদিকে ফাইনাল ওয়ার্নিং হলো সেই পরিমাণ অর্থ যা প্রতি মাসের শেষে মূল অ্যাকাউন্টে সঙ্গে বা মূল টাকা সঙ্গে যুক্ত হয়। ফাইনাল আর্নিং হলো নির্ধারিত সেই টাকা যা আমাদের ব্যাংকের একাউন্টে আসার জন্য জমা হয়।
ইউটিউব এর টাকা কবে যুক্ত হয় ?
ইউটিউব থেকে যে পরিমাণ অর্থ আমাদের ইনকাম হয় তা অ্যাডসেন্সে যুক্ত হয় পরবর্তী মাসের প্রতি 15 তারিখে। যদি আপনার কোন ইউটিউব চ্যানেল থেকে থাকে তবে সেখানকার নির্ধারিত অর্থ প্রতি 15 তারিখে আপনার এডসেন্স এর মূল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত হবে।
এডসেন্সের এড এ ক্লিক করা কি ঠিক ?
যখন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আমাদের এডসেন্স একাউন্ট এর এড বসিয়ে মনিটাইজ করি শুধুমাত্র তা থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য তখন কখনই উচিত নয় নিজে ক্লিক করে তা থেকে টাকা ইনকাম করা।
প্রথমত আমরা গুগলের কাছে এমন ভাবে দায়বদ্ধতা কি যে প্রতি মুহূর্তে গুগোল আমাদের আইপি অ্যাড্রেস কে দেখতে পাই সুতরাং আমরা যদি আমাদের ওয়েবসাইটের এডে নিজে ক্লিক করি তবে গুগোল টা ঠিক পেয়ে আমাদের এডসেন্সকে ডিজেবল করে দিতে পারে।
সুতরাং কখনোই নিজের ওয়েবসাইটের এডে নিজে ক্লিক করা উচিত নয় এতে অনেক বেশি সম্ভাবনা থাকে এডসেন্স ব্লক হয়ে যাওয়ার।
এডসেন্স এর ট্রাম কন্ডিশন / পলিসি কি ?
গুগল এডসেন্স এর জন্য আলাদা করে প্রাইভেসি পলিসি তৈরি করেছে যা আমাদের মত সমস্ত ব্লগারদের ইউটিউবারদের মেনে চলতে হয়। যদি এডসেন্সের এইট রাম কন্ডিশন ও প্রাইভেসি পলিসি সম্পর্কে আরো জানতে হয় তবে নিচের এখানে ক্লিক করুন। Tram and conditions
আপনার প্রয়োজনীয় কয়েকটি উত্তর -
আমার মতামত : এডসেন্স সম্পর্কে যে সমস্ত প্রশ্নগুলি বারবার গুগোল এ সার্চ করা হয় সেরকম 50 টি প্রশ্ন নিয়ে আমি এখানে আলোচনা করলাম।এর ভিতর যে কোন একটি প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার জিজ্ঞাসা থাকতেই পারে এবং সেই বিষয়টি আপনি ভালোভাবে যদি বুঝে যান তবে আমার এই প্রচেষ্টা স্বার্থক।
যদি আপনার ভালো লাগে আমার দেওয়া তথ্য তবে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আশাকরি বাংলাতে এই ধরনের আর্টিকেল দেখতে পাবেন না। আমি নিজে জে সকল সমস্যা এডসেন্স এ দেখেছি সেগুলি নিজের মতো করে আলোচনা করেছি।
এছাড়া যদি অন্য কোনো সমস্যা আপনার ক্ষেত্রে হলে থাকে তবে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন আমি সেই বিষয়ে আলোচনা করে দেবো।
Hooligan Media দিয়ে আমার চ্যানেল মনিটাইজেশন করেছি। অনেক সহজ।
উত্তরমুছুনভাই বাংলার যে কোন উপভাষা যেমন সিলেটি ইউটিউবে approve হয় নাকি মনিটাইজেশন এর জন্য কারণ অনেক সিলেটি ইউটিউবার ইউটিউবএ ভিডিও আপলোড করে তারা কি অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল।
উত্তরমুছুনআমিও একমত, hooliganmedia.com, Google Adsense থেকে better সার্ভিস দেয়।
উত্তরমুছুন