গুগোল ফাস্ট পেজে রেঙ্ক করার জন্য কিভাবে আর্টিকেল লিখতে, হয় ১১ টি বেষ্ট টিপস।

   একটি আর্টিকেল / ব্লগ পোস্ট কিভাবে লিখলে তা খুব সহজেই গুগলের ফাস্ট পেজে রেঙ্ক করানো যাবে তা সমস্ত ব্লগারদেরই একটি জনপ্রিয় জিজ্ঞাসা।

    প্রতিটি ব্লগারদেরই নজর রাখতে হয় তার আর্টিকেল বা ব্লগ পোষ্ট এর উপর কারণ একমাত্র আর্টিকেল / ব্লগ পোষ্ট টি পারে তাদের ওয়েবসাইটটিকে রেঙ্ক করাতে।
গুগোল ফাস্ট পেজে রেঙ্ক করার জন্য কিভাবে আর্টিকেল লিখতে, হয় ১১ টি বেষ্ট টিপস।

    প্রায় সকল ব্লগাররা একটা কথা শুনে থাকবে যে কনটেন্ট ইস কিং অর্থাৎ আপনার ব্লগ পোষ্টের যে কনটেন্ট / বিষয় সেটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য রাজা হয়ে থাকতে পারে কারণ আপনার আলোচিত বিষয় বা কনটেন্ট কোন ভিজিটর পড়ে যদি খুশি হন এবং তৃপ্তি পায় তবে সে আপনার ব্লগ পোস্টে বারবার ভিজিট করবে এবং গুগোল এর থেকে কালেকশন করে আপনার পেজটিকে তাদেরকে নিয়ে আসবে।

     একটি ভালো ব্লগ পোষ্ট লিখতে গেলে প্রথমেই আপনাকে ভালো ভাবে অনুসন্ধান করতে হবে যে আপনি কোন বিষয়টি নিয়ে লিখতে চলেছেন এবং সেই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার গভীরতা কতটা।

ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল কি


       ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল হল আপনার ওয়েবসাইটের একটি পেজ যেখানে আপনি কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 

    যে বিষয়টি আর্টিকেলে আলোচনা করা হয় সেটি সম্পর্কে এখানে গভীরতা প্রকাশিত হয় এবং তা পড়ে দর্শক বা ভিজিটর খুশি হন।

    আর্টিকেল হল এমন একটি বিষয় যেখানে ওয়েবসাইট এর কর্মকর্তা বা এডমিনের জ্ঞানকে দর্শকরা বুঝতে পারে ও তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

     যখন আমরা কোনো বিষয়কে গুগলে সার্চ করি তখন অনেকগুলি ওয়েবসাইট লিংক আমাদের সামনে চলে আসে এর থেকে পছন্দমতো যেকোনো একটিতে আমরা প্রবেশ করে এটা ডিটেইলস বিষয়কে জানতে বা পড়তে পারি এটাই হল আর্টিকেল বা ব্লগ পোষ্ট।

    কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে বা সূক্ষ্ম ধারণা নেওয়ার জন্য আমাদের অবশ্যই ব্লগ পোস্ট এর প্রয়োজন। কারণ এই সমস্ত আর্টিকেল পড়ে আমরা আমাদের অজানা বিষয় গুলি জানতে পারি।

    এবার আপনি যদি একজন ব্লগার হোন এবং যদি জানতে চান যে সঠিক কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে একটি আর্টিকেল বা ব্লগ পোষ্ট লিখলে তা খুব সহজেই গুগলের পেজে রেঙ্ক করানো যায় তবে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত আপনাকে ভালোভাবে দেখতে হবে। কারণ এখানে বর্ণনা করা প্রতিটি বিষয় বা ধাপ আপনাকে আর্টিকেল রেঙ্ক করতে সাহায্য করবে।

     যদি আপনার ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেলটি ইউজার বা পাঠকের মনোযোগী করে তুলতে হয় এবং গুগলের সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করাতে হয় তবে অবশ্যই এই বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে - 



আর্টিকেল এর বিষয় নির্বাচন


     একটি আর্টিকেল কে গুগুলের ফার্স্ট পেজে রাঙ্ক করতে গেলে প্রথমেই আপনাকে আর্টিকেলের বিষয়টি যথাযথ ভাবে এবং গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন করতে হবে।

