অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়, তার ১০ টি সহজ উপায়,

    কিভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে হয়, ২০২০ সালে এসে একটি বড় জিজ্ঞাসা হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ এখন আমরা খুব সহজেই অনলাইন এই ধারণাটি বুঝতে পারছি। 

    অনলাইনে টাকা ইনকাম কথা টি যেমন আমরা খুব সার্চ করছি, তেমন পাশাপাশি অনলাইনে আমরা কাজ খুঁজতে গিয়ে খুব ঠকছি। কারণ এখানে কিছু প্রতারক জাল বিছিয়ে আমাদের ঠকানোর চেষ্টা করছে প্রতি মুহূর্তে।
অনলাইনে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়, তার ১০ টি সহজ উপায়,

    তবে এটাও ঠিক যে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা খুব কঠিন কনমকাজ নয়। আপনার একটু নলেজ / জ্ঞান থাকলেই আপনি অনলাইন থেকে মাসে লাখ টাকাও ইনকাম করতে পারেন। এটা গল্প না, সত্যি তার অজস্র প্রমাণ আজ আমাদের কাছে আছে।

    কিন্তু অনলাইন টাকা ইনকাম করতে গেলে আপনাকে অনেক সাবধানে, তা করতে হবে, যেমন হাজার হাজার প্রতারক সংস্থা আছে তেমন অনলাইনে টাকা ইনকাম করার মতো হাজার হাজার ভালো কোম্পানি বা সংস্থা আছে, যারা বহুদিন ধরে কাজ করে আসছে।

    আজকের দিনে দাড়িয়ে অনেক মানুষ অনলাইনে টাকা ইনকাম করছেন, যারা ব্যাক্তিগত ভাবে চাকুরী ছেড়েছেন, এমনকি সরকারি চাকুরীও। এবার তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন যে অনলাইন থেকে কতো টাকা ইনকাম করা যায়। 

    অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার অনেক গুলি পথ আছে যেমন - ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, ইউটিউব চ্যানেল, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। আমি একটু উদাহরণ  দেবার চেষ্টা করছি যে ফ্রিল্যান্সিং করে বাংলাদেশের নাসিম নামের একটি ছেলে মাসে এক থেকে দুই লাখ টাকা ইনকাম করেন।

     অনলাইন থেকে ভারতের অমিত / হর্ষ আগরওয়াল মাসে ৩০ লক্ষ্যের ও বেশি টাকা ইনকাম করেন। আবার ইউটিউব থেকে অনেক ইউটিউব চ্যানেলের মালিকআসে ১০ লাখ টাকার বেশি ইনকাম করেন।



অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম কেনো করবেন


      অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম কেনো করবো, এর উত্তরে একথা আমি বলবো, যেখানে আপনি আপনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কিংবা আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে কাজ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন কেনো সেখান থেকে টাকা ইনকাম করবেন না। 

    অনলাইন প্রচুর কাজ আছে যে গুলি আপনি খুব সহজেই করতে পারেন, আর আপনার এই কাজের মাধ্যমে কিছু ছোট বড়ো কোম্পানি উপকার পেয়ে আপনাকে টাকা দিয়ে থাকে। সুতরাং আপনি অনলাইনের মাধ্যমে অবশ্যই টাকা ইনকাম করবেন।

     কিছু লোক ভাবেন যে অনলাইন কাজ করা ঠিক নয়, বা টাকা পাওয়া যাবে না। হ্যা একথা আমি আগে বলেছিলাম। তবে সেটা কিন্তু সব ক্ষেত্রে ঠিক নয়। কারণ আমরা কিন্তু অনলাইন থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করে থাকি। শুধু আপনাকে ফ্রড বা প্রতারক কে এড়িয়ে চলতে হবে। 

     অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার আরো কারণ আছে ,- আপনি অনলাইনে আপনার অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে শুধু একটি মাধ্যম থেকে নয় অনেক মাধ্যম থেকে পার্ট টাইম কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।

