G Cam কি ? যেকোনো মোবাইলে G Cam কিভাবে ইনষ্টল করা যাবে।

    G-cam এমন একটা অ্যাপ্লিকেশন যা সমস্ত ক্যামেরা প্রেমী বা যারা ফটো প্রেমী মানুষ তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল গুলিতে এই অ্যাপ্লিকেশন টি সাপোর্ট না নেবার কারণে তা একটু চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। 

    বর্তমানে G cam বা গুগল ক্যামেরা এমন একটি চাহিদার বিষয় হলে দাড়িয়েছে, যার কারণে নানান ডেভেলপার এই গুগল ক্যামেরা কে অন্যান্য মোবাইল কিভাবে ইনস্টল করা যায় তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে। এমনকি এখন প্রায় সকল মোবাইল এ এই গুগল ক্যামেরা টি সাপোর্ট করতে শুরু করেছে।
G Cam কি ? যেকোনো মোবাইলে G Cam কিভাবে ইনষ্টল করা যাবে।

   বর্তমান সময়ে প্রায় সকল মোবাইল গুলিতে তিনটি বা সর্বাধিক চারটি করে ক্যামেরার লেন্স যুক্ত করা হয় ফটো কোয়ালিটিকে উন্নত মানের করে তোলার জন্য। প্রতিযোগিতার বাজারে এই বিষয়টি বর্তমানে খুব গুরুত্ব পেয়েছে যে কোন কোম্পানি বেশি সংখ্যায় ক্যামেরা দিচ্ছে।

    10000 টাকার মধ্যে পাওয়া কিছু মিড রেঞ্জের মোবাইলে আজকাল খুব সহজেই তিনটি, চারটি ক্যামেরা দেখতে পাওয়া যায়। এখানে ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, ডেপথ সেন্সর, ও ব্লার সেন্সর ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ একাধিক লেন্স যুক্ত এই সকল মোবাইল গুলি আমাদের খুব উন্নত মানের ছবি দিয়ে থাকে।

    বিশ্বের কয়েকটি নামিদামি কোম্পানি যেমন সামসাং, নোকিয়া ইত্যাদি গুলিও বাজারের এই চাহিদাকে অনুসরণ করে অল্প টাকায় তিনটি চারটি ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল বের করেছে। শুধুমাত্র প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য এই চেষ্টা বলে মনে হয়।

    কিন্তু একটি অবাক করা এবং আশ্চর্য বিষয় হলো গুগোল কোম্পানির নিজস্ব মোবাইল অর্থাৎ গুগোল পিক্সেল এর গুলিতে এখনো পর্যন্ত একটিমাত্র ক্যামেরা লেন্স ব্যবহার করা হয়। যদিও মোবাইল গুলির দাম নেহাত কম নয়। 

    আমাদের বর্তমানে ভাবতে একটু অবাক লাগলেও এত দামি মোবাইল গুলিতে কিভাবে একটি ক্যামেরা ব্যবহার করে এই কোম্পানি এত সুন্দর ছবি দিয়ে থাকে তা অবাক হতে হয়। অন্যদিকে মাত্র 10 হাজার টাকার মধ্যে তিন থেকে চারটি ক্যামেরাযুক্ত যেখানে মোবাইল পাওয়া যায়।

    আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা বলতে পারি যে এই সকল 10 বা 15 হাজার টাকার তিন থেকে চারটি ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল এর ফটো গুগোল পিক্সেল এর একটিমাত্র ক্যামেরা লেন্স এর কাছে অনেকটাই হার মেনে থাকে 

     আমরা এই গুগোল পিক্সেল ফোনে ব্যবহার করা লেন্স বা ক্যামেরা টি কে জি ক্যাম বলে থাকি। জিক্যাম হলো গুগোল ক্যামেরা। আসলে এটি গুগলের দ্বারা তৈরি করা নিজস্ব একটি প্রোডাক্ট এবং এটি শুধুমাত্র তাদের নিজস্ব গুগোল পিক্সেল এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

     


G-CAM বা গুগোল ক্যামেরা কি 


     গুগল কোম্পানি তাদের নিজস্ব স্মার্টফোন গুগোল পিক্সেল এর ক্ষেত্রে যে ক্যামেরা সফটওয়্যার টি ব্যাবহার করে তাকে আমরা জিক্যাম বা গুগোল ক্যামেরা বলে জেনে থাকি। এই অ্যাপ্লিকেশনটি পুরোপুরি সফটওয়্যার এর উপর নির্ভর করে কাজ করে।

    গুগোল পিক্সেল এর মোবাইল গুলিতে একটিমাত্র লেন্স যুক্ত করা থাকে। কিন্তু এই একটি মাত্র লেন্স এর উপর নির্ভর করে গুগোল পিক্সেল G cam সফটওয়্যার টির মাধ্যমে অত্যন্ত এবং হাই রেজুলেশন যুক্ত ছবি আমাদের দিয়ে থাকে।
গুগোল ক্যামেরা কি