       এটি সমস্ত ব্লগার দের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন পর্যায়। এখানে আপনাকে একটি আর্টিকেল লেখার আগেই আর্টিকেলের বিষয় কে নির্বাচন করতে হবে। 

     ধরুন গুগুল এর সার্চ ইঞ্জিনে যে বিষয়টি নিয়ে কোনো সার্চ হোয় হয় না সেটি নিয়ে লিখলে আপনি ভিজিটর বা দর্শক পাবেন না, সুতরাং আপনার লাভ হবে না।

     আর্টিকেল লেখার জন্য প্রথমে দর্শক দের জিজ্ঞাসার বিষয়টি অনুসন্ধান করতে হবে। অর্থাৎ দর্শক বা ভিজিটর কি জানতে চাইছে।

    আপনি যদি একবার বিষয়টি জানতে পারেন যে ভিজিটর কি চায়ছে তবে আপনার কাছে এই আর্টিকেলের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। 

   দর্শক রা গুগুলে কি খোঁজ করছে তা জানতে আপনি নিচের কয়েক টি বিষয় কে ব্যাবহার করতে পারেন - 

গুগোল সাজেস্ট কি ওয়ার্ড 
       আমরা যখন গুগোল এ কিছু লিখে সার্চ করতে যাই তখন নিচের দিকে অটোমেটিক কিছু সাজেস্টেড কিওয়ার্ড শো করে এগুলোকে বলা হয় গুগোল সাজেস্টেড কিওয়ার্ড।
Google suggest keywords
Google suggest key word


    প্রাথমিকভাবে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেল লিখতে চাইছেন সে সম্পর্কে গুগলে খোঁজ করলেই আপনি অল্টারনেটিভ কিছু কিওয়ার্ড বা বিষয় পেয়ে যাবেন।

     অর্থাৎ খুব সহজেই আপনি আপনার আর্টিকেল এর বিষয় এখান থেকে নির্বাচন করতে পারেন। 

    এখানে সেই কিওয়ার্ডগুলো বা বিষয়গুলো গুগোল সাজেস্ট করে যেগুলি ভিজিটররা গুগলে গিয়ে সার্চ করে। অর্থাৎ এই বিষয়গুলি নিয়ে লিখলে অবশ্যই আপনার আর্টিকেলটি খুব সহজেই রেঙ্ক করতে পারে।


Quora.com
      Quara.com হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে সার্চ করা বিষয় গুলির উত্তর দেওয়া থাকে।
How to rank an article on Google first page
Quora.com

    প্রতিমুহূর্তে এখানে হাজার হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করে। তাদের এই অনুসন্ধান করা যে কোন একটি বিষয়ে আপনার আর্টিকেল এর বিষয় হতে পারে।

    অর্থাৎ আপনি এখানে গিয়ে মানুষ কি চাইছে বা কি জানতে চাইছে সেগুলো সম্পর্কে খুব সহজে তথ্য পেয়ে যাবেন।

     ভিজিটরের সার্চ করা বিষয় গুলি যদি এখান থেকে আপনি অনুসন্ধান করতে পারেন এবং সেই বিষয়টি নিয়ে যদি একটি আর্টিকেল রচনা করেন তবে খুব সহজেই সেটি গুগলের পেজরেঙ্ক করার সুযোগ পাবে।


গুগল এডওয়ার্ড
        গুগল অ্যাডওয়ার্ড কে আবার গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার বলা হয়। মূলত এটি ফ্রী টুল কিন্তু এর জন্য আপনাকে প্রথমে গুগল এডওয়ার্ডে গিয়ে সাইন আপ করতে হবে আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে।
How to use Google adword
Google AdWords

    সাইনআপ করার পর আপনি গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার এ গিয়ে খুব সহজেই আপনার কিওয়ার্ড বা আর্টিকেল এর বিষয়টি লিখে সার্চ করতে পারেন এবং এখান থেকে আপনি আর্টিকেল সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।

    গুগল অ্যাডওয়ার্ড মূলত এড নেটওয়ার্ক এর উপর কাজ করে। এখান থেকে আপনি কোন কীবোর্ড বা বিষয়ের উপর কেমন বেশিবার সার্চ হয় এবং সেই কী-ওয়ার্ড এর জন্য কেমন সিপিসি পেতে পারেন তা ডিটেইলসে বর্ণনা করা থাকে।

    গুগল অ্যাডওয়ার্ড প্রায় সকল  ব্লগাররা ব্যবহার করে থাকে কারণ এর মাধ্যমে দামি কিওয়ার্ড এবং কম প্রতিযোগিতামূলক বিষয়গুলি খুঁজে বের করতে সুবিধা হয়।

