SEO কি, SEO এর A to Z, অন পেজ, অফ পেজ, হোয়াইট হ্যাট, ও ব্লাক হ্যাট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

     আমরা যখন প্রথমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করি এবং তাতে পোস্ট বা আর্টিকেল করতে থাকি তখন আমাদের এই এসইও বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো ধারণা থাকে না। কিন্তু এই এসইও / SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন পারে আমাদের ওয়েবসাইটে হাজার হাজার ট্রাফিক এনে দিতে।

     মোট কথা হল কোন ওয়েবসাইটে যদি এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন না করা হয় তবে তা কখনো গুগোল বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনের পেজে রেঙ্ক করতে পারেনা। এই কারণে আমাদের একটি ওয়েবসাইট তৈরির পাশাপাশি কি করে এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হয় তার ধারণা থাকা প্রয়োজন।
SEO কি, SEO এর A to Z, অন পেজ, অফ পেজ, হোয়াইট হ্যাট, ও ব্লাক হ্যাট সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

     যদি আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে এই এস ই ও যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে না পারি তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত হবে না। সুতরাং প্রত্যেকটি ব্লগারের প্রয়োজন এই এসইও সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখার। 

    প্রত্যেকটি ব্লগারের প্রয়োজন এই এসইও সম্পর্কে জ্ঞান তৈরি করার, কারণ একমাত্র SEO করার ফলেই ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর আসে, আর তার ফলেই ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।

    কিন্তু এসইও / SEO বিষয়টি যত ছোট ভাবে আমরা দেখি তেমন ছোট বিষয় এটি নয় বা খুব সহজে এই বিষয়টিকে শেখা যায় না। এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখানোর জন্য অনেক বড় বড় সংস্থা তাদের টিউটোরিয়াল বিক্রি করেন, যেখান থেকে ভালো ধারণা নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। 

    এ বিষয়ে প্রথমেই বলি আমাদের ওই এসইও / SEO কোর্স গুলি শেখার মত যদি টাকা থাকতো তবে আমরা কখনই এইভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতাম না। অর্থাৎ আমি এটাই বলতে চাইছি যে আমরা টাকা ইনকাম করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করি সেখানে দাঁড়িয়ে টাকা ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

     আমি ব্যক্তিগতভাবে এই কোর্স গুলি করে যা বুঝেছি তা আমার ওয়েবসাইটের উপর প্রয়োগ করি এবং তা থেকে আমি যথেষ্ট সফলতা পেয়েছি। যদিও আমার সেই এসইও / SEO সম্পর্কে জ্ঞান পরিপূর্ণ নয়, আমি যেটুকু বুঝেছি এসইও সম্পর্কে তা আমি আজ আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।

     যদি আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত কোন ব্যক্তি পড়ে থাকেন তবে আমি এটুকু কথা দিতে পারি এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রাথমিক এবং কঠিনতম কিছু ধাপ আমি আপনাদেরকে পরিষ্কার করে দিতে পারব। 



SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কি


      এস ই ও /SEO নামটি অনেক ছোট, এর পুরো নাম সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, এটুকু থেকে যে ধারণা আমরা নিতে পারি তাহলো কোন সার্চ ইঞ্জিন এর সঙ্গে আমাদের ওয়েবসাইট কে যুক্ত করার নিয়ম টি কে বলা হয় এস ই ও বা Search Engine Optimization

     ধরুন আপনি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট তৈরি করেছেন কিন্তু সেই সাইট সম্পর্কে কোন সার্চ ইঞ্জিন অর্থাৎ গুগল-ইয়াহু কেউ পরিচিত নয়। তাহলে কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটে এই সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে ভিজিটর পৌঁছাবে।

    আশাকরি এইটুকু ধারনা দিতে পেরেছি, এবার বলি কোন সার্চ ইঞ্জিন এর সঙ্গে আমাদের ওয়েবসাইটটি কে যুক্ত করার অনেক রকম রীতি এবং পদ্ধতি থাকে। এই সকল পদ্ধতিকে একসঙ্গে আমরা বলি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO ।