     কিছু legit কোম্পানি আছে যারা টাকা পেমেন্ট নিয়ে কোনো প্রতারণা করেনা। বা তারা আপনার কাজের টাকা আপনার একাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দেয় । যেমন - গুগল অ্যাডসেন্স, পেপাল, ইত্যাদি থেকে টাকা আপনি সরাসরি পেতে পারেন।

    অনলাইনে টাকা ইনকাম করার অনেক মাধ্যম আছে, যা আপনি আপনার মোবাইল ফোন দিয়েও খুব সহজে করতে পারেন। আমি এখানে মোট ১০ টি বেষ্ট আইডিয়া বলবো, যেভাবে আপনি অনলাইনে থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর এদের সব গুলি legit, কোনো ফেক বা প্রতারক কোম্পানি না। 



অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার ১০ টি সহজ উপায়


       মনে রাখতে হবে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে গেলে আপনাকে বিশেষ কাজের জ্ঞান থাকতে হবে। অর্থাৎ যে কাজ গুলো আপনি করতে চান তার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকা উচিত। তানা হলে অসুবিধা হতে পারেন। তবে আপনি এগুলি সিখেও নিতে পারেন। 

    অনলাইনে ইনকাম করতে গেলে আপনার যথেষ্ট কাজের ইচ্ছা থাকতে হবে, কারণ একটু পরিশ্রম প্রথম দিকে করতেই হবে, একথা মনে রাখবেন , কারণ আপনি নতুন, যদি আগে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনার সুবিধা হবে। 

     এখানে আমি অনলাইনের থেকে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় গুলি লিস্ট আকারে দিচ্ছি, তার পর এগুলো নিয়ে বিষদ আলোচনা করবো। কিভাবে আপনি কাজ করতে পারবেন। এদের সবকটি আপনার পসন্দ নাও হতে পারে, তবে শেষ পর্যন্ত দেখুন আপনার ভালো লাগার মতো কাজ ঠিক আছে :)


  • ফ্রিল্যান্সার।
  • আফিলেট মার্কেটিং।
  • ব্লগিং করে ইনকাম।
  • ইউটিউব থেকে ইনকাম
  • ই বুক বিক্রি।
  • কনটেন্ট রাইটার।
  • ফেসবুক পেজ বানিয়ে ইনকাম।
  • পিটিসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম।
  • অনলাইন সার্ভে ।
  • অনলাইনে কোচিং।


ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম


      ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা খুব সহজ উপায়। এই কাজের মাধ্যমে অনেক ব্যাক্তি মাসে কোয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন। সুতরাং আপনিও ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন অনলাইন থেকে।
ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম

      ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে  হলে আপনাকে দুটি অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একটি হলো আপনার ব্যাক্তিগত যে জ্ঞান অর্থাৎ যেটি আপনি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন সেটি। 

    আর অন্যটি হলো আপনার মার্কেটিং এর অভিজ্ঞতা। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং website গিয়ে আপনাকে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে হবে, অবশ্যই প্রোফাইল টি এমন হবে যাতে কাস্টমার পড়ে বুঝতে পারে যে আপনি ওই কাজে দক্ষ।

     অর্থাৎ একটি লোভনীয় প্রোফাইল পারে আপনার যথেষ্ট কাজের যোগান দিতে। তারপর বিক্রি করার মতন কিছু ব্যানার তৈরি করতে হবে, যা দেখে কাস্টমার আপনার কাছে তার কাজ করার জন্য আসবে। 

    ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা কে মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পারেন। মনে রাখবেন এই কাজের মাধ্যমে আপনি বিদেশের লোকের সাথে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন। 

     ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেক কাজ করা যায়, যেমন - রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, web design, Facebook page Create, Instagram page Create, website creation, website SEO, Website Ranking, PDF making, data sheet making, etc.

