কিভাবে মাইক্রো নিস ব্লগ তৈরি করে মাসে ২০০০ $ ইনকাম করবেন, সম্পূর্ণ মোবাইল থেকে।

    যেকোনো নির্দিষ্ট টপিকের উপর বিশেষ কিছু নির্বাচিত কিওয়ার্ড ব্যবহার করে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে আপনিও মাসে ২০০০$ পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন এবং শুধুমাত্র আপনার স্মার্টফোন থেকেই এই কাজ সম্ভব।
কিভাবে মাইক্রো নিস ব্লগ তৈরি করে মাসে ২০০০ $ ইনকাম করবেন, সম্পূর্ণ মোবাইল থেকে।


মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট কি

     মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট ও সাধারণ অন্য একটা ওয়েবসাইটের সমান শুধুমাত্র এখানে যে কোন একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড বা সামান্য একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এই ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করা হয়। যেমন আমরা যখন কোন একটি শব্দ গুগলে সার্চ করি তখন সেই শব্দের সঙ্গে জড়িত যে সমস্ত ওয়েবসাইটগুলি থাকে তারা আমাদের সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে আসে। যদি ভাবি যে আমি গুগলে রেডমি মোবাইল বলে সার্চ করি তবে সেখানে রেডমি মোবাইল সংক্রান্ত যে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটগুলো থাকবে সেগুলি আমার সার্চ ইঞ্জিনে ভিউ করবে। 

    কারণ এই সমস্ত মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটগুলি শুধুমাত্র একটা মাত্র কিওয়ার্ড কে কেন্দ্র করে গঠন করা হয় আর এই কারণে সেই কিওয়ার্ড গুগলে সার্চ করার সঙ্গে সঙ্গে এই সমস্ত কিওয়ার্ড যুক্ত ওয়েবসাইটগুলি সার্চ ইঞ্জিনে ফাস্ট ব্যাংকে স্থান নিয়ে আমাদের সামনে সার্চ রেজাল্টে চলে আসে এবং আমরা খুব সহজেই এই সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিট করি। 


মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট কেন দরকার 


      আমরা যখন গুগলে কোন বিষয়কে সার্চ করি বা খুঁজি তখন গুগোল তার অনুসন্ধান থেকে অসংখ্য ওয়েবসাইট বা ব্লগকে আমাদের সামনে তুলে ধরে। আর সেই সমস্ত ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুলি গুগলের প্রথম দিকে থাকে যেগুলিতে আমার খোঁজ করা কী-ওয়ার্ড সুন্দরভাবে বর্ণনা বা বেশি ইউজ করা আছে। এক্ষেত্রে যে সমস্ত ব্লগ বা মাইক্রো নিযুক্ত ওয়েবসাইট উইকিলিকস করেছে সেই ওয়েবসাইটগুলি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটগুলি গুগলের প্রথম দিকে অবস্থান করে।

     এবার আশা করি আপনি বুঝতে পারলেন যে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত মাইক্রো ওয়েবসাইট তৈরি করলে সেখানে অন্যান্য ওয়েবসাইটে তুলনায় কেন বেশি ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। আপনার মাইক্রো নিযুক্ত ওয়েবসাইটটি ঐ কী-ওয়ার্ড দ্বারা অনন্য ওয়েবসাইটগুলি তুলনায় সার্চ ইঞ্জিনে রেজাল্টে সবথেকে বেশি পরিমাণে জ্যাম করতে পারবে।

    এবার আশা করি বুঝতে পারলেন যে কেন মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট প্রয়োজন। কোন নির্দিষ্ট একটি তথ্যকে ভালো করে বোঝানোর জন্য যদি আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তখনই তাকে বলা হবে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট। আর গুগলে যখন কেউ আপনার ওইতথ্যকে সার্চ করবে তখন স্বাভাবিকভাবেই আপনার ওয়েবসাইটটি প্রথমদিকে রেঙ্ক করবে। এই কারণে একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট প্রয়োজন।


