কিভাবে ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করতে হয়, সহজ ৭ টি ধাপে।

    একটি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাবসা কে খুব সহজেই বাড়াতে পারেন। শুধু আপনার এলাকা তে নয়, একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ বানিয়ে অনেক দূরের কাস্টমার এর সাথে আপনি ব্যাবসা করতে পারেন।

     একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করা তেমন কোনো কঠিন কাজ নয়। কারণ আপনি আগে থেকে ফেসবুক পেজের এর সাথে জড়িত আছেন। সুতরাং সাধারণ কয়েক টি বিষয় কে অনুসরণ করলেই আপনি একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করতে পারবেন।
কিভাবে ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করতে হয়, সহজ ৭ টি ধাপে।

    আপনার ফেসবুক এর উপর কখনো কখনো আপনি  দেখে থাকবেন, যে একটি মিডিয়া, বা কোনো ভিডিও অ্যাড চলে আসে। আসলে এগুলো হলো সব ফেসবুক পেজ।  এই টেকনোলজির দুনিয়া তে ডিজিটাল মার্কেটিং কে ছড়িয়ে দেবার জন্য ফেস বুক বিজনেস পেজ তৈরি করার ব্যাপার টি শুরু করেছে।

    প্রায় প্রতিদিন ফেসবুক এ ২.৫ বিলিয়ন ফেসবুক পেজ তৈরি হয়ে এর সাথে জড়িত হচ্ছে, আর আগে থেকে প্রায় ১৪০ মিলিয়ন মানুষ এর সাথে জড়িত হয়ে ব্যাবসা করছেন।

     তাহলে ভাবতে পারছেন যে ফেসবুক দিয়ে কেমন পৃথিীব্যাপী ব্যাবসা চালানো যায়। এই কারণে একটি ফেস বুক বিজনেস পেজের খুব প্রয়োজন।

    ফেসবুক পেজ বানাতে গেলে আপনাকে অবশ্যই একটি ফেসবুক একাউন্ট থাকতে হবে। যদি না থাকে তবে আপনি প্রথমে একটি ফেসবুক একাউন্ট তৈরি করুন।



কিভাবে ফেসবুক বিজনেস পেজ বানানো যায়


     একটি ফেসবুক পেজ বানাতে গেলে প্রথমেই আমি বলেছি আপনার একটি ফেসবুক একাউন্ট থাকতে হবে। এবার আপনার ব্রাউজার ( Chrome/Firefox) open করে ফেসবুক এ যান। 

    ফেসবুক এর সাইটে এ গিয়ে প্রথম আপনার নিজের ফেসবুক একাউন্ট টি লগ ইণ / log in  করুন। আপনার নিজের ফেসবুক একাউন্ট টি খুলে গেলে এবার আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান।

     এখানে বলে রাখি, আপনি  ভাবতে পারেন যে আপনার নিজের ফেসবুক একাউন্ট এর উপর যদি একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করা হয়, তাহলে আপনার নিজের সমস্ত ডাটা সবার কাছে পৌঁছে যেতে পারে। কিন্তু না সেটা হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। 

     ফেসবুক বিজনেস পেজ বা ফেসবুক পেজের কোনো তথ্য আপনার নিজের অ্যাকাউন্ট এর সাথে যুক্ত হবে না। অর্থাৎ একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করলেও আপনি আপনার প্রোফাইল টিকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

      তো, এবার আপনি ভালোভাবে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল টি লগ in করেছেন। যদি লগইন হয়ে যায় তবে এবার আমরা শুরু করি কিভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করবো - 


প্রথম ধাপ :  সাইন আপ

    ফেসবুক পেজে সাইন আপ করার জন্য আপনি এই লিংকে যেতে পারেন -  https://www.facebook.com/pages/create  বা আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের উপরের দিকে বার মেনু থেকে এ নিউ পেজ create পেজ অপশনে যেতে পারেন। সেখানে ক্রিয়েট এ নিউ পেজ অপশন ক্লিক করলেই আপনি নতুন প্রেস ক্রিয়েট করার জন্য পৌঁছে যাবেন।
Facebook business Page create

     যদি আপনি আপনার মোবাইল থেকে ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করতে চান তবে ফেসবুকের মেনু অপশন থেকে পেজ সিলেক্ট করুন এবং এখান থেকে ক্রিয়েট এ নিউ পেজ অপশন এ যান।