    অর্থাৎ গুগোল পিক্সেল শুধুমাত্র একটি ক্যামেরার লেন্স ব্যবহার করে এত উন্নত মানের ছবি কি করে আমাদের দিয়ে থাকে এই প্রশ্নের একটি মাত্র উত্তর তা হলো তাদের নিজস্ব সফটওয়্যার G cam এর মাধ্যমে তা করে থাকে।

    শুধুমাত্র একটি ক্যামেরা হলেও তা সফটওয়ারের মাধ্যমে ছবিটিকে গুণগত দিক থেকে নিজের মত তৈরী করে তা আমাদের প্রদান করে এই কারণে একটি মাত্র ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও উন্নত সফটওয়্যার এর প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুগোল পিক্সেল এর জি ক্যাম ফটো তুলতে সক্ষম।

    যদি আমরা কখনো এই গুগল ক্যামেরা কে অন্য যে কোন নরমাল ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল এ ইন্সটল করি তা থেকেও আমরা উন্নত মানের ছবি পেয়ে যাব। কিন্তু কেন বা কিভাবে এটা সম্ভব।গুগোল ক্যামেরা কিভাবে এত সুন্দর ছবি তৈরি করতে পারে তা  দেখে নি - 

    জিক্যাম দিয়ে আপনি সিঙ্গেল ফটো, এইচ ডি আর ফটো, নাইট সাইট ফটো, পেট্রিয়ট ফটো, এমনকি low-light এর মধ্যেও উন্নত মানের ফটো তুলতে পারেন। কিন্তু এই সকল কিভাবে একটি লেন্সের মাধ্যমে তার সম্ভব।
গুগোল ক্যামেরা কি g cam

    আসলে এই সকল উন্নত মানের ছবি বা ফটো পিছনে গুগোল যে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে তা হলো গুগলের গুগোল ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশন টি। আসলে এই অ্যাপ্লিকেশনটিতে গুগোল মেশিন লার্নিং ফটোগ্রাফির প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এত উন্নত মানের ফটো তুলতে সক্ষম।

    যখন আপনি এই গুগল ক্যামেরা এর মাধ্যমে ফটো তোলেন তখন শুধুমাত্র একটি ফটো এই সফটওয়্যার তোলে না। একই মুহূর্তে এই অ্যাপ্লিকেশনটি মাল্টিপল ফটো তুলতে সক্ষম, এবং সেই ফটোগুলি তোলার পর সফটওয়্যারটি সেই ফটো গুলিকে অ্যালাইন করে। 

     এরপর সফটওয়্যারটি একটি অ্যালগরিদম ব্যবহার করে বুঝতে চেষ্টা করে যে এই ফটোটি আসলে কিসের ফটো এবং তারপর এই সফটওয়্যারটি ওই ফটোর কালারকে এনহ্যান্স করে তোলে এর ফলে যে ফটো তৈরি হয় তা অনেক পরিস্কার ও চোখে সুন্দর দেখায়।

    গুগোল ক্যামেরা এই ফটোগুলি কে সবচেয়ে উন্নত মানের বলে মনে করা হয়, কারণ ক্যামেরাতে ব্যবহার হওয়া এই অ্যালগরিদম টি খুবই উন্নত মানের। আর যে অ্যালগরিদম এর উপর একটি কাজ করে তা হল ফাস্ট ফরিয়ার কালার কনস্টান্সি অ্যালগরিদম। 
গুগোল ক্যামেরা ইমেজ

     আর শুধুমাত্র এই অ্যালগোরিদমের জন্য গুগল ক্যামেরা তে আমরা পোট্রেট মুড, low-light নাইট মোড, ইত্যাদি যায় আর এই সকল বিষয়ের মধ্যেও এই ফাস্ট ফোরিয়ের কালার কনস্টান্সি অ্যালগরিদম টি কাজ করে।

    যেহেতু গুগোল ক্যামেরা টি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে তাদের এত সুন্দর ছবি প্রদান করে তাই অতি সাধারণ মানের একটি ক্যামেরার লেন্স হলেও তার মাধ্যমেও গুগোল ক্যামেরা সুন্দর ছবি তৈরি করতে সক্ষম।

    অর্থাৎ আপনি যদি ইচ্ছা করেন যে আপনার সাধারন লেন্স যুক্ত ফোনে এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে উন্নত মানের ফটো তুলবেন তবে তা সম্ভব।

    কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো যে গুগল তাদের এই তৈরি করা সফটওয়্যার টি কে সবার জন্য ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়নি।এই অ্যাপ্লিকেশনটি শুধুমাত্র গুগলের নিজস্ব পিক্সেল মোবাইল গুলির জন্য প্লে স্টোরে পাওয়া যায়।