    এখানে মনে রাখতে হবে আপনাকে শুধু বেশি দামি কিওয়ার্ড বা বিষয় নির্বাচন করলেই হবে না সাথে সাথে কম প্রতিযোগিতামূলক বিষয়টিকে নির্বাচন করতে হবে তবে খুব সহজে আপনি রেঙ্ক করতে পারবেন।


  • এছাড়াও আপনি কয়েকটি পেইড কিবোর্ড রিসার্চ টুল ইউজ করতে পারেন যা ইউজ করে খুব সহজেই আপনি আপনার প্রতিযোগী বা কম্পিউটার এবং কোন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন তা নির্বাচন করতে পারবেন যেমন - 


     এটি একটি পেইড টুল কিন্তু এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার বিষয় নির্বাচন করতে পারবেন। কিন্তু এখানে আপনি সাত দিনের জন্য ফ্রি ট্রায়াল নিয়েও আপনার বিষয় নির্বাচন করতে পারেন।
গুগলের ফাস্ট পেজে আর্টিকেল ব্যাংক করাতে গেলে এসিএম রাস কিভাবে ব্যবহার করব
Semrush


    এটি ইউজ করে খুব সহজেই বিষয় নির্বাচন করা যায়। এর মাধ্যমে কম প্রতিযোগিতামূলক বিষয়গুলিও নির্বাচন করা থাকে এবং তাদের সিপিসি বা ক্লিক পার্ কষ্ট রেট বিষয় জানা যায়।

    এছাড়াও আরও কয়েকটি বিশেষ কিওয়ার্ড টুলের ব্যবহার করে বিষয় নির্বাচন করা সম্ভব সেগুলো আপনি খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।


 আরও পড়তে পারেন - 


আকর্ষণীয় হেডলাইন


       হেডলাইন হলো এমন একটি বিষয় যা দিয়ে দর্শক বা ভিজিটর আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে।
হেডলাইন কিভাবে লিখব
Headline

     আপনার আর্টিকেল এর হেডলাইন টি এমন চমৎকার হবে যা দেখে ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইটে আসতে ইচ্ছুক হবে।

     মনে রাখতে হবে আমরা যখন গুগলে কোন বিষয়ে সার্চ করি তারপর অনেকগুলি রেজাল্ট আমাদের সামনে আসলেও আমরা কিন্তু কোন আর্টিকেল বা বিষয়ে প্রবেশ করি তার হেডলাইন পড়ে।

    অর্থাৎ হেডলাইন হলো এমন একটি বিষয় যা আপনার সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে আপনার ওয়েবসাইটের সম্পর্ক তৈরি করে এবং খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার ওয়েবসাইট পর্যন্ত ভিজিটর নিয়ে আসে।

     আর্টিকেল এর হেডলাইন বা শিরোনাম অবশ্যই আকর্ষণীয় হতে হবে যা পড়ে কোন ভিজিটর বা দর্শক আমাদের আর্টিকেল এ লিংকে ক্লিক করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে।

    কিন্তু শিরোনামের বিষয় যেন কখনোই এমন না হয় যে শিরোনামের সঙ্গে আমার আর্টিকেলের বিষয়ে কোনো মিল নেই। যদি এমন হয় শিরোনামের সঙ্গে বর্ণনা করা আর্টিকেল এর কোন মিল না থাকে তবে গুগল কোনদিনই আমার আর্টিকেলকে রেংক করাবে না।

   সুতরাং কোন আর্টিকেল লিখতে গেলে প্রথমেই এটাকে দিতে হবে যে আমার আর্টিকেলটির হেডলাইন শিরোনাম কি হবে। শিরোনামে অবশ্যই মূল কী-ওয়ার্ডটি প্রথম দিকে ব্যবহার করতে পারলেই ভালো। 

      তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে শিরোনাম যেন অধিক বড় না হয় এবং আর্টিকেলের বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শব্দগুলি শিরোনামে ব্যবহার করা যেতে পারে।


মেটা ট্যাগ 

    মেটা ট্যাগ এটি আসলে কি। মেটা ট্যাগ এমন একটি কি ওয়ার্ড এর সমষ্টি যা আমাদের আর্টিকেল এর লিংক এর নিচে সার্চইঞ্জিনে অবস্থান করে।
মেটা ট্যাগ কিভাবে লিখব
Meta tag