    এবার আসি একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে আপনার কি কি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এখানে বলে রাখি আপনি ইচ্ছা করলে আপনার মাইক্রোনিড ওয়েবসাইট মোবাইল দিয়েও তৈরি করতে পারেন তবে আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে মাইক্রোনিড ওয়েব সাইট তৈরি করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে ডেক্সটপ বেশি সুবিধা দিতে পারে।

      একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে আপনার যে সমস্ত বিষয়গুলি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি হল - 


কিওয়ার্ড রিসার্চ 


       আপনি কোন বিষয়ের উপর আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে চলেছেন সেটি হলো আপনার ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ড। অর্থাৎ যদি আরো ভালো করে বুঝতে হয় তাহলে যে কী-ওয়ার্ড সার্চ করলে কোন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবে সেটি হলো আপনার মাইক্রো নিস কিওয়ার্ড। তাহলে নিশ্চয়ি বুঝতে পারছেন যে এই কী-ওয়ার্ড রিসার্চ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ আপনার মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটের জন্য। একটি বৃহৎ বা মাইক্রোনিড ওয়েবসাইট শুধুমাত্র রেঙ্ক করে বা দাঁড়িয়ে থাকে এই সামান্য একটি কী-ওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করে। 
কিওয়ার্ড রিসার্চ
Add caption

     ব্লগিং কাজের মধ্যে মনে করা হয় এটি একটি কঠিন বা চরম সমস্যা। কারণ একটি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচনী আপনাকে সাহায্য করবে মাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে। আপনি এই কী-ওয়ার্ড নির্বাচন করার জন্য প্রথমত গুগোল সার্চ ইঞ্জিনের সাজেস্ট কিওয়ার্ডগুলো কে বেছে নিয়ে, একটিকে ভালোমতো রিচার্জ করে আপনি আপনার মাইক্রোনিড ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। 

     তবে একথা মনে রাখতে হবে সাধারণত মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটগুলি হাই সার্চ কি-ওয়ার্ড এবং হাই সিপিসি যুক্ত হয়ে থাকে। গুগোল অ্যাডসেন্সে যদি আপনি টাকা ইনকাম করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে এমন কিওয়ার্ড বেছে নিতে হবে যে সমস্ত কিওয়ার্ড গুলিতে এডসেন্স সবথেকে বেশি পরিমাণে টাকা দিচ্ছে এবং গুগলে সেই কিউট গুলি প্রচুর ট্রাফিক আনতে সক্ষম হয়। যদি আপনি এটা নিশ্চিত করে করতে পারেন তবে আপনি অবশ্যই একজন সফল ব্লগার হতে পারেন।

    এখানে আমি কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে মাইক্রো নিস কিওয়ার্ড কে বোঝানোর চেষ্টা করছি। ধরুন আপনি মোবাইল ফোন নিয়ে যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তবে কিন্তু সেটি মাইক্রোনিড ওয়েবসাইট হতে পারে না, কারণ পৃথিবীতে মোবাইল ফোন হাজার কোম্পানি হাজার রকম হতে পারে সুতরাং এটি একটি মাইক্রো নিষ কিওয়ার্ড নয়। 
কিভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয়

    তাহলে কোনটি মাইক্রো নিস কিওয়ার্ড হতে পারে ? এবার আসি ধরুন আপনার মোবাইল কীবোর্ড টিকে যদি রিচার্জ করা যায় তবে দেখা যাবে নোকিয়া স্যামসাং রেডমি ইত্যাদি কয়েক রকমের কিওয়ার্ড পাব। যদি আপনি আরও একটু রিসার্চ করেন তবে সেখানে আমরা পাব মোবাইল ব্যাটারি, এই কী ওয়ার্ড টিকে যদি আরো খানিকটা রিসার্চ করি তবে কতগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিওয়ার্ড পাবো যেমন নোকিয়া মোবাইল ব্যাটারি বা স্যামসাং মোবাইল ব্যাটারি ইত্যাদি। এগুলি আপনার মাইক্রো নিস কী ওয়ার্ড হতে পারে অর্থাৎ সব থেকে ছোট এই কী-ওয়ার্ড দিয়ে যদি আপনি একটি ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করেন তবে সেটি আপনার মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট হবে। 