    সুতরাং গুগল পারমিশন দেয় না অন্য মোবাইলে তাদের এই গুগল ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশন টি কে ব্যবহার করার জন্য। আর এক্ষেত্রে আমাদের ডেভলপার বন্ধুদের প্রচন্ড পরিমানে কাজে লাগে। কারণ তারা গুগোল ক্যামেরা অ্যাপ টি কে নিয়ে অনান্য মোবাইলের জন্য পোর্ট করে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে।

    অর্থাৎ আপনি তাহলে বুঝতে পারলেন যে এই গুগল ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনটি আমার জন্য প্লে স্টোরে না থাকলেও তা আমরা ডেভলপারদের কাছ থেকে খুব সহজেই নিয়ে আমাদের মোবাইলে ব্যবহার করে ফটো তুলতে পারি।




যেকোনো মোবাইলে G Cam কিভাবে ইনষ্টল করা যাবে।


    গুগোল ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনটি সাধারণত গুগলের নিজস্ব মোবাইল পিক্সেল এর জন্য কোম্পানি তৈরি করেছে।কিন্তু কিছু কিছু মোবাইলের ক্ষেত্রে আমরা ডেভলপারদের থেকে নেওয়া পোর্ট করা জি ক্যাম এপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারি।

    কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের ডেভলপার বন্ধুরা কিছু শর্ত দিয়েছেন যদি এই শর্তগুলি আমাদের মোবাইল পূরণ করে তবে অবশ্যই আমরা এই পোস্ট করা সফটওয়্যার গুলি ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারব। সেগুলি কি - 

  • প্রথমত আপনার মোবাইলটি অবশ্যই camera2api সাপোর্টেড হতে হবে।
  • যদি মোবাইলটি camera2api সাপোর্ট না করে তবে তা এনাবেল করে নিতে হবে।
  • যদি camera2api সাপোর্ট করে তবে ডেভলপারদের ফোরাম থেকে আপনার মোবাইলের জন্য নির্দিষ্ট ফি কেটে নিয়ে তা ইন্সটল করতে হবে।

Camera2api কি 


    camera2api হল এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে এপিআই দ্বারা ক্যামেরা কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব যা কোন মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে ক্যামেরা ফ্রেমওয়ার্ক কিভাবে তৈরি তা জানতে সাহায্য করে।

   এই প্রযুক্তি টি কোন মোবাইলের ক্যামেরার সম্পূর্ণ সেন্সর কে খুঁজে বের করে এবং আমাদের জানতে সাহায্য করে যে ওই মোবাইলটি এপিআই দ্বারা ক্যামেরা কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিনা।

   Camera2api এর মাধ্যমে আমরা কোন মোবাইলের ক্যামেরা সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে জানতে পারি।যদি camera2api থেকে জানতে পারি যে আপনার ফোনটি এপিআই দ্বারা ক্যামেরা কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব তবে আপনি মোবাইলে এই জিক্যাম ব্যবহার করতে পারবেন।

    কোন মোবাইল ক্যামেরা টু এপিআই সাপোর্ট করে কিনা তা জানার জন্য প্লে স্টোর থেকে camera2api probe নামে একটি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে হবে।এবং তারপর অ্যাপ্লিকেশন টি ওপেন করলে সেখান থেকে জানা যাবে যে এটি camera2api কে সাপোর্ট করে কিনা।
Camera2api কি

   যদিও অনেকাংশে এই সফটওয়্যারটি ( G Cam) মোবাইলের হার্ডওয়ার এর উপর নির্ভর করে তবুও কিছু কিছু মোবাইলের ক্ষেত্রে গুগল ক্যামেরা ব্যবহার করার মত স্বীকৃতি দেওয়া থাকে।

     অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করার পর যদি সেখানে হার্ডওয়্যার সাপোর্ট লেভেল লিগাসি থাকে তবে বুঝতে হবে যে আপনার ফোনটি camera2api কে সাপোর্ট করেনা।আর যদি লিমিটেড দেখায় তবে বুঝতে হবে মোবাইলটি camera2api এর মাধ্যমে কিছু কিছু ফিচারস কে সাপোর্ট করে।
Camera2api কি

    আর যদি অপশনে লিমিটেড দেখায় তবে বুঝতে হবে ফোনটি camera2api এর প্রায় সকল ফিচারস কে সাপোর্ট করে। আর যদি লেবেলটি ফুল দেখায় তবে বুঝতে হবে এটি camera2api এর সকল ফিচারস সাপোর্ট করবে।