     মেটা ট্যাগ এর মধ্যে সেই বিষয়টি লেখা থাকে যা আমরা আমাদের আর্টিকেলে বর্ণনা করেছি। অর্থাৎ বলতে পারি মেয়েটা টাকা হবে আমাদের বর্ণনা করা আর্টিকেল বা ব্লগ পোষ্ট এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

     প্রথমে ব্লগের টাইটেল এবং পরে এই মেয়েটা ট্যাগ পড়ে দর্শকরা আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলে প্রবেশ করে। সুতরাং রেংক করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

      গুগোল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিন আমাদের বাংলা ইংরেজি বা অন্য কোন ভাষা পড়তে পারে না। তারা বিশেষ কোডের মাধ্যমে পড়তে সক্ষম আর এই কোড গুলো কে মেটা ট্যাগ তৈরি করে গুগোল কল করে।

    আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনপেজ এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রাথমিক একটি ধাপ হলো মেটা ট্যাগ।

    মেটা ট্যাগের মধ্যে অবশ্যই বিষয় সম্পর্কিত keyword5 শব্দ ব্যবহার করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে একাধিকবার কিওয়ার্ড বা বিষয়ের শব্দটি ব্যবহার হলে    তা সঠিক বলে বিবেচিত হয় না।

     অর্থাৎ মেটা ট্যাগের মধ্যে কিওয়ার্ড 1 থেকে দু'বারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে রিলেটেড কিওয়ার্ড বা সম্পর্কিত কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।

    তাহলে আর্টিকেলকে রেংক করাতে গেলে অবশ্যই একটি উপযুক্ত এবং দেড়শ টি শব্দের মধ্যে সংক্ষিপ্ত মেটা ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। মেটা ট্যাগ ব্লগার এ সার্চ ডেসক্রিপশন এর এখানে লিখতে হয়।

    মেটা ট্যাগ কখনোই অধিক শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। কমপক্ষে 130 এবং বেশি হলে 150 টি শব্দ ব্যবহার করে লিখতে হবে।



পার্মা লিংক


     প্রায় সকল ব্লগার এই শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু পার্মালিনক কি। পার্মালিনক হল সেই ওয়েব এড্রেস যার মাধ্যমে কোন ভিজিটর বা দর্শক আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে।
কিভাবে
Parmalink

     পার্মালিনক তৈরি করার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যেন বিষয় সম্পর্কিত কী-ওয়ার্ড ওই লিংকে থাকে। যদি পার মা লিংকে বিষয় সম্পর্কিত কী-ওয়ার্ড না থাকে তবে আর্টিকেল রেঙ্ক করা খুবই কঠিন।

    পার্মালিনক কোন রকম সংখ্যা ব্যবহার করা উচিত নয়। লিংকটি যেন অধিকমাত্রায় বড় না হয়, কারন গুগল সার্চ ইঞ্জিনের বর্তমান আপডেট এটিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে।

    পার্মালিনক যত ছোট ও বিষয় সম্পর্কিত হবে ততো বেশী সুযোগ থাকবে আর্টিকেলটি রেঙ্ক হওয়ার। সুতরাং এই দিকে অবশ্যই আপনাকে নজর দিতে হবে।



আর্টিকেলের পরিধি

   গুগলের ফাস্ট পেজে আর্টিকেলকে রেঙ্ক করাতে গেলে আর্টিকেল এর পরিধি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।  সকল ব্লগার দের একটা বড়ো জিজ্ঞাসা হলো, আপনার আর্টিকেল টি কতো বড় লিখলে ভালোভাবে রাঙ্ক হবে। ব্লগার হতে গেলে এটি প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে ।

     প্রথম যখন ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি শুরু হয় তখন আর্টিকেল এর পরিধি বা আর্টিকেল কত বড় লিখতে হবে এ বিষয়গুলি নিয়ে গুগল কোনরকম ধারণা দেয়নি। 

    কিন্তু বর্তমানে গুগল তাদের বিভিন্ন আপডেটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে যে আর্টিকেল এর পরিধি যত বেশি বর্ণনামূলক এবং দর্শকের উপযোগী হবে ততো রেঙ্ক করানোর সুযোগ থাকবে।