     আশাকরি কিওয়ার্ড রিসার্চ সম্পর্কে আপনি সম্পূর্ণ তথ্য পেলেন।

আপনি কি ওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য এই টুলগুলো ব্যবহার করতে পারেন - 

  • Semrush
  • Keyword.io
  • Ubersuggest
  • Ahref tools

কিভাবে মাইক্রো নিস কিওয়ার্ড নিয়ে লিখতে হবে

     আপনি কি ওয়ার্ড রিসার্চ করে যে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডটি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য বেছে নিয়েছেন সেটি কে নিয়ে এবার আপনার ডিটেইলস বা বিশদ  লেখার পালা। এই ক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু বিষয় রিসার্চ করতে হবে যেমন যদি আপনার এই বিষয়টি নিয়ে আগে কোন একটি ওয়েবসাইট থাকে তবে সেই ওয়েবসাইটটি কেমন ধরনের আর্টিকেল লিখেছে বা কত ওয়ার্ডের আর্টিকেল লিখেছে বা সেখানে কেমন হেডার ট্যাগ বা কেমন ইমেজ ব্যবহার করেছে তা আপনাকে প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে।

    এগুলো করার পর আপনার নির্দিষ্ট বিষয়টি নিয়ে লেখা শুরু করতে হবে। অবশ্যই আপনার লেখা টি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং যাতে ভিজিটরকে সম্পূর্ণভাবে খুশি করতে পারে সেদিকে নজর দিয়ে লিখতে। 

     আপনার নির্বাচিত কিওটি যেমন ধরুন আমার ক্ষেত্রে নোকিয়া মোবাইল ব্যাটারি এর ক্ষেত্রে আমাকে আর্টিকেল লিখতে গেলে কিছু বিষয় কে খুঁজে বের করতে হবে। যেমন নোকিয়া মোবাইল ব্যাটারি কত প্রকারের হয়, তাতে কি ধরনের সুবিধা বা কি ধরনের অসুবিধা আছে, সেগুলি নিয়ে কোন সমস্যা বা কোন অসুবিধা থাকলে সেই টপিকগুলো আপনাকে আর্টিকেলে তুলে ধরতে হবে। যদি আপনার নির্বাচিত কিওয়ার্ডটি কতগুলি পর্যায়ে বিভক্ত করে আপনার ব্লগে বা আর্টিকেলে আলোচনা করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনার বিষয়টি ব্লকটি হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠতে পারে।


    মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট বা নরমাল কোন ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে আর্টিকেল বা ব্লগ লিখতে গেলে একটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে লিখতে হয় যাকে আমরা বলি কিওয়ার্ড ডেনসিটি অর্থাৎ কিওয়ার্ডের ঘনত্ব।

      এই বিষয়টি গুগোল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি আমার এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে পড়ে থাকেন তবে অবশ্যই দেখবেন আমি বলেছি গুগোল সেই সমস্ত ওয়েবসাইটগুলোকে বা আর্টিকেল গুলিকে তার প্রথম পেজে রেঙ্ক করায় যেগুলিতে ভিজিটরের সার্চ করা কিওয়ার্ডটি সুন্দরভাবে বর্ণনা বা বেশি ব্যবহার করা আছে। এখানে এই বেশিবার ব্যবহার করা কথাটিকেই গুগোল এ কিওয়ার্ড ডেনসিটি বলে থাকে। 