     আমরা যখন আমাদের কোন আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটকে কোন সার্চ ইঞ্জিন এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই, তখন সেই সার্চ ইঞ্জিনের উপযুক্ত করে তোলাটা আমাদের একান্ত ভাবে জরুরী কারণ এই বিষয়টিকে আমরা SEO বলে থাকি। 

     এখানে উদাহরণসহ যদি গুগল সার্চ ইঞ্জিনের কথা বলি তবে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে কোন ওয়েবসাইটকে অপ্টিমাইজ করার কমপক্ষে 200 টি পথ  আছে। এই 200 টি পদ কে একসঙ্গে বলা হয় গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

     আমরা  প্রতিটি ব্লগার গুগল সার্চ ইঞ্জিনের বিষয়ে বেশি মনোযোগী হই এর একমাত্র কারণ পৃথিবীর সমস্ত ট্রাফিকের 92 শতাংশ গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসে। এই কারণে আমাদের ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য চেষ্টা করি।


ওয়েবসাইটে কিভাবে ভিজিটর / ট্রাফিক আসে


     আমরা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর চেষ্টা করি সেখানে ভিজিটর বা দর্শককে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু সোজাসোজি আমাদের পেজে বা ওয়েবসাইটে কোনো দর্শক কিন্তু আসেনা। এই দর্শক বা ভিজিটর নিয়ে আসার তিনটে পথ আছে -

    প্রথম পথটি হল সোশ্যাল শেয়ারিং, আমি যে আর্টিকেল টি লিখেছি তাকে ভিজিটর বা দর্শকের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু এইভাবে বড়জোর 300 থেকে 400 জন ভিজিটর পেতে পারি, সেটিও দীর্ঘসময়ের জন্য নয়।

    দ্বিতীয় পথটি হল পেইড প্রমোশন, অর্থাৎ টাকা দিয়ে অ্যাড চালিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমদিকে আমাদের ওয়েবসাইট বা পেজকে রান করানো যায়। এর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয় যা আমাদের দ্বারা অসম্ভব।

    তৃতীয় পথটি হল আমাদের ওয়েবসাইটটি কে বা আর্টিকেল গুলিকে ভালোভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করানো।এবং এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক কারণ দ্বিতীয় পথটি আমাদের কাছে খুবই কঠিন। যদি ভালোভাবে এই তৃতীয় পথটিকে বেছে নিতে পারি তবে খুব সহজেই আমরা ভিজিটর বা দর্শক পাবো। 

    একবার যদি ভালোভাবে এসিও /SEO করা যায় তবে আমাদের পেজ বা ওয়েবসাইটটি খুব সহজেই ফাস্ট পেজে উঠে আসতে পারে এবং তা থেকে আমরা প্রচুর ট্রাফিক পেতে পারি। সমস্ত ব্লগারদের এটি গুরুত্বপূর্ণ চেষ্টা যার থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ইনকাম করা যায়। এই ট্রাফিক গুলোকে বলা হয় অর্গানিক ট্রাফিক।

    আর এই অর্গানিক ট্রাফিক গুলো পাওয়ায় হবে আমাদের একমাত্র প্রচেষ্টা, আর এটি একমাত্র ভালোভাবে এসিও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার ফলে আমরা পেতে পারি। 

    আগেই বলেছি যে গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর কমপক্ষে 200 টি বিভিন্ন ধাপ আছে যার মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল এই সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পরিচয় লাভ করে এর মধ্যে যে বিষয়গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি পরপর নিচে আলোচনা করলাম।


SEO এর A to Z 


      এসইও অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে আমাদের ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসার প্রাথমিক দুটি পদ্ধতি আছে। একটি হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও এবং অন্যটি হল ব্ল্যাক হ্যাট এসইও। 