     ফ্রিল্যান্সিংয়ের এই সমস্ত বিষয়গুলির যেকোনো সামান্য একটি কাজ করে আপনি খুব সহজে 10 থেকে 15 ডলার ইনকাম করতে পারেন। ভাবুন একটি পিডিএফ তৈরি করতে বড়জোর আপনার 10 থেকে 15 মিনিট সময় লাগতে পারে তার জন্য আপনি 5 থেকে 10 ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

    এবার বুঝতে পারলেন যে উপরের যে কোনো একটি ধারণা আপনার মধ্যে থাকলেই আপনি ফ্রিল্যান্স করে প্রচুর টাকা income করতে পারেন অনলাইন থেকে। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বেষ্ট সাইট হলো - ফাইবার ডট কম, ফ্রিল্যান্সিং ডট কম, গুরু ডট কম, ইত্যাদি।



Affiliate মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম 


       অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আমরা কম-বেশি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে জানি। এমনকি বহু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করেন।
Affiliate মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম

     অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এক ধরনের মিডিয়া পাটনার শিপ নিয়ে কাজ করা। কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনি শুধু বিক্রি করে দেবেন এবং তার থেকে কিছু পারসেন্টেন্স আপনাকে দেয়া হবে, একে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। 

     যেমন অ্যামাজন,  ফ্লিপকার্ট কার্ট এই সকল ইকমার্স ওয়েবসাইট গুলো থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। প্রথমে এই সকল ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন করতে হয় ও তারপর কোন প্রোডাক্ট এর লিংক শেয়ার করলে এবং সেই লিঙ্ক থেকে কেউ সেই প্রোডাক্ট কিনলে তার পারসেন্টেন্স সরাসরি একাউন্টে চলে আসে।


     তবে মনে রাখতে হবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ থাকে বিশেষ করে অ্যামাজনের এফিলিয়েট মার্কেটিং পেতে খুবই সুবিধাজনক কিন্তু ফ্লিপকার্টের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পেতে একটু সমস্যা হয়।

    শুধু অ্যামাজন ফ্লিপকার্ড থেকেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় না পৃথিবীতে এমন অনেক ছোট বড় কোম্পানি আছে যাদের থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায় এদের মধ্যে যেমন বিক্রেতা godaddy.com, নেম চিপ, হোস্টগেটর, সাইট গ্রাউন্ড এসব থেকেও অ্যাফিলিয়েট নিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। 

     অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনি প্রয়োজনে আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলতে পারেন এবং সেখানে সকল প্রোডাক্ট এর এফিলিয়েট প্রোগ্রাম দেওয়া থাকবে যদি গ্রাহক আপনার ওয়েবসাইট থেকে কিছু ক্রয় করে তবে আপনি সরাসরি সেখান থেকে উপার্জন করতে পারবেন।

      আবার এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনি আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন সেখান থেকে যদি বিক্রি হয় অবশ্যই আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

     অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর লিংকটি আপনি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ফেসবুক গ্রুপ ইত্যাদির মাধ্যমেও শেয়ার করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে এফিলিয়েট প্রোগ্রামের কিছু কিছু বিষয় বা প্রোডাক্ট এর উপর পারসেন্টেন্স কম বেশি থাকে।

     
     

ব্লগিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম


       অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য যতগুলি দীর্ঘস্থায়ী মাধ্যম আছে তার মধ্যে ব্লগিং অন্যতম একটি মাধ্যম। হ্যাঁ ফ্রিল্যান্সিং করে বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে দীর্ঘস্থায়ী ইনকাম করা যায় কিন্তু এদের মধ্যেও ব্লগিং করে ইনকাম করা অনেক দীর্ঘস্থায়ী বলে মনে করা হয়।
ব্লগিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম

     যদি আপনি একটি ব্লগিং সাইট তৈরি করে আপনার ভাললাগা বিষয়গুলি সেখানে লিখতে শুরু করেন তবে ধীরে ধীরে সেখানে ভিজিটর ভিজিট করতে থাকবে প্রয়োজনে আপনি সেখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