     কিওয়ার্ড ডেনসিটি কি বা কত। এর উত্তরে আমি যতগুলি ব্লগ বা ওয়েবসাইট দেখেছি এমনকি আমি নিজেও ব্যবহার করে বুঝেছি তা হল আপনি যে নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড নিয়ে আপনার ব্লগ বা মাইক্রো নিস ব্লগ লিখছেন সেই কিওয়ার্ড আপনি প্রতি 100 টি ওয়ার্ড  মধ্যে কতবার ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ আরো সহজ করে বলতে গেলে বলতে হয় আপনার নির্বাচিত কী-ওয়ার্ডটি কত পারসেন্ট ব্যবহার করেছেন।

     গুগোল ফোরাম ও বিভিন্ন বড় ব্লগারদের মত অনুযায়ী আপনার নির্বাচিত কী-ওয়ার্ডটি আপনার ব্লগে 3 থেকে 5 পার্সেন্ট থাকলে যথেষ্ট।এর অর্থ হলো গুগোল আপনার ব্লগে 3 থেকে 5 শতাংশ পর্যন্ত কিওয়ার্ড ডেনসিটি কে রিড করে। আপনি যদি মনে করেন যে আমি যত বেশি বার এই কী-ওয়ার্ড ব্যবহার করবো তত আমার ওয়েবসাইটটি ব্যাংক করার সুযোগ পাবে তাহলে এটা আপনার ভুল ধারণা। কারণ বেশি কিওয়ার্ড ডেনসিটি যুক্ত ওয়েবসাইটকে গুগল কল করে না আর করলেও তাকে রেংকিং এ নিয়ে আসে না।

   আশাকরি কি করে আপনার বিষয়টিকে আপনার ব্লগে লিখতে হবে সেটি আপনি ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন।



মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট সেটআপ

      এই কাজটি আপনি খুব সহজেই করতে পারেন।প্রথমে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটিকে কোথায় তৈরি করতে চাইছেন। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটটিকে ওয়ার্ডপ্রেস এ তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি ডোমেইন এর পাশাপাশি হোস্টিং কিনতে হবে।এবং হোস্টিং থেকে একটু উন্নত মানের হওয়া প্রয়োজন কারণ এই ধরনের মাইক্রো নিস ব্লগে প্রচুর মাত্রায় ভিজিটর আসে যাতে কোনো কারনে আপনার ওয়েবসাইটটি স্লো না হয় তার জন্য। 

    আর আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটটিকে ব্লগার এ তৈরি করতে চান তবে আপনাকে শুধুমাত্র একটি ডোমেইন কিনতে হবে। এবং এই ডোমেইনটি কে আপনার ব্লগার এর ফ্রি হোস্টিং এর সঙ্গে কানেক্ট করে আপনার মাইক্রো নিস ব্লগ সাইটটি শুরু করতে হবে। 

    ডমিন টিকে হোস্টিং এর সঙ্গে যুক্ত করার পর একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ও ফাস্ট লোডিং যুক্ত টেমপ্লেট আপনাকে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করতে হবে। কারণ যদি ওয়েব সাইটটি দেরী নিয়ে লোড হয় বা ইউজারের ইন্টারফেসটি পছন্দ না হয় তবে তা আপনার রেংকিং এর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। এই কারণে অবশ্যই একটি সুন্দর টেমপ্লেট আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। 

    ব্লগিং-এর প্রবেশ করলে আপনাকে এসইও সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে। কারণ যদি সঠিক ভাবে আপনার ওয়েবসাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন না করতে পারেন তবে গুগোল আপনার ওয়েবসাইটটিকে ভিজিটরের কাছে পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেনা সুতরাং আপনি গুগলে রেংক করতে পারবেন না।