    এবার আপনি ঠিক করুন আপনি কি ধরনের ফেসবুক পেজ বানাতে চাইছেন। যেমন - বিজনেস / ব্র্যান্ড অথবা কমিউনিটি
 / পাবলিক ফিগার ইত্যাদি । যদিও আমি এই আর্টিকেল দেখাবো কি ভাবে একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ বানানো যায়। 

   সুতরাং বিজনেস কে সিলেক্ট করে নিয়ে ক্লিক করে এগিয়ে চলুন - Get started .
একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ কিভাবে বানাবো

    এবার এখানে আপনার বিজনেস সম্পর্কে লিখতে হবে। আপনার এই পেজের নাম টি কি হবে, তা এখানে লিখতে হবে। এই নাম টি কিন্তু আপনার বিজনেস রিলেটেড হতে হবে। তাহলে আপনার এই বিজনেস পেজ টি একটি ব্রান্ডের মত হবে।
ফেসবুক বিজনেস পেজ এর নাম দেওয়া

     এই পেজ টি সকল দর্শকদের কাছে যখন পৌঁছাবে তখন পেজ টি দেখে সকল দর্শকবুঝতে পারবে যে এই পেজ টির বিষয় কি, এবং নামের সাথে জড়িত বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইবে। নামটি যদি বিজনেস এর সাথে জড়িত হয় তবে দর্শক খুঁজতে খুঁজতে এই পেজে চলে আসবে।
কিভাবে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়

    বিজনেস পেজের সমস্ত ডিটেলস দেবার পর আপনাকে এড্রেস অ্যাড করতে হবে। যেমন স্ট্রিট এড্রেস, সিটি, স্টেট, ও পিন কোড। এগুলি একটি বিজনেস পেজের জন্য খুব জরুরি বিষয়।

     এর পর নিচের অপশন এ  আপনাকে মোবাইল নম্বর দেবার জন্য বলা হয়েছে, কিন্তু এটি একটি ম্যান্ডেটরি ফিল নয়, অর্থাৎ আপনি ইচ্ছা করলে দিতে পারেন বা নাও দিতে পারেন, এটি আপনার উপর নির্ভর করবে।

     আপনি যদি আপনার এড্রেস টিকে পার্সোনাল করে রাখতে চান, তবে তা হাইড করে রাখতে পারেন। যদি হাইড না করেন তবে আপনার এড্রেস টি সকলের জন্য খোলা থাকবে, অর্থাৎ সবাই দেখতে পাবে।

  এই সকল বিষয় গুলি ফিল করার পর আপনাকে ভালো ভাবে দেখে নিয়ে, তার পর নিচে কনটিনিউ অপশন টিতে ক্লিক করে পরের পেজে যেতে হবে। 

    

  দ্বিতীয় ধাপ :  ব্র্যান্ডিং দেওয়া

      আপনি যখন কোনো একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করবেন তখন একটি ভালো লুক দেবার জন্য  আপনাকে ব্রান্ডিং তৈরি করতে হবে। 

    একটি ফেসবুক পেজ হলো একটি ওয়েবসাইট এর মত, সুতরাং একটি ওয়েবসাইট কে যেমন আমাদের ভালো ভাবে ডিজাইন করতে হয় ইউজার দের আকর্ষণীয় করার জন্য, ঠিক তেমন ভাবে এই ফেসবুক পেজেও আপনাকে ভালো ভাবে ডিজাইন করতে হবে।

     একটি পেজ বা website যত ভালো দেখতে হয় সেখানে তত বেশি পরিমাণে দর্শক অবস্থান করে। সুতরাং এই বিষয় টি বিজনেস করতে গেলে প্রথমে ভালোকরে বুঝতে হবে।

    এখানে ফেসবুক পেজটি কে ভালো ব্র্যান্ডিং দেবার জন্য একটি  প্রোফাইল ফটো ও একটি ব্যানার ফটো আপলোড করতে হবে। এতে আপনার ফেসবুক পেজটি একটি বিজনেস পেজে পরিনত হবে। 
ফেসবুক পেজে প্রোফাইল ফটো কিভাবে লাগাতে হয়

     ফেসবুক পেজটির বিষয় অনুসারে যেন পেজটির প্রোফাইল পিকচার ও ব্যানার পিকচার হয়। কারণ পেজটির সঙ্গে যদি প্রোফাইল ফটো ও ব্যানার এর কোন মিল না থাকে তবে তা ভিজিটরের কাছে খুব বেশি গুরুত্ব পায় না।