     একবার আপনার ব্লগিং সাইটে প্রচুর ভিজিটর নিয়ে আসতে শুরু করলে সেখানে এডসেন্স এড ব্যবহার করেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। 

    যেখানে আমরা ফ্রীল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করি সেটা অনেকটা অপরের উপর নির্ভর থাকতে হয় কিন্তু যদি নিজে ব্লগিং সাইট তৈরি করে ইনকাম শুরু করেন সেটা নিজস্ব ইনকাম বলে আপনি মনে করতে পারেন। কারণ ব্লগ সাইটটি আপনার নিজের এবং নিজেই তৈরি করে আপনার আইডিয়া জ্ঞান কে শেয়ার করেন।

      ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করা একটি ইন্টারেস্টিং বিষয় বর্তমানে প্রচুর বাংলাভাষী স্টুডেন্টরা তারা ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করছে অনলাইন থেকে। অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার যতগুলি পথ আছে তার মধ্যে এটি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম।

     দু'বছর আগে থেকে আমি ব্লগিং শুরু করি এবং এই কাজটিকে এখন আমি পার্টটাইম হিসাবে ধরে নিয়ে করি যেখান থেকে আমার ভালো ইনকাম শুরু হয়েছে। ব্লগিং করার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়ার প্রয়োজন নেই তবে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা করে দিলেই যথেষ্ট।

      ব্লগিং করতে হলে প্রথমে একটু শ্রম বিনিয়োগ করতে হয় কিন্তু একবার তা থেকে টাকা আসতে শুরু করলে আপনি রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে টাকা ইনকাম করতে পারেন। অর্থাৎ আপনার ইনকাম অনলাইন থেকে একবার শুরু হলে তা সহজে বন্ধ হবে না এবং আপনার কিছু করারও প্রয়োজন হবে না।

      প্রথমদিকে ব্লগ সাইট তৈরি করে তিন থেকে চার মাস একটু পরিশ্রম করে সাইটটি পুরোপুরি তৈরি করে নিলে তারপর থেকে দিনে 2 থেকে 3 ঘন্টা কাজ করলে মাসে কমপক্ষে 10 থেকে 15 হাজার টাকা ভালোভাবে ইনকাম করতে পারবেন অনলাইন থেকে।





ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম 


     বর্তমান দিনে দাঁড়িয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো ইউটিউব ভিডিও বানানো। মনে করি এই আর্টিকেলটি পড়ার আগে আপনি হয়তো একবার চেষ্টা করেছেন ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে কি করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায়।
ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম

     ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে গেলে আপনাকে ভিডিও বানানোর দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। তবে আপনার যে বিষয়ে জ্ঞান আছে বা যে বিষয়ে আগ্রহ আছে আপনি সেই বিষয় এর উপর ভিডিও বানিয়ে গ্রাহককে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।

      ধরুন আপনার ট্রাভেলিং করতে ভালো লাগে তবে আপনি ট্রাভেলিং করার ভিডিওগুলি বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন এবং যদি দর্শকদের তা ভালো লাগে তবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করবে। 

     ইউটিউব এর যে সকল ক্রাইটেরিয়া আছে তা যদি আপনি পাস করে যান তবে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি টাকা ইনকাম করার জন্য রেডি হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনার চ্যানেল টি মনিটাইজেশন অন হলে তা থেকে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

     ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার আসল মাধ্যম হলো এডসেন্স এড। এডসেন্সের এড আপনার ভিডিওর উপর প্রদর্শিত হলে তা থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আর এডসেন্সের এড প্রদর্শিত হবার জন্য আপনার চ্যানেলটিকে অবশ্যই প্রথমে মনিটাইজেশন অন হতে হবে।

      বর্তমানে ইউটিউবের মনিটাইজেশন অন প্রক্রিয়াটি একটু কঠিন হলেও আপনার ভিডিও যদি ভাল হয় তবে অবশ্যই আপনি খুব তাড়াতাড়ি তা করে নিতে পারবেন।মনিটাইজেশন অন হতে গেলে কমপক্ষে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম হওয়া চাই।