    এটা গেল camera2api এর সাপোর্টে সফটওয়্যার কতখানি সাহায্য করে সেই বিষয়টি এবার বলি যদি হার্ডওয়ার এর ক্ষেত্রে লেভেল 3 বা তিনে থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে মোবাইলটি Raw ইমেজ তুলতে সক্ষম।


মোবাইলে G Cam  ইনষ্টল


     যদি আপনার মোবাইলে ক্যামেরা টু এপিআই সাপোর্ট করে তবে আপনি অবশ্যই মোবাইলে জি ক্যাম বা গুগল ক্যামেরা ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারবেন।কিন্তু এক্ষেত্রে জানতে হবে যে আপনার মোবাইলের জন্য কোন গুগোল ক্যামেরা ভার্শন টি উপযুক্ত হবে।

    যেহেতু গুগল ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশন টি সকলের ব্যবহারের জন্য তৈরি নয় সেই কারণে আপনার মোবাইল ক্যামেরা টু এপিআই সাপোর্ট করলেও আপনি সরাসরি জিক্যাম প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারবেন না।

    এটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল ও ব্যবহার করার জন্য প্রথমে আপনাকে ডেভলপারদের সাহায্য নিতে হবে। অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ফোরাম এ গিয়ে সেখানে দেখতে হবে যে আপনার মোবাইল এর জন্য কোন ভার্সনটি উপযুক্ত।

   তারপর সেটিকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করলে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য প্রথমে অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ফোরাম এ গিয়ে আপনাকে খুঁজতে হবে আপনার জন্য কোন জিক্যাম অ্যাপ্লিকেশনটি প্রয়োজন। এর জন্য আপনি সরাসরি এখানে ক্লিক করে ডেভলপার ফোরামে যেতে পারেন।

    তবে এক্ষেত্রে একটি কথা যে ফোন বাজারে যত বেশি প্রচলিত সেই ফোনের জন্য এই জি ক্যাম পোর্ট অ্যাপ্লিকেশনটি পাওয়া বেশি সহজ বলে মনে হয়।

   বেশি ব্যবহৃত হওয়া camera2api সাপোর্ট করা মোবাইল গুলির জন্য আমাদের ডেভলপার বন্ধুরা জি ক্যাম পোর্ট করে তৈরি করে।সুতরাং যদি আপনার ব্যবহার করা মোবাইলটি খুব বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় তবে তার জন্য জি ক্যাম বা গুগোল ক্যামেরা খুব সহজেই ফোরাম থেকে পেয়ে যাবেন।



আমার মতামত  :   জিক্যাম বা গুগল ক্যামেরা অনেক ভাবে আমরা আমাদের মোবাইলে ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারি তার মধ্যে যেটি আসল এবং সঠিক বিষয় সেটি নিয়ে আমি আলোচনা করলাম।

   ব্যক্তিগতভাবে আমি কোন হ্যাকিং বা রুট বিষয়গুলিকে সাপোর্ট করিনা তাই কি করে রুট এর মাধ্যমে যে সমস্ত মোবাইলে ব্যবহার করা যায় তা এখানে আলোচনা করলাম না।

   যদি এ বিষয়ে আপনার কোন রকম ইচ্ছা বা আগ্রহ হয় জানতে বা কিভাবে আপনার মোবাইল রুট করে তাতে জিক্যাম বা গুগোল ক্যামেরা ব্যবহার করবেন তবে নিচে কমেন্ট করবেন আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো এই সম্পর্কে আলোচনা করে দিতে।

   জি ক্যাম বা গুগোল ক্যামেরা সত্যিই এমন একটি সফটওয়্যার যার মাধ্যমে আমরা উন্নত মানের ছবি পেতে পারি।শুধু এক্ষেত্রে যে সমস্যাটি বড় তা হল এই সফটওয়্যার টি সকল মোবাইলের জন্য এভেলেবেল নয়।

   তবে যদি আপনার মোবাইলের জন্য জিক্যাম বা গুগল ক্যামেরা ইনস্টল করতে হয় তবে উপরে ডেভলপার ফোরামের লিংক থেকে ক্লিক করে আপনি দেখে নিতে পারেন যে আপনার মোবাইলটি সাপোর্ট করে কিনা।

    যদি সাপোর্ট করে তবে অবশ্যই আপনি সেখান থেকে এপ্লিকেশন বা এপিকে ফাইল ডাউনলোড করে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে পারেন। আমি নিজেও আমার মোবাইলের জন্য ইনস্টল করে ব্যবহার করে দেখেছি অন্যান্য ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশন থেকে এটি শতগুণে অনেক ভালো ফটো দেয়। 

    আমার জানা বিষয় গুলি এবং কিভাবে ইনস্টল করতে হয় তা এখানে আলোচনা করেছি যদি ভাল লাগে বা আপনার উপকার হয় আপনিও যদি করে ব্যবহার করতে পারেন তবে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।