    হোয়াইট হ্যাট এসইও কি। গুগল এর সার্চ রেজাল্টে আসার জন্য, গুগল যে নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করার কথা বলেছে সেই ভাবে যদি আমার আর্টিকেল বা ওয়েবসাইট কে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসতে পারি বা নিয়ে আসি তখন তাকে বলা হয় হোয়াইট হ্যাট এসইও।

     হোয়াইট হ্যাট এসইও / White hat SEO এর মধ্যে পড়ে সুন্দর একটি উপযুক্ত আর্টিকেল লেখা, কিওয়ার্ড কে যথার্থ পরিমাণে অপটিমাইজেশন করা, আর্টিকেল এর মধ্যে রিলেটেড ইমেজকে অপটিমাইজেশন করা, উপযুক্ত পরিমাণে হেডার ট্যাগ ব্যবহার করা ইত্যাদি। এগুলি করে যদি আমাদের ওয়েবসাইট কে সার্চ রেজাল্টে আনতে পারি তবে সেই এসইও টি হবে হোয়াইট হ্যাট এসইও।

     এবার আসি ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কি। হোয়াইট হ্যাট এসইও এর কিছুটা বিপরীত ধারণা, যার মাধ্যমে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট কে বা আর্টিকেলকে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসতে পারি। এক্ষেত্রে বেশি কষ্ট করার প্রয়োজন হয় না।

    ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর ক্ষেত্রে একটি উপযুক্ত আর্টিকেল লেখার প্রয়োজন হয় না সেখানে ইমেজকে অপটিমাইজেশন হেডার ট্যাগ ব্যবহার কি ওয়ার্ড এর যথার্থ অপটিমাইজেশন না করলেও তা গুগোল এর সার্চ রেজাল্টে চলে আসে।

     এটি এক ধরনের ফোর্স বা জোর প্রচেষ্টা যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন কে বাধ্য করা হয় ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলকে রেজাল্টে প্রথম দিকে নিয়ে আসার জন্য। এই বিষয়টি গুগল সাপোর্ট করেনা। এবং বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে চলতেও পারে না। অল্প কিছুদিনের জন্য এটি চলতে পারে। 

     আমি ব্যক্তিগতভাবে এটাই বলব ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এটি স্প্যাম এটি করে বেশিদিন সার্চ রেজাল্টে টিকে থাকা যায় না, সুতরাং এটা না করাই ভালো। এর ফলে আপনার অ্যাকাউন্টটি / website  বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

     এস ই ও এর জগতে আরেকটি না জানা বিষয়ের কথা আমি আলোচনা করছি যা হলো গ্রে হ্যাট এসইও, এটি এমন একটি টেকনিক যার মাধ্যমে ব্লগাররা বেশি পরিমাণ কষ্ট না করেও সামান্য কিছু পরিশ্রমের মাধ্যমে আর্টিকেলকে খুব সহজে রেঙ্ক / Rank করাতে পারে।

     এগুলি সাধারণত গুগলের কোনও লুপহোল যদি থেকে থাকে তার ফলে খুব সহজে পেজ বা ওয়েবসাইট রেঙ্ক করতে পারে।কিন্তু গুগলের 200 টিরও বেশি অ্যালগরিদম আছে যার মাধ্যমে গুগোল প্রতিটি ওয়েবসাইটকে ক্রল করে, ও এটা ঠিক করে কোন ওয়েবসাইটকে আগে এবং কাকে পরে রেজাল্ট এ নিয়ে আসতে হবে।

      এই ধরনের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে গুগোল কে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয় কারণ প্রতি মুহূর্তে গুগোল অ্যালগরিদম চেঞ্জ করতে থাকে। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের অপটিমাইজেশন পদ্ধতি চলে না। 



অনপেজ এসইও / on page SEO


      আমরা দুটি সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও সম্পর্কে খুব বেশি শুনে থাকি তার একটি হল অন পেজ এসইও। অন পেজ এসইও হল একটি হোয়াইট হ্যাট এসইও এর পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা যেকোনো ওয়েবসাইট কে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসতে পারি।