     এক্ষেত্রে আগে থেকেই আপনাকে এই দু'টি ফটো তৈরি করে রাখতে হবে যাতে ফেসবুক বিজনেস পেজ টি ক্রিয়েট করার সময় কোন রকম সমস্যা না হয় এবং সাথে সাথে যেন আপনি আপলোড করতে পারেন।

    প্রোফাইল ফটো ব্যানার ফটো দুটি আপলোড করার পর আপনার ফেসবুক পেজটি তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু এটি একটি সাধারণ পেজ এবার এটি কে যথার্থভাবে এডিট করতে হবে।

     ফেসবুক পেজ টির প্রোফাইল পিকচারের জন্য ১৭০× ১৭০ পিক্সেল ডাইমেনশন দিতে হবে ডেক্সটপের জন্য, এবং ১২৮×১২৮ পিক্সেল দিতে হবে মোবাইল এর জন্য।ফটোটি সিলেক্ট করার পর আপলোড প্রোফাইল পিকচার দিলেই ফটো আপলোড হয়ে যাবে।

     ফেসবুক বিজনেস পেজ টির কভার ফটো দেওয়ার জন্য ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে ৮২০×৩১২ পিক্সএল মাত্রা এবং মোবাইল এর জন্য  ৬৪০×৩২০ পিক্সেল মাত্রার ফটো সেট করতে হবে। কিন্তু এক্ষেত্রে নির্ধারিত সাইজ টি ৭২০×৩১৫ পিক্সেল হতে হবে। ফটো টি সিলেক্ট করার পর আপলোড এ কভার ফটো দিলেই তা আপলোড হয়ে যাবে।
কিভাবে ফেসবুক পেজে কভার ফটো দিতে হয়

     সুতরাং আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ এর মূল কাঠামোটি তৈরি হয়ে গেল। মনে রাখতে হবে এটি কিন্তু আপনার ফেসবুক পেজ এর একটি মূল কাঠামো, আপনি এর একটি প্রিভিউ দেখতে পারেন। দর্শকদের কাছে পাঠানোর জন্য এটি এখনো প্রস্তুত হয়নি।



তৃতীয় ধাপ :  ইউজার নেম

       এবার আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ টির জন্য একটি ইউজার নেম দিতে হবে। আশা করি এই ইউজার নেম বিষয়টি সঙ্গে কমবেশি আপনি পরিচিত।

    ইউজার নেম কি। ইউজারনেম হল একটি নেম বা নাম যা আমাদের প্রকৃত নামের বদলে ব্যবহার করা হয় এবং দর্শক ভিজিটররা এই নামে আমাদের পেজ বা আমাদের পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

    এক্ষেত্রে আমি একটি উদাহরণ দিয়ে দেখাতে পারি যে আমাদের কিভাবে ডট ইন এই ওয়েবসাইটটির ফেসবুক পেজ টি হল - https://www.facebook.com/kivabe.in  .  আশা করি বিষয়টি একটু বুঝতে পারলেন। যে মূল ফেসবুক ওয়েবসাইটটির সঙ্গে আমার কিভাবে.in ইউজার নেম যুক্ত করলেই তা সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।

    অর্থাৎ ইউজারনেম হলো একটি ইউআরএল, যার মাধ্যমে দর্শক বা ভিজিটর আপনার পেজ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ইউজারনেম টি অবশ্যই 50 টি বর্ণের মধ্যে হতে হবে। এটিকে বড় করা সম্ভব কিন্তু তা সার্চ ইঞ্জিনের  ক্ষেত্রে উচিত নয়।

    একটি ইউজার নেম তৈরি করার জন্য বাঁদিকের মেনুতে গিয়ে ক্রিয়েট পেজ ইউজারনেম এখানে ক্লিক করতে হবে। এবং ইউজার নেম এর উপর ক্লিক করার পরে একটি বক্স ওপেন হবে যেখানে আপনি আপনার ইউজার নেমটি দিতে পারেন।

     এখানে ইউজার নেমটি দেওয়ার পর ফেসবুক সার্চ করে দেখবে যে এই ইউজার নেমটি আগে-পরে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা। যদি ব্যবহৃত হয়ে থাকে তবে এই নামে আর ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে অন্য একটি নাম খুঁজে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

     আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ এর জন্য ইউজারনেম সঠিক হলে ডানদিকে একটি সবুজ রঙের টিক চিহ্ন দেখতে পাবেন এবং তারপর ক্রিয়েট ইউজারনেম এখানে ক্লিক করলেই আপনার সামনে একটি পপ-আপ মেসেজ আসবে যেখানে লেখা থাকবে ইউ আর অল সেট।