    ওয়েবসাইটটিকে সঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার পর একই নামে ফেসবুক পেজ টুইটার একাউন্ট ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এমনকি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলুন। এবং সেখানে আপনার বিষয় সম্পর্কে কয়েকটি পোস্ট ও কয়েকটি ভিডিও আপলোড করুন। এটা থেকে আপনি মনে করতে পারেন খুব বেশি লাভবান হবেন না কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যে ব্যাক-লিংক গুলি আপনি পাবেন তাতে আপনার ওয়েবসাইটটি রেঙ্ক করতে পারবে। 

   মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটটি গঠন হওয়ার পর একটি সাইটম্যাপ তৈরী করে গুগল সার্চ কনসলে সাবমিট করুন। এবং আপনি যে সকল ব্লগ পোস্ট করেছেন তার সমস্ত ইউআরএল গুলি সার্চ কনসোলে ফেস করুন। এর মাধ্যমে গুগোল আপনার পোস্টগুলি সম্পর্কে ক্রোল করতে পারবে এবং আপনার ব্লগ পোস্টে কি আছে তা খুব সহজে গুগোল জেনে নেবে। 

    আশা করি কি করে আপনার মাইক্রো নিস ব্লগ সাইট সুন্দরভাবে গঠন করবেন তা আমি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। যদি এ বিষয়ে আরও কিছু জানতে বা সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই নিচে আমাকে কমেন্ট করতে পারেন।



মাইক্রো নিস ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম

     আপনি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্যই আশা করি এই মাইক্রো নিস ব্লগ সাইটটি তৈরি করেছেন। সুতরাং এবার আপনাকে জানতেই হবে কি করে আপনি আপনার এই মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার দুটি সবথেকে জনপ্রিয় উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও এডসেন্স থেকে ইনকাম। 

     প্রথমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বলি, যদি আপনার নির্বাচিত কী-ওয়ার্ডটি একটি পণ্য সম্পর্কিত হয়ে থাকে যা মানুষ অনলাইন থেকে কিনতে আগ্রহী তবে আপনি অবশ্যই আপনার মাইক্রো নিস ব্লগ সাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। যেমন ধরুন আমি বলেছিলাম যে নোকিয়া মোবাইল ব্যাটারি একটি মাইক্রো নিস কীওয়ার্ডস হতে পারে আপনি যদি এই কী-ওয়ার্ডটি ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তবে এখানে আপনি অন্য ওয়েবসাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম নিয়ে মোবাইল ব্যাটারি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
Affiliate marketing

    এবার বলি দ্বিতীয় এবং সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম এডসেন্স থেকে ইনকাম। হ্যা এডসেন্স থেকে ইনকাম করার সবথেকে জনপ্রিয় কেননা এডসেন্সের এড আমাদের ব্লগ সাইটে ব্যবহার করে আমরা তার থেকে যথেষ্ট পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারি। কিন্তু এর জন্য প্রথম যেটি জরুরী তা হলো এডসেন্স থেকে আপনার ওয়েবসাইটটিকে অ্যাপ্রুভ করানো।
What is Adsense

    যদি ওয়েবসাইটটি গুগল এডসেন্সের পলিসিকে ভায়োলেশন না করে থাকে তবে খুব তাড়াতাড়ি আপনি গুগল এডসেন্স থেকে অ্যাপ্রুভ পেয়ে যাবেন। ওয়েবসাইটটি এপ্রুভ পাবার পরই আপনার ওয়েবসাইটে আপনি গুগল এডসেন্সের এড রান করাতে পারবেন এবং তা থেকে যথেষ্ট টাকা আপনি ইনকাম করতে পারেন।


    এই আর্টিকেলটি আমি তাদের জন্য লিখেছি যারা অনলাইন থেকে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে আগ্রহী। হয়তো আমার এই আলোচিত বিষয় বা পর্যায়গুলি আপনার ভালো লাগতে পারে যদি ভালো লাগে তবে অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক করতে ভুলবেন না আরো এই ধরনের নতুন নতুন অনলাইন থেকে ইনকাম বা ইন্টারনেট সমস্যা গুলি সম্পর্কে জানার জন্য ধন্যবাদ।