     অন পেজ এসইও সাধারণত আমরা আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল এর ভিতরে করে থাকি। আমরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার জন্য যখন কোন কিছু আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলে সঙ্গে করি তখন তা অন পেজ এসইও বলে গণ্য হয়। 

    অন পেজ এসইও এর মধ্যে যে বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত সেগুলি আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলে আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করে আমাদের পেজ বা ওয়েবসাইট কে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসতে পারি। এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ সেগুলি হল - 

Website Name Tag :   আমরা অন পেজ এসইও করার প্রথমেই লক্ষ্য রাখবো আমাদের ওয়েবসাইটের নাম টি কে। কারণ ওয়েবসাইটের নাম একটি মেটা ট্যাগ এর অন্তর্গত। এই  ট্যাগ সার্চ ইঞ্জিন প্রথমে ক্রল করে আমাদের ওয়েবসাইটের নাম সম্পর্কে জানতে পারে। 

Website Meta Description :   অন পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কে একটি ডেস্ক্রিপশন  বা বর্ণনা। এটি একটি এইচটিএমএল / html  মেটা ট্যাগ এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট করে বোঝাতে হয় যে আমার ওয়েবসাইটটি কোন বিষয়ের উপর গড়ে তুলেছি। 

     এই মেটা ডেসক্রিপশন যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে আমাদের ওয়েবসাইটের বিষয়টিকে পরিচয় করে দেয় এবং সেই সার্চ ইঞ্জিন আমার ওয়েবসাইটের বিষয়টি জেনে ভিজিটর বা দর্শক পাঠাতে থাকে।

Meta Keywords :   কোন ওয়েবসাইটকে এসইও করতে গেলে সেই ওয়েব সাইটে ব্যাবহৃত নির্দিষ্ট নির্বাচিত কী-ওয়ার্ড গুলি সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিনকে পরিচয় করে দেওয়া উচিত। তাহলে ওই নির্দিষ্ট নির্বাচিত কী-ওয়ার্ড গুলি সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করলে আমাদের ওয়েবসাইট পর্যন্ত ভিজিটর আসতে পারবে।

    Meta Keywords এর মাধ্যমে যে কোন সার্চ ইঞ্জিন আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলের মূল বিষয় এর সঙ্গে পরিচয় লাভ করে এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ওই নির্দিষ্ট কী-ওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে ট্রাফিক সেন্ড করে থাকে।

ইন্টার লিংকিং :   ইন্টার লিংকিং অন্যতম একটি অন পেজ এসইও এর প্রক্রিয়া। ইন্টার লিংকিং হলো আমার ওয়েব সাইটের যে কোন আর্টিকেল এর লিংক যখন অন্য কোন আর্টিকেল এর ব্যবহার করা হবে তখন তা ইন্টার লিংকিং এর কাজ করে।

     ইন্টার লিংকিং প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ অন পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে, কারণ ইন্টার লিংকিং থাকার ফলে যখন কোন একটি পেজকে সার্চ ইঞ্জিন ক্রল করে তখন ওই পেজে থাকা সমস্ত লিঙ্ক গুলি সার্চ ইঞ্জিন ক্রল করে ফেলে, এর ফলে একটি জুস তৈরি হয় যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আর্টিকেল টাইটেল :   যখন কোনো আর্টিকেল লিখব তখন আমাদের এই বিষয়টি ভালো ভাবে অপটিমাইজড করে, একটি নাম বা হেডলাইন দিতে হবে।  
  
   আর্টিকেল এর হেডলাইন টি অবশ্যই নির্বাচিত কী word দিয়ে বিবেচনা করে তৈরি করতে হবে। টাইটেলটি এমন হবে যা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন খুব গুরুত্ব দিয়ে তা ভিজিটরদের সামনে তুলে ধরবে।