     অর্থাৎ আপনি আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ এর ইউজার নেমটি তৈরি করে ফেলেছেন। এই মেসেজটি নিচে ওকে বাটনে আপনাকে প্রেস করতে হবে।
    


চতুর্থ ধাপ : বিজনেস এর বিশদ বিবরণ

     একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ এর জন্য বিজনেস এর সমস্ত বিশদ বিবরণ পেজে লিখতে হবে। যদিও বিষয়টি পরে এডিট করা সম্ভব তবুও প্রথম থেকে কাজটি করে রাখা ভালো।

    একটি ফেসবুক পেজ যেখানে কোন ভিজিটর এসে এটা দেখেই বুঝতে পারবে পেজটির সমস্ত বিষয় এবং পেজটির গুরুত্ব। যেমন কোন ভিজিটর আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজে যদি একটি মোবাইল খুঁজতে আসে এবং সেখানে পেজের বিবরণে মোবাইল বিষয়ে কিছু লেখা না থাকে তবে সে হতাশ হবে।
Facebook business Page details

    এই কারণে আপনার ফেসবুক পেজ টির নির্দিষ্ট বিষয় অনুসারে তা লিখতে হবে। আপনার বিজনেস এর বিশদ বিবরণের জন্য মেনু অপশন থেকে এডিট পেজ ইনফো / Edit page info এখানে ক্লিক করতে হবে। 

 ডেসক্রিপশন :   এখানে এমন একটি ডেস্ক্রিপশন লিখতে হবে যা সার্চ রেজাল্টে দেখা যায় অনেকটা ওয়েবসাইটের মেটা ডেসক্রিপশন এর মত। এখানে সর্বোচ্চ 255 টি ক্যারেক্টার ব্যবহার করা যাবে।


ক্যাটাগরি :   প্রথম ধাপে ফেসবুক পেজ টির জন্য যে ক্যাটাগরি কে এন্টার করা হয়েছিল তা এখানে দেখা যাবে। যদি এই মূল ক্যাটাগরি এর সঙ্গে অন্য কোন ক্যাটাগরিতে যুক্ত করতে চান তবে তা এখানে করতে পারবেন।

     এখানে একাধিক ক্যাটাগরি কে সিলেক্ট করলে তা বেশি পরিমানে ভিজিটর আনতে সক্ষম হয়। সুতরাং আপনি এখানে একাধিক বিষয় কে রাখবেন কিন্তু তা যেন মূল বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়। ক্যাটাগরি কে লেখার পর সেভ চেঞ্জ অপশন এ ক্লিক করুন।


কন্টাক্ট :  কন্টাক্ট অপশনে এসে আপনাকে আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ সম্পর্কে সমস্ত ডিটেইলস ফোন নাম্বার ওয়েবসাইট এবং ইমেইল এড্রেস দিয়ে এটাকে পূরণ করতে হবে। কন্টাক্ট ডিটেইলস কে পাবলিক রাখাটাও যুক্তিযুক্ত।

সময় / Hours :   আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ টি যে উদ্দেশ্যে ক্রিয়েট করা হল অর্থাৎ বিজনেস এর উদ্দেশ্যে সেটি কত সময় ধরে বা নির্দিষ্ট কোন কোন সময় ধরে তা আপনি দিতে পারবেন এখানে উল্লেখ করতে হবে।


অতিরিক্ত বিষয় :   ফেইসবুক পেজ ক্রিয়েট করার পর সেখানে আপনি কি বিক্রি করতে চান কিভাবে বা তার প্রাইস এবং কাস্টমার আপনার থেকে কি ধরনের পলিসি পেতে পারে সেগুলো সব এখানে আপনি উল্লেখ করতে পারেন। তবে এই অপশনগুলি কিছু নির্দিষ্ট দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।



পঞ্চম ধাপ :  বিজনেস বর্ণনা

    আপনার ফেসবুক পেজটি যদি একটি সাধারণ বিষয়ের উপর তৈরি করা হয় তবে এ পর্যায়েই ধাপটি আপনি না করলেও চলবে। কিন্তু যদি আপনার ফেসবুক পেজটি একটি বিজনেস অর্থাৎ ব্যবসা সংক্রান্ত হয়ে থাকে তবে অবশ্যই আপনাকে এই  ধাপটি এড়িয়ে গেলে চলবে না।