      অর্থাৎ আপনি যদি ঘরে বসে ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করতে চান তবে অবশ্যই ইউটিউব আপনার জন্য একটি বেস্ট প্লাটফর্ম হতে পারে। আর ইউটিউব থেকে ইনকাম ভিউজ এর উপর নির্ভর করে যত পরিমাণ বেশি ভিউ হবে ততো আপনার ইনকামের পরিমাণটা বেড়ে যাবে। 

    ইউটিউব থেকে যে কী পরিমানে অর্থ ইনকাম করা যায় তা আমরা টেকনিক্যাল গুরুজি বা টেকনিক্যাল দোস্ত ও ভুবন বাম এদেরকে দেখলেই বুঝতে পারবে যারা প্রতিমাসে 4 থেকে 5 লাখ টাকা ভালোভাবে বাড়ি বসে ইনকাম করে।

    আপনার ভাললাগা বিষয়টি অবশ্যই আপনি যদি গুরুত্ব দিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করেন এবং তা যদি মানুষের ভালো লাগে তবে অবশ্যই আপনিও ইউটিউব থেকে যথেষ্ট ভাবেই সাপোর্ট পেতে পারেন। ইউটিউব থেকে ইনকাম একটি long-term প্রসেস বলে মনে করা হয় কারণ এখান থেকে ইনকাম শুরু হলে তা দীর্ঘদিন ধরে চলে।



ই বুক বিক্রি করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম 


      আপনি যদি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার একটি বেস্ট অপশন খুলতে চাইছেন তবে এটা আপনার জন্য অবশ্যই বেস্ট হতে পারে। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার একটা অভিজ্ঞতা থাকার প্রয়োজন। 
ই বুক বিক্রি করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম

     বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে আমরা প্রায় সকলেই মোবাইলে মুখ গুঁজে থাকি। তাই ফিজিক্যাল বস্তুর কাছ থেকে আমাদের কাছে ভার্চুয়াল বস্তুটি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এই কারণে ধীরে ধীরে ইবুক অনলাইন বুক খুবই গুরুত্ব পেতে শুরু করেছে।

     এই গুরুত্ব কে কাজে লাগিয়ে আপনি অবশ্যই আপনার ব্যবসাটি অনলাইনে শুরু করতে পারেন। আপনার জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে আপনি ইবুক রচনা করবেন এবং তাকে অনলাইনে বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।

    তবে বলে রাখি ইবুক কি! ই-বুক ইলেকট্রনিক্স বুক, যা আমরা মোবাইল বা কম্পিউটারে রেখেই পড়তে পারি। বর্তমানে বিশ্বের বড় বড় বুক সংস্থাগুলি ই-বুক রচনা করা শুরু করেছে এবং তা যথেষ্ট পরিমাণে মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে কারণ মানুষ প্রায় সকল স্থানেই তাদের হাতের মুঠোয় করে এই বই বহন করে নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে।

    ধরুন আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন নিয়ে যথেষ্ট জ্ঞান আছে তবে আপনি আপনার এই ওয়েবসাইট ডিজাইন নিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটি বই তৈরি করতে পারেন পিডিএফ ফরম্যাটে। এবং এই বইটিকে আপনি instamojo ওয়েবসাইটে গিয়ে আপলোড করে তা থেকে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন।

     আপনার এই ওয়েবসাইট ডিজাইন জ্ঞান আপনার কাছে থাকলেও সকলের কাছে নেই। মানুষ এটাকে জানতে চাই আর আপনি যদি মানুষকে সেটা নিয়ে সাহায্য করেন এই ই-বুকের মাধ্যমে তবে অবশ্যই মানুষ তা সাদরে গ্রহণ করবে। 

     আবার যদি আপনার কাছে কোন বিষয়ের জ্ঞান থাকে আপনি তার উপরেও একটি ই-বুক রচনা করতে পারেন। সেই ইবুক টিকে সাধ্যমত আপনি সুন্দর তৈরি করার চেষ্টা করবেন যাতে মানুষের কাছে খুব সহজেই আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