পার্মালিনক তৈরি :   পার্মালিনক যেকোন ওয়েবসাইটের একটি আর্টিকেল বা ব্লগ পোষ্ট কে যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে নিয়ে আসার জন্য বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    ওয়েব সাইটের যেকোন একটি পোস্ট বা আর্টিকেল এর একটি নির্দিষ্ট লিংক থাকে যাকে আমরা সহজে দ্বিতীয়বার পরিবর্তন করতে পারব না তাই হল পার্মালিনক। যদি পার্মালিংক টিকে আমরা ভালোভাবে অপটিমাইজ না করি তবে তা সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে আমাদের আর্টিকেল গুরুত্ব পাবে না। 

    কোন আর্টিকেল এর বা পোষ্টের বিষয় সম্পর্কিত ওয়ার্ডকে বা শব্দকে অবশ্যই সেই পোষ্টটির পার্মালিনক ব্যবহার করতে হবে তা না হলে সেই পোষ্ট ভালোভাবে অপ্টিমাইজ হবে না।


সার্চ ডেসক্রিপশন :   সার্চ ডেসক্রিপশন আর্টিকেল এস ই ও করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। কোন আর্টিকেল লেখার সময় তার মূল সারাংশ টুকু সার্চ ডেসক্রিপশন হিসেবে রাখতে হবে।

    সার্চ ডেসক্রিপশন হল ওয়েবসাইটের মেটা ডেসক্রিপশন এর মত।অর্থাৎ সার্চ ডেসক্রিপশন আমাদের কোন আর্টিকেল এর মূল বিষয় সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। 

    সার্চ ডেসক্রিপশনেও মূল কী-ওয়ার্ড বা নির্বাচিত কিওয়ার্ডটি কে ব্যবহার করতে হবে। যাতে সার্চ ইঞ্জিন খুব সহজে এই ডেসক্রিপশন টিকে পড়ে বুঝতে পারে যে কোন বিষয়ে আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

    সার্চ ডেসক্রিপশন অবশ্যই আকর্ষণীয় হবে ও মূল আর্টিকেল এর সঙ্গে মিল থাকতে হবে যদি মূল আর্টিকেল এর সঙ্গে এর কোন মিল না থাকে তবে গুগল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে আর্টিকেলটি যথাযথভাবে ফাস্ট পেজে আসতে পারবেনা।

ইমেজ অপটিমাইজেশন :   ইমেজ অপটিমাইজেশন যে কোন আর্টিকেল এর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। যেকোন আর্টিকেলে ব্যবহার করা ইমেজ গুলিকে ভালোভাবে অপটিমাইজ করা প্রয়োজন।

    ইমেজ অপটিমাইজ করার জন্য ইমেজকে অবশ্যই একটি আর্টিকেল রিলেটেড টাইটেল ও alt ট্যাগ দিয়ে সেভ করতে হবে। এর ফলে আর্টিকেলটি উপযুক্ত ভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হতে পারবে।

    কখনো কখনো ইমেজ অপটিমাইজ করার ফলে আমাদের আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে না আসলেও আমাদের ইমেজ টি খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনের ইমেজ বিভাগে অবস্থান করে। সুতরাং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর অন পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে ইমেজ অপটিমাইজেশন কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।

সাইটম্যাপ তৈরি :   সাইটম্যাপ অন্যতম এবং প্রধান একটি অন পেজ এসইও করার প্রক্রিয়া। সাইটম্যাপ হলো যেকোনো একটি ওয়েবসাইট এর সমস্ত আর্টিকেল এর ম্যাপ। যেখানে যে কোন সার্চ ইঞ্জিন কে নির্দিষ্ট করে বুঝিয়ে দেওয়া হয় এই লিঙ্কগুলি বা আর্টিকেল গুলি আমার ওয়েবসাইটের আর্টিকেল।

     এর ফলে যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন আমাদের আর্টিকেল গুলি সম্পর্কে পরিচয় লাভ করতে পারে ও প্রয়োজনে সার্চ রেজাল্টে আমাদের আর্টিকেলগুলো শো  করতে পারে।