    দর্শক বা ভিজিটর কেন আপনার এই বিজনেস পেজে আসবে সেই সম্পর্কে এখানে আপনাকে বিশেষ একটি বর্ণনা দিতে হবে। আপনি আপনার বিজনেস এর মাধ্যমে কাস্টমারকে কি ধরনের অফার দিতে চলেছেন তা এখানে লিখতে হবে।

    সাধারণত এটি ফেসবুক বিজনেস পেজ এর একটি বিশদ বর্ননা মূলক পর্যায়। যেখানে আপনি আপনার ব্যবসাটির বিশদ আলোচনা লিখতে পারেন। 

     এই অপশনটিকে অন করার জন্য বাঁদিকের মেনুতে ক্লিক করে এবাউট / About সেকশনে যেতে হবে এবং তারপর ডান দিকে আওয়ার স্টরি / our story অপশনে ক্লিক করলে পাওয়া যাবে। 

    এই অপশনে যাওয়ার পর একটি হেডলাইন লিখে তারপর এখানে বিশদে লিখতে হবে আপনি কিভাবে অফার করবেন এবং কোন সমস্যা হলে তাদের কিভাবে তা আপনি সমাধান করবেন অর্থাৎ এমন একটি বিষয় এখানে লিখতে হবে যা পড়ে কাস্টমার খুশি হয়ে আপনার থেকে কিছু কিনতে আগ্রহী হয়।

     প্রয়োজনে এখানে একটি আপনার বিজনেস রিলেটেড ফটো আপলোড করতে পারেন এবং তার সম্পর্কে লিখতে পারেন। এগুলি করা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আপনাকে পাবলিশ / Publish বাটনে ক্লিক করতে হবে।



ষষ্ঠ ধাপ :  প্রথম পোস্ট তৈরি করা

      ফেসবুক বিজনেস পেজ এ একটি যথার্থ প্রথম পোস্ট করার আগে আপনাকে দেখতে হবে যথেষ্ট ভ্যালুয়েবল কিনা। কারণ গুরুত্বহীন কোন পোস্ট আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ কে অপটিমাইজ করতে পারবে না।
ফেসবুক পেজে প্রথম পোস্ট পাবলিশ করা

    আপনার বিজনেস সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখানে পোস্ট করতে হবে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাবে আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ টিকে অপটিমাইজ করতে পারে। 

    এই ফেসবুক বিজনেস পেজ টিতে এমন কিছু পোস্ট থাকবে যা ব্যবসা বা বিজনেস এর সঙ্গে জড়িত। যদি কেউ এই পোস্টগুলিতে ক্লিক করে তবে সেটি যেন অন্য কোন রিলেটেড সাইটে প্রবেশ না করে। এর ফলে ওই ভিজিটর দ্বিতীয়বার আর এই পেজে ভিজিট করতে চাইবে না।



সপ্তম ধাপ :  ইনভাইট অডিয়েন্স 

     আপনি আপনার ব্যবসা বা বিজনেস এর জন্য একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে ফেলেছেন। আশা করি প্রত্যেকটি ধাপ কে ফলো করে আপনি সুন্দর ভাবে একটি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করেছেন।

     এই ফেসবুক পেজটি ক্রিয়েট করার আপনার মূল উদ্দেশ্য ছিল আপনার ব্যবসাটিকে বাড়ানো। সুতরাং আপনার ব্যবসাটিকে বাড়াতে গেলে বা এই ফেসবুক বিজনেস পেজ টি থেকে ইনকাম করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই এই পেজ পর্যন্ত ভিজিটর আনতে হবে।

     এই কারণে আপনাকে প্রথমে আপনার ফ্রেন্ডলিস্ট বা অন্য কোন পেজে আপনার এই পেজটিকে পাবলিশ করতে হবে এবং আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করতে হবে আপনার পেজটি তে ভিজিট করার জন্য।

    কিন্তু কখনোই এমন হবে না যে আপনি ইনভাইট করলেন কিছু ভিজিটর এলো কিন্তু আপনার পেজে কোন পোস্ট বা তেমন কোনো বিষয় নেই যা দেখে সেই ভিজিটর বা কাস্টমাররা খুশি হতে পারে।

     সুতরাং প্রথমেই আপনাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা সম্পর্কিত পোস্ট আপনার এই ফেসবুক বিজনেস পেজ এ থাকতে হবে। কয়েকটি তথ্যপূর্ণ পোস্ট করার পরে আপনি আপনার অডিয়েন্সকে ইনভাইট করতে শুরু করবেন।