    আমি ব্যক্তিগতভাবে কয়েকটি ইবুক তৈরী করে instamojo তে আপলোড করে বিক্রি করেছি। যা সরাসরি আমার ব্যাংক একাউন্টে রিসিভ হয়। সুতরাং আপনিও কিন্তু এ ভাবে ইবুক তৈরী করে অনলাইন থেকে যথেষ্ট পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।




 কনটেন্ট রাইটিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম


        কনটেন্ট রাইটিং করে অনলাইন থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। ভাবুন আমি এই যে আর্টিকেলটি লিখেছি এটি লিখতে আমার নিজের ভালো লাগে এমনকি নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আমি এই আর্টিকেলটি লিখেছি।
কনটেন্ট রাইটিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম

    আপনি যদি ঠিক এরকম বিষয় লিখতে আগ্রহী থাকেন তবে অবশ্যই আপনিও একজন ভাল কনটেন্ট রাইটার হয়ে অনলাইন থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কনটেন্ট রাইটার হতে গেলে আপনার নিজের দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।

     আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন কয়েকজনকে চিনি যারা নিজেদের জন্য কাজ না করে অন্যের ওয়েবসাইটকে ডেভলপ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে এবং তার থেকে তারা প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে। 

     তবে কনটেন্ট রাইটার হতে গেলে কয়েকটি ভাষা সম্পর্কে একটু জ্ঞান থাকলে সুবিধা হয়। কারণ বেশিরভাগ কনটেন্ট রাইটার হাইডিঙ হয় ইংরেজি ভাষার জন্য। 

     তবে কোনো কাজই কঠিন নয় প্রথমে আপনাকে ভালো করে শিখতে হবে একবার শিখে গেলে তারপরে আপনার কনটেন্ট রাইটিং করতে গেলে আর কোনো অসুবিধা থাকবে না। তার মানে এটা কখনোই বলছি না যে আপনার ইংরেজি বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।

     এমন অনেক বড় বড় সংস্থা আছে যারা কনটেন্ট রাইটার হায়ার করে। তারা ভালো লেখক খুঁজে বের করে তাদের দিয়ে কনটেন্ট লিখিয়ে প্রতি ঘন্টায় এক হাজার থেকে 5 হাজার টাকা পর্যন্ত চার্জ করে।

     কনটেন্ট রাইটার হতে গেলে আপনাকে যেকোন বিষয়ের প্রতি অনুরাগী হতে হবে অর্থাৎ যে বিষয়ে আপনি অনুরাগী সেই বিষয় নিয়ে আপনি কনটেন্ট লিখতে পারেন। আপনার এই অনুরাগ এর বিষয়টি যদি কোন সংস্থার একবার ভালো লাগে তবে আপনার আর ভাবতে হবেনা।

     প্রথমত বলি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে গেলে আপনার চেষ্টা থাকতে হবে কারণ চেষ্টা ছাড়া আপনি সফল হতে পারবেন না। মন থেকে চেষ্টা করলে আপনি একজন যথেষ্ঠ ভাল কনটেন্ট রাইটার হতে পারেন কারন আপনার কোনো না কোনো বিষয়ে অবশ্যই ভালো লাগে আসে ভালোলাগা বিষয়টি লোকের অবশ্যই ভালো লাগবে যদি আপনি সুন্দরভাবে বর্ণনা করে লেখেন।



ফেসবুক পেজ থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম 


      আপনি একটি ফেসবুক পেজ ডিলিট করে খুব সহজেই অনলাইন থেকে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছে কারণ কমবেশি সকলেই ফেসবুক ব্যবহার করি।
ফেসবুক পেজ থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম

     আপনাকে প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে। এর জন্য আপনার ফেসবুক অ্যাপ এ গিয়ে মেনুতে টাচ করলে সেখান থেকে পেজ অপশন পেয়ে যাবেন এবং এখান থেকে নিউ পেজ ক্রিয়েট করলে আপনি একটি পেজ ক্রিয়েট করতে পারবেন।

     একবার ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট হলে সেখানে আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারেন এই ভিডিও আপনি নিজেও তৈরি করতে পারেন বা অন্য কোন ভিডিওকে আপনার এই পেজে আপলোড করতে পারেন। যখন আপনার ফেসবুক পেজে ফলোয়ার সংখ্যা অধিক পরিমাণ হবে তখন আপনি এই ভিডিওকে ফেসবুক অ্যাপস দ্বারা মনিটাইজ করতে পারবেন।

     ফেসবুক অ্যাড এডসেন্স এড এর মতনই কাজ করে, তবে ন্যূনতম 10 হাজার ফলোয়ার হওয়া প্রয়োজন। যদি আপনার ফেসবুক পেজে 10000 ফলোয়ার থাকে তবে আপনি মনিটাইজ করার জন্য এপ্লাই করতে পারবেন। 

    একবার আপনার ফেসবুক পেজটি মনিটাইজ হয়ে গেলে আপনার ফেসবুক পেজের ভিডিওতে ইউটিউব এর মতনই অ্যাড চালু হবে। একে আমরা বলি ফেসবুক অ্যাড ব্রেক, এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি যথেষ্ট পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

    ফেসবুক এই অপশনটি কিছুদিন আগেই প্রকাশ করেছে ভারতবর্ষে বা বাংলাদেশ। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে ইউটিউব ভিডিও থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব বলে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন।


     সুতরাং আপনিও একটি ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করে তাকে মনিটাইজ করে তা থেকে যথেষ্ট পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এ বিষয়ে আপনার আগ্রহ এবং শ্রম দুটোরই প্রয়োজন।

     আমার জানা কয়েকজন বন্ধু তারা ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করে তার থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে এবং তাদের ফেসবুক পেজে ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় 50 হাজারের মতো। 

     অর্থাৎ তারা এই 50 হাজার ফলোয়ার থেকে প্রায় প্রতি মাসে 15 থেকে কুড়ি হাজার টাকা ইনকাম করে। এবার ভাবতে পারছেন আপনিও কিন্তু একটি ফেসবুক পেজ ডিলিট করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।




পিটিসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম 


      পিটিসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম বর্তমানে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে পরিণত হয়েছে। এটি প্রায় সকল ছাত্র ছাত্রীরা মোবাইল দিয়ে ঘরে বসেই করতে পারে।
পিটিসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম

     এই সকল ওয়েবসাইটে সাধারণত নানান রকম সার্ভে এবং বিজ্ঞাপন দেখা কাজ গুলি করতে হয়। এবং কাজটি সম্পন্ন হলেই ওই ওয়েবসাইটের ওয়ালেটে টাকা জমতে থাকে। তবে এক্ষেত্রে সকল পিটিসি ওয়েবসাইটকে  ভরসা করা উচিত নয়। কারণ এদের বেশির ভাগ website গুলি প্রতারণা করে থাকে। 

      অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম যে সমস্ত ক্ষেত্রে প্রথম দিনে শুরু হয় সেগুলিকে ভরসা করা থেকে দূরে থাকা ভালো বলে আমার ব্যাক্তি গত মত। তবে ysense.com সাইট থেকে কাজ করে অনেকে পেমেন্ট পেয়ে থাকে।

      এরকম অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার একটি ওয়েবসাইট হল neobux.com ।  অর্থাৎ আপনি এই ওয়েবসাইট থেকেও অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারেন কিন্তু অবশ্য্য্য্যই সাবধানতা অবলম্ব হবে। 

   

সার্ভে করে অনলাইনে টাকা ইনকাম


      অনলাইন থেকে অতিরিক্ত টাকা ইনকাম করার অন্যতম সহজ উপায় হলো সার্ভে। অর্থাৎ অনলাইন সার্ভে করে আপনি খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারেন।
সার্ভে করে অনলাইনে টাকা ইনকাম

     বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিভিন্ন সমস্যাকে অনলাইনে সার্ভে করার জন্য কাজ দেয় এগুলি করে ন্যূনতম পাঁচ থেকে 10 ডলার আপনি এক থেকে দু ঘণ্টায় ইনকাম করতে পারেন।

      তবে অনলাইন সার্ভে করার জন্য আপনাকে সচেতন হতে কাজ করতে হবে, কারণ এই সকল কাজের জন্য ভাল পরিমাণ পেমেন্ট পাওয়া যায় ঠিক, কিন্তু কোনো ছল চাতুরী করলে আপনার একাউন্ট টি বন্ধ হলে যেতে পারে।

      বিশিষ্ট কোম্পানি গুগল কিন্তু তাদের সমস্যা নিয়ে সার্ভে করায়। এক্ষেত্রে আপনি এক ঘন্টা কাজ করলে ৭০ ডলার পর্যন্ত টাকা ইনকাম করতে পারেন।
  
     বিষয় টি সহজ ভাবলেও কিন্তু আমার কাছে অতটা সহজ বলে মনে হয় নি। কারণ বিশিষ্ট কোম্পানির জন্য সার্ভে করতে  আপনার যথেষ্ট জ্ঞানের প্রয়োজন আছে। 

   এমনকি কোনো কোনো সার্ভের জন্য আপনার কোডিং নলেজ প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং সেটা না জানলে কিন্তু আপনি এই কাজ খুব সহজে করতে পারবেন না বলে আমি মনে করি। আপনার ক্ষেত্রে অসুবিধা নাও হতে পারে।



অনলাইন কোচিং করে টাকা ইনকাম


     যদি আপনার শিক্ষা বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকে তবে আপনিও একটি অনলাইন কোচিং সেন্টার করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এমন কি আমিও অনলাইনে একটি কোচিং সেন্টার চালায়। 
অনলাইন কোচিং করে টাকা ইনকাম

     এই কাজের জন্য আপনার প্রয়োজন কোনো বিষয়ের বিশেষ জ্ঞান। মনে করেন আপনি ইতিহাস বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী, ত আপনি ইতিহাস বিষয়ের উপর নোট তৈরি করে, কোচিং পড়িয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

    অনলাইন কোচিং সেন্টার করে পড়াতে গেলে ও আপনি নোট গুলো পিডিএফ আকারে বিক্রি করতে পারেন। আবার আপনি নিজেও একটি সাইট তৈরি করতে পারেন। 

     আপনি হয়ত বাইজু নামের অ্যাপটি সম্পর্কে জেনে থাকবেন, এই আপটিও একটি অনলাইন কোচিং সেন্টারের মত কাজ করে। আপনি এই অ্যাপের ইনকাম শুনলে চমকে উঠতে পারেন। মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করে।



আমার মতামত :   যে বিষয় গুলি আমি এই আর্টিকেল বর্ণনা করেছি তার বেশ কয়েকটির সাথে সরাসরি পরিচিত। সেদিক থেকে আমি বলতে পারি আপনিও যদি মন থেকে কাজ করতে চান তবে এই ১০ টি অনলাইনে ইনকাম এর যে কোনো একটি কে নিয়ে আপনার জীবন শুরু করতে পারেন।

    আমি আশাবাদী আপনি অবশ্য সফলতা পাবেন, কারণ একমাত্র লক্ষ্য ঠিক রেখে, যদি আপনি চেষ্টা করে যান তবে সফলতা আসতে বাধ্য। আমিও পেয়েছি, আসা করি আপনিও পাবেন। 

     যদি এই আর্টিকেল সম্পর্কে বা অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আপনার কোনো মোটা মত জানার প্রয়োজন হয় তবে আপনি নিচে কমেন্ট করতে পারেন আমি আপনার উত্তর দেবার চেষ্টা করবো, ধন্যবাদ।