    কিন্তু গুগোল এটা পরিষ্কার করে বলেনি যে কত শব্দ সীমা পর্যন্ত আর্টিকেল লিখলে তা খুব সহজে রাগ করবে।আর্টিকেলটি কে যথেষ্ট বড় কমপক্ষে দুই হাজার থেকে তিন হাজার ওয়ার্ড এর ভিতর লিখতে হবে।

    মনে রাখা দরকার আর্টিকেলটি শুধু পরিধিতে বা শব্দসংখ্যা বড় হলেই রেঙ্ক করানোর জন্য যথেষ্ট নয়। লেখাটি অবশ্যই হতে হবে রুচিসম্মত ও নির্ভুল যা খুব সহজে দর্শকদের মনের ইচ্ছাকে পরিপূর্ণ করতে পারে।



কিওয়ার্ড ডেনসিটি

     গুগলের ফাস্ট পেজে আর্টিকেল কে রেঙ্ক করতে গেলে অবশ্যই কিওয়ার্ড ডেনসিটি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যে বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেলটি লিখতে চাইছেন সেই বিষয়ে উপযোগী কিওয়ার্ড কিভাবে ব্লগ পোস্টে ব্যবহার করলে তা রেঙ্ক উপযোগী হবে।

     নির্বাচিত কী-ওয়ার্ডটি সমস্ত শব্দের ভিত্তিতে তিন থেকে 5 শতাংশ পরিমানে ব্যবহার করা যেতে পারে। গুগোল ফর্ম এর মত অনুযায়ী কখনোই বেশি শতাংশ ব্যবহার করা আর্টিকেল গুলি রেঙ্ক করবে এই ধারণা ঠিক নয়। 

    অর্থাৎ যদি আপনার লিখিত আর্টিকেলটি 1000 শব্দ সীমার হয় তবে নির্বাচিত কিওয়ার্ড সর্বোচ্চ 50 বার ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে 30 বারের কম ব্যবহার না হয়।

    কিন্তু সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন হল নির্বাচিত কিওয়ার্ড কোথায় কোথায় কিভাবে ব্যবহার করলে তা খুব তাড়াতাড়ি আর্টিকেল কে রেঙ্ক করতে সাহায্য করবে।

    নির্বাচিত কিওয়ার্ড আর্টিকেল এর প্রথম পেরা তে লিখতে হবে ও প্রতিটি হেড ট্যাগ এরপর শুরু হওয়া লাইন গুলিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। যতবার নির্বাচিত কিওয়ার্ড লেখা হবে ততবার শব্দটিকে বোল্ড করে দিলে ভালো হয়।

    নির্বাচিত শব্দের প্রতিবার ব্যবহার থেকে বিরত থেকে মাঝে মাঝে সমার্থক শব্দ বা রিলেটেড কিওয়ার্ড গুলি ব্যবহার করতে হবে। যাতে গুগল সার্চ ইঞ্জিন খুব সহজেই আর্টিকেলে ব্যবহার হওয়া কিওয়ার্ড সম্পর্কে সচেতন হয়।



হেড ট্যাগ ব্যবহার

      একজন আর্টিকেল রাইটার হিসাবে গুগলের ফাস্ট পেজে আর্টিকেল রেঙ্ক করানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই হেড ট্যাগ এর ব্যবহার জানতে হবে।

     হেড ট্যাগ কি। হেড ট্যাগ হল যে বিশেষ ট্যাগ যা হেডলাইন কে সুনিশ্চিত করে। এই হেডটাগ গুলি আর্টিকেলে H1, H2, H3, H4, ও H5 দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
H1 tag use

    আর্টিকেল এর হেডলাইন টি বা শিরোনাম সবসময়ই H1 দ্বারা নির্দিষ্ট করতে হবে। মনে রাখতে হবে আর্টিকেলে একাধিক H1 ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত নয়। সব সময় এইটা আগে নির্বাচিত কিওয়ার্ডটি যুক্ত করতেই হবে।

    H1 ট্যাগ এর মতই H2 ট্যাগ কে সাব হেডলাইন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একটি আর্টিকেল এ একাধিক মূল বিষয় থাকতে পারে এই মূল বিষয় গুলি কে চিহ্নিত করার জন্য এই হেড ট্যাগ গুলোঃ ব্যবহার করা হয়। সুতরাং আপনার আর্টিকেলে দ্বিতীয় মূল বিষয়ের জন্য H2 ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। তবে একাধিক এই ট্যাগ ব্যবহার করা উচিত নয়।