    অডিয়েন্স কে ইনভাইট না করলে কেউ আপনার এই ফেসবুক পেজ সম্পর্কে জানতে পারবে না আর যদি না জানতে পারে তবে কোনো অবস্থাতেই আপনি ফেসবুকের মধ্যে বিস্তার করতে পারবেন না। এই কারণে প্রাথমিক অবস্থাতে ইনভাইট করা প্রয়োজন ধীরে ধীরে তা ইনভাইট না করলেও শেয়ার হতে থাকে।

     আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ টি পাবলিস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত বিশ্বের দরবারে তা ছড়িয়ে পড়েছে। আপনি আপনার ফেসবুক পেজটি এডিট করে একটি মেসেজ অপশন রাখতে পারেন যার ফলে কাস্টমাররা আপনার সঙ্গে সরাসরি মেসেজের মাধ্যমে কথা বলতে পারে। 

    এর ফলে আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ টি যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে কারণ কোন কাস্টমার যদি কোন বিষয়ে জানতে বা বুঝতে চায় তখন সরাসরি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করলে আপনি তা উত্তর দিয়ে তাকে বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারবেন।

  • এই সাতটি পর্যায়ের মাধ্যমে আপনি কি করে একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করতে হয় এবং তাকে কি করে সাজিয়ে তুলতে হয় তা আমি বর্ণনা করেছি।

         আশা করি এই সাতটি ধাপের মধ্যে দিয়ে কি করে একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করতে হয় তা বুঝে গেছেন। একটি বিজনেস কে ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত করতে গেলে অবশ্যই সেই সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।

    একটি সুন্দর ডিজাইন যেমন একটি ওয়েবসাইটকে গুরুত্ব দেয় ঠিক তেমনি আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ টি ও সুন্দর ডিজাইন এর জন্য গুরুত্ব পেতে পারে অর্থাৎ এ বিষয়ে লক্ষ্য রেখে আপনার বিজনেস পেজটিকে তৈরি করে তুলবেন।



কিভাবে ফেসবুক বিজনেস পেজ অপটিমাইজ করা যায়


     অপটিমাইজেশন কথাটি আমরা আগে পরে অনেক শুনেছি। বা  এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোন সার্চ ইঞ্জিন এর সঙ্গে আমাদের কোনো বিষয়কে যুক্ত করতে পারি।

    আপনি যে ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করেছেন সেখানে আপনার ব্যবসা বেড়ে উঠবে যদি যথেষ্ট পরিমাণ কাস্টমার আপনার পেজটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ কাস্টমার। হয়তো কয়েকটি সোশ্যাল শেয়ার এর মাধ্যমে আপনি কাস্টমার পেতে পারেন কিন্তু তা থেকে কখনোই বেশি ইনকাম করা সম্ভব নয়।
কিভাবে ফেসবুক বিজনেস পেজ অপটিমাইজ করা যায়

    এই জন্য প্রয়োজন ফেসবুক বিজনেস পেজ টিকে অপটিমাইজ করা। পেজটিকে একবার অপটিমাইজ করলে তা বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে সঙ্গে সম্পর্কিত হয় আপনার প্রোডাক্ট বা বিজনেস সম্পর্কিত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আপনার ব্যবসাকে বাড়িয়ে তুলবে।


      একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ কে অপটিমাইজ করতে গেলে যে বিষয়গুলি আপনাকে নজর দিতে হবে তা নিচে আলোচনা করা হলো - 

একটি কল টু অ্যাকশন' বাটন যুক্ত করুন :

    ফেসবুক বিজনেস পেজ এ কল টু অ্যাকশন' বাটন সম্পর্কে একটু আগে আমি আলোচনা করেছি। তবুও এখানে আর একবার বলি এটি একটি এমন মাধ্যম যার মধ্য দিয়ে আপনি সরাসরি আপনার ক্রেতা বা কাস্টমারদের সাথে কথা বলতে পারেন।

    কাস্টমারদের জানার বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ এ একটি কল টু অ্যাকশন' বাটন যুক্ত করতে হবে। এর ফলে তাদের কোন জানার বিষয় থাকলে সরাসরি আপনার কাছে তারা যোগাযোগ করতে পারবে।

     আমাদের বিজনেস সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আমরা একটি পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরতে পারিনা বা কাস্টমারদের এমন কিছু জিজ্ঞাসা থাকে যা সেখানে নাও থাকতে পারে। এই সকল ক্ষেত্রে কাস্টমাররা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাই।