      ঠিক একই রকম ভাবে অন্যান্য গৌণ বিষয় গুলিকে H3 , H4 ও H5 ট্যাগ এর মধ্যে ব্যবহার করতে হবে। তবে এইটা গুলি থেকে তিনবার ব্যবহার করা যেতে পারে। 

    হেড ট্যাগ এর মাধ্যমে গুগল বট আমাদের আর্টিকেল সম্পর্কে এবং নির্বাচিত কিওয়ার্ড সম্পর্কে সচেতন হয় ও খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে ভিজিট করার সুযোগ করে দেয়।



সম্পর্কিত ফটোর ব্যবহার


      গুগলের ফাস্ট পেজে রেঙ্ক করানো এর ক্ষেত্রে নির্বাচিত কিওয়ার্ড সম্পর্কিত ফটো ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। আমরা দেখে থাকবো যখন গুগলে আমরা কিছু সার্চ করি তখন সেখানে অনেকগুলো অপশন থাকে তার একটা হল ইমেজ আমরা যা সার্চ করি তা সম্পর্কিত ইমেজ গুলি এই ফটো সেকশনে থাকে। 
Photo optimization

     এর মানে হলো ফটো বা ইমেজ দাঁড়াও গুগলের ফার্স্ট পেজে রেংক করা যায়। আর এর জন্য প্রয়োজন হল আর্টিকেলে উপযুক্তভাবে ফটো কে অপটিমাইজেশন করা। 

    যে নির্বাচিত বিষয় নিয়ে আর্টিকেলটি রচনা করেছেন তার সম্পর্কিত ইমেজ আপনাকে ইনপুট করতে হবে। এবং বিষয় সম্পর্কে alt ট্যাগ আপনার ইমেজে ব্যবহার করতে হবে। 

    এর ফলে দুদিক থেকে আর্টিকেলটি রাঙ্ক হবার সুযোগ পাবে, প্রথমত আর্টিকেলটি সুন্দর দেখার জন্য এবং দ্বিতীয়তঃ ইমেজ অপটিমাইজেশন এর জন্য। মনে রাখতে হবে ইমেজ গুলি যেন বেশি পরিমাণ মেমোরি যুক্ত না হয়। কারণ বেশি পরিমাণ মেমোরি যুক্ত ইমেজ গুলি লোড হতে সময় নেয় যা ওয়েবসাইট এর জন্য ভালো নয়।

    আপনার ক্রিয়েট করা ইমেজ গুলি কমপ্রেস করে ব্যবহার করতে পারেন এর ফলে ইমেজের মেমোরি কম হয় যা খুব সহজে আর্টিকেলটি ওপেন হতে পারে।

    তাহলে অবশ্যই একটি সুন্দর আর্টিকেল লিখতে গেলে সেখানে আপনাকে ফটোর ব্যবহার করতে হবে এবং ফটকের যথেষ্টভাবে অপটিমাইজেশন করতে হবে তবেই গুগলের ফাস্ট পেজে রেঙ্ক করানোর একটি ধাপ পরিপূর্ণ হবে।

    
     

লিংক বিল্ডিং


        বেশিরভাগ ব্লগার গুগোল ফাস্ট পেজে রং করানোর জন্য আর্টিকেল এ কিভাবে লিংক বিল্ডিং করতে হয় তা জানেন না। 

     আর্টিকেলে লিঙ্কবিল্ডিং সাধারণত দু'ভাবে করা যায় প্রথমত ইন্টার লিংক বিল্ডিং এবং দ্বিতীয়তঃ আউট বাউন্ড লিংক বিল্ডিং। এই দুটি ভাবে লিংক বিল্ডিং করে খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে উঠে আসা যায়।

      লিখিত আর্টিকেলটিতে আপনার ওয়েবসাইটের অনান্য পেজ গুলির লিংক অবশ্যই এই আর্টিকেল টির মধ্যে উল্লেখ করতে হবে। তবে অবশ্যই এক লিংক বেশিরভাগ জায়গাতে ব্যবহার করা ঠিক নয়।

    এগুলির ফলে প্রতিটি আর্টিকেল এর লিংক প্রতিটি আর্টিকেল এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে ইন্টার লিংকিং বলে। এর ফলে গুগোল বট যখন আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে তখন এই সমস্ত লিঙ্কগুলি ক্রল করে ও খুব সহজেই আমাদের website সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।

     দ্বিতীয়তঃ আউট বাউন্ড লিংক। এই লিঙ্কগুলি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বা আর্টিকেল থেকে অন্য কোন ওয়েবসাইটে কিংবা আর্টিকেলে দেওয়া হয়। 

    জনপ্রিয় ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ইউষ্ট এসইও প্লাগিন, এর মত অনুযায়ী আপনার আর্টিকেল এ অবশ্যই একটি বা দুটি আউট বাউন্ড লিংক ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটটিকে বিশ্বস্ত বলে ধরে নেয়।



ব্যাক লিংকিং        


      আমরা যারা ব্লগের সঙ্গে কমবেশি সম্পর্কিত তারা সবাই জানি কোন আর্টিকেল কে গুগলের ফাস্ট পেজে রেঙ্ক করানোর জন্য ব্যাক লিঙ্ক কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

     প্রথমেই বলি ব্যাকলিংক সাধারণত দুই প্রকার একটি ডুফলো ব্যাকলিংক অন্যটি নো ফলো ব্যাক লিংক। এই দুই প্রকার ব্যাকলিংক থেকে আর্টিকেলে কিংবা ওয়েবসাইটে ভিজিটর / দর্শক নিয়ে আসা যায়।

     শুধু ভিজিটর এর কারণে ব্যাকলিংক তৈরি করা হয় না। ব্যাকলিংক গুলির কারণে ওয়েবসাইট এর গুরুত্ব বাড়ে। আমি যখন অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে আমার আর্টিকেলে ব্যাকলিংক নেব তখন আমার ওয়েবসাইটটির গুরুত্ব গুগোল এর কাছে বেড়ে যাবে। 

     ডুফলো ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে আর্টিকেলে অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে একটি স্বয়ংক্রিয় ধারণা পাওয়া যায়, কিন্তু নোফলো ব্যাকলিংক থেকে সরাসরি ধারণা না পেলেও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব আছে।

    তাহলে যদি আপনার আর্টিকেলটি গুগোল এ রাঙ্ক করাতে হয় তবে অবশ্যই ব্যাক লিঙ্ক ক্রিয়েট করতে হবে। তবে অবশ্যই নোফলো ডুফলো ব্যাকলিংক এর রেশিও মেইনটেইন করা প্রয়োজন, নাহলে গুগোল স্প্যাম হিসেবে গণ্য করে।




গুগল সার্চ কনসোল এর ব্যবহার


     কোন আর্টিকেল কে গুগলের সঙ্গে যুক্ত করতে গেলে অবশ্যই গুগল সার্চ কনসোল কে ভালোভাবে জানতে হবে।  কারণ আপনি যদি আপনার আর্টিকেল এর লিংকটি গুগোল সার্চ কনসলে সাবমিট না করেন তবে গুগোল আপনার আর্টিকেল সম্পর্কে সম্পর্ক থাকবে না।
সার্চ কনসোল কিভাবে ব্যাবহার করবো
Search console

     তাহলে আপনার আর্টিকেলটি যথাযথভাবে লেখার পর তার লিংকটিকে অবশ্যই গুগোল সার্চ কনসলে সাবমিট করুন। লিংকটিকে যথাযথভাবে ফেস করুন যাতে কোন সমস্যা না থাকে। কারণ কোনো রকম ভুল থাকলে গুগল আপনার আর্টিকেল এর লিংকটি কে সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত করতে পারবেনা।






  • আশা করি আমরা এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে কি করে একটি আর্টিকেল লিখলে তা খুব সহজে গুগলে রেঙ্ক করতে পারে তা বুঝতে পেরেছি। এখানে আমি যে বিষয়গুলি বর্ণনা করেছি তা প্রায় সকলেই আমার নিজের ব্যবহার করা।
  • আমি এই ধাপ গুলি ব্যবহার করে যে সুফল পেয়েছি তার দিক থেকে আমি আলোচনা করলাম।
  • ওয়াডপ্রেস এর জন্য বিখ্যাত এসইও প্লাগিন yost seo plagin যেভাবে ব্যবহার করলে কোন আর্টিকেল খুব সহজে রেঙ্ক হয় আমি সকল কিছু তার ভিত্তিতে বর্ণনা করলাম।
  • যদি এই ধাপ গুলি আপনি আপনার ওয়েবসাইট কিংবা আর্টিকেলে যথাযথ ভাবে ব্যবহার করেন তবে অবশ্যই আর্টিকেলটি রাঙ্ক করতে বাধ্য।