   কাস্টমারদের এই আগ্রহকে গুরুত্ব দিতেই অবশ্যই আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ এ একটি কল টু অ্যাকশন' বাটন রাখতে হবে। এটি হতে পারে সেন্ড এসএমএস, সেন্ড মেসেজ ইত্যাদি।


একটি Pinned / ফিচার পোষ্ট যুক্ত করুন :

     যেমন কোনো ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ফিচার পোস্ট বলে অপশন থাকে বা ইউটিউব এর ক্ষেত্রে কোন চ্যানেলে ফিচার ভিডিও বলে একটি অপশন থাকে। এর মাধ্যমে আমাদের চ্যানেল বা ওয়েবসাইটে যখন কেউ first-time ভিজিট করে তখন সে ওই বিষয়টি দেখে আগ্রহী হয়।

    ঠিক একই রকম ভাবে আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ এর জন্য একটি সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ বিজনেস সম্পর্কিত পোস্ট কে আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ এ যুক্ত করতে হবে। যখনই কোন ভিজিটর সরাসরি আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ এ প্রবেশ করবে তখন সে এই পোস্টটি দেখে আপনার ফেসবুক এর সম্পর্কে জানতে পারবে।

    একটি সাধারণ পোস্ট কে এই পর্যায়ে আনতে গেলে আপনাকে আপনার পাবলিশ করা পোস্ট গুলির মধ্যে একটিকে বাঁচতে হবে এবং তার উপরে তিনটি ডট ••• এই অপশনে গিয়ে পিন টু টপ অফ পেজ / pin to top of page অপশনে ক্লিক করতে হবে।

     এটি করার সাথে সাথে আপনার এই পোস্টটি আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ এর উপর ফিচার পোস্ট হিসেবে যুক্ত হয়ে যাবে। যা কাস্টমারদের কাছে খুব গুরুত্ব পায় ও অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রেও।



উপযুক্ত টেম্পলেট নির্বাচন :

     একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ কে ক্রিয়েট করা ও তাকে অপ্টিমাইজ করার ক্ষেত্রে বিষয় সম্পর্কিত টেমপ্লেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে বিষয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন সেই বিষয় সম্পর্কিত একটি টেম্পলেট কে নির্বাচন করতে হবে।

     ফেসবুক বিজনেস পেজ এর জন্য অনেক প্রকার টেমপ্লেট আছে যেমন রেস্টুরেন্ট এন্ড ক্যাফে এর জন্য নির্দিষ্ট বিজনেস পেজ আছে আবার অন্য কোন বিজনেস এর জন্য অধিক ট্যাব যুক্ত টেমপ্লেট আছে।

     বেশি পরিমাণ ট্যাব যুক্ত টেমপ্লেট গুলি ইউজারদের কাছে বেশি গুরুত্ব পায়। টেম্পলেটকে সেটিং করতে হলে সেটিংস অপশনে গিয়ে টেমপ্লেট এন্ড ট্যাব কে সিলেক্ট করে এখান থেকে যেকোন একটি বেছে নিতে হবে।



অনান্য পেজ লাইক করুন :

      আমরা ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক বিল্ডিং এর কথা অনেক শুনেছি ফেসবুক বিজনেস পেজ এর ক্ষেত্রেও এক ধরনের লিংক বিল্ডিং গড়ে ওঠে কোন পেজ লাইক করার মধ্য দিয়ে।

    যদি আপনার অন্য কোনো ফেসবুক পেজ থেকে থাকে তার সঙ্গেও আপনি আপনার এই ফেসবুক বিজনেস পেজ টি যুক্ত করতে পারেন এর ফলে দুটি পেজের মধ্যে একটি লিংক বিল্ডিং হলে তা অপটিমাইজেশন হওয়ার ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ পায়।

    অনান্য বিজনেস পেজ কে ফলো করতে হলে আপনাকে প্রথমে সেই ফেসবুক বিজনেস পেজ এ গিয়ে তার মোর আইকন ••• এই ধরনের থ্রি ডট ক্লিক করতে হবে যা সেই ফেসবুক পেজের কভার ফটোর মধ্যে থাকে। এবং এখান থেকে লাইক ইউর পেজ এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

     যদি আপনার একের বেশি ফেসবুক পেজ থেকে থাকে তার সবগুলি এখান থেকে আপনি সিলেক্ট করতে পারেন এবং তারপর সাবমিট অপশনে ক্লিক করে ফলো করতে হবে।


ফেসবুক পেজ টিকে ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত করুন :

    আমি ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কারণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট এর মতই একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ কেউ সেই নিয়মগুলো মেনে চলতে হয়।

    এই কারণে একটি ফেসবুক পেজকে অবশ্যই একটি ল্যান্ডিং পেজ হিসাবে একটি ওয়েবসাইটকে রাখতে হয়। যদি আপনি একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য  ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করেন তবুও এই কাজটি আপনি করতে পারেন।

    এর ফলে আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ এ আসা সমস্ত ভিজিটর বা কাস্টমাররা আপনার ওয়েবসাইটে অর্থাৎ ল্যান্ডিং পেজে অবস্থান করতে পারবে।

    এছাড়াও ওয়েবসাইট থেকে কখনও কখনও ট্রাফিক আপনার ফেসবুক বিজনেস পেজ পর্যন্ত পৌঁছাবে অর্থাৎ এক ধরনের লিংক তৈরি হবে ওয়েবসাইট ও ফেসবুক বিজনেস পেজ এর মধ্যে।


Insights থেকে শিখুন :

    একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ ক্রিয়েট হওয়ার পর তার উপরের দিকে মেনুতে ইনসাইড বলে একটা অপশন থাকে। এখানে আসলে ভিজিটর বা কাস্টমারদের নানান রকম ডাটা বা তথ্য থাকে যা তারা গ্রহণ করতে চাই।

    অর্থাৎ ইনসাইড অপশনটি এমন একটি অপশন যেখানে কাস্টমার বা ভিজিটরদের ইনফর্মেশন এবং ফেসবুক বিজনেস পেজ এর নানান রকম পারফরম্যান্স, ইনফর্মেশন, মেট্রিক্স ও কিভাবে ভিজিটরের কাছে পৌঁছাচ্ছে সেই সম্পর্কে ধারণা দেয়া থাকে।

   কিভাবে একটি পোস্ট লিখতে হবে এবং পরবর্তী পোস্ট কি লিখলে সুবিধা হবে এসব সম্পর্কেও এই ইনসাইড অপশন থেকে জানা যায়।

    সাধারণত এই কটি পর্যায় কে ভালোভাবে দেখলে ও ফেসবুক বিজনেস পেজ এ প্রয়োগ করলে তা খুব সহজেই অপটিমাইজ হয়। আর একবার অপটিমাইজ হলে তা থেকে খুব সহজেই ভালো ভিজিটর আশা করা যায়।



আমার মতামত :    ফেসবুক বিজনেস পেজ ক্রিয়েট করা তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় সেটি আশা করি আপনি উপরের সাতটি ধাপ কে দেখেই বুঝতে পেরেছেন।অর্থাৎ আপনার ছোট বা ক্ষুদ্র ব্যবসা কে বড় জায়গায় পৌঁছাতে গেলে ফেসবুক বিজনেস পেজ যথেষ্ট ভাবে সাহায্য করে।

    কি করে একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করতে হয় তা তো দেখলেন কিন্তু আসল বিষয়টি সেখানেই লুকিয়ে থাকে যা আমাদের ভিজিটরকে পৌঁছাতে সাহায্য করে।

     অর্থাৎ আমি অপটিমাইজেশনের কথাটা বলতে চাইছি। যত ভালোভাবে একটি ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা যায় ঠিক ততটা সার্চ ইঞ্জিনে সেই ওয়েবসাইট পৌঁছাতে পারে একই রকম ভাবে একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ কে সুন্দর করে অপটিমাইজ করতে পারলে তা খুব সহজেই দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারে।

    অর্থাৎ আপনি একটি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করে তাতে এমনভাবে অপ্টিমাইজেশন প্রসেসটি করবেন যাতে খুব সহজে আপনার বিজনেস পেজ পর্যন্ত কাস্টমার আসতে পারে।

    আমি যে পদ্ধতিতে আমার ফেসবুক বিজনেস পেজ গুলি অপটিমাইজ করি সেই পদ্ধতি আমি এখানে আলোচনা করেছি। একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করার 15 থেকে কুড়ি দিন এর মধ্যেই মোটামুটি ভিজিটর আসতে শুরু করে।

     এবং আমি যেভাবে আমার ফেসবুক পেজ গুলি তৈরি করেছি সেই সাধারণ ধাপ বা পর্যায়ে গুলি আলোচনা করলাম যদি আপনার কাজে আসে বা আপনি যদি ফেসবুক পেজ কি করে তৈরি করতে হয় এবং কি করে অপটিমাইজ করে তাতে ভিজিটর নিয়ে আসা যায় বুঝতে পারেন তাহলে অবশ্যই আমার এই লেখা সফল হবে।