অফ পেজ এসইও / Off page SEO


     একটি ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলকে সার্চ ইঞ্জিনে দেখানোর জন্য অফ পেজ ও অন পেজ এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র অন পেজ এসইও এর ফলে একটি ওয়েবসাইট আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে আসাটা খুব কঠিন, কিন্তু একই সাথে অফ পেজ এসইও করলে খুব সহজে এই আর্টিকেলটি সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম পেজে আসতে পারে।

     অফ পেজ এসইও কি। অফ পেজ এসইও হলো অন পেজ এসইও এর বিপরীত। অন পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে আমরা শুধু আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল এর উপর কিছু প্রক্রিয়া করে থাকি। কিন্তু অফপেইজ এসইওর ক্ষেত্রে ব্যাপারটি অন্যরকম।

    যে পেজটি আমার নয় সেই পেজে গিয়ে আমার পেজ বা আমার ওয়েবসাইটের জন্য লিঙ্ক ক্রিয়েট করা বা আমার ওয়েবসাইট সম্পর্কে কিছু বলা এগুলো সাধারণত অফ পেজ এসইও বলে ধরা হয়।

     অফ পেজ এসইও হোয়াইট হ্যাট SEO এর একটি পর্যায়। কখনোই এটি ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বলে পরিগণিত হয় না, কিন্তু যদি বেশি পরিমাণে অফ পেজ এসইও করে সার্চ ইঞ্জিনকে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয় তখন তা স্পামিং বলে সার্চ ইঞ্জিন মনে করে।

    অন পেজ এসইও এর মতন অফ পেজ এসইও করার কিছু প্রক্রিয়া আছে। যে প্রক্রিয়া গুলির মাধ্যমে আমরা অফ পেজ এসইও করে আমাদের কোন আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে আসতে পারি, সেগুলি হল -

গেস্ট পোস্টিং :   আমি যখন একজন গেস্ট হিসেবে অন্য কোন ওয়েবসাইটের উপর একটি আর্টিকেল লিখব তখন সেখানে আমি একটি আমার ওয়েবসাইটের লিংক বা আর্টিকেল এর লিংক যুক্ত করে দেব। এর ফলে ওই ওয়েবসাইট থেকে আমার ওয়েবসাইটে একটি লিঙ্ক পাবে একে বলা হয় গেস্ট পোস্টিং।

প্রোফাইল লিংকিং :   প্রোফাইল লিংকিং একটি অফ পেজ এসইও বলে ধরা হয়। যখন অন্য কোন ওয়েবসাইটের উপর গিয়ে আমি নিজের একটি প্রোফাইল ক্রিয়েট করব তখন সেখানে আমার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক যুক্ত করে দিতে পারি। হতে পারে সেই লিংকটি নোফলো বা do ফলো কিন্তু এটি আমার ওয়েবসাইটকে নির্দিষ্ট করে তাই এটি একটি অফ পেজ এসইও। 

কমেন্টিং :   আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য কমেন্টের মাধ্যমে অফ পেজ এসইও করতে পারি। যেমন আমরা যদি অন্য কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে কোন পোস্ট এর নিচে কমেন্ট করি এবং সেখানে আমাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কে কিছু বলি তখন সেটি কমেন্টিং অফ পেজ এসইও হয়।

B2B Linking SEO :  বিটুবি এসইও হলো এমন একটি অফ পেজ এসইও এর পর্যায় যেখানে নিজেই একাধিক ব্লগ বা ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে একটি থেকে অন্যটি তে লিংক দেওয়া যায়। এর ফলে একটি ওয়েবসাইট থেকে অন্য একটি ওয়েবসাইটে খুব সহজে ভিজিটর পৌঁছে যাই। 

    সুতরাং এই পদ্ধতি অবলম্বন করেও আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের এসইও কে তৈরি করতে পারি এবং সেটি অবশ্যই একটি অফ পেজ এসইও বলে পরিগণিত হবে।

ব্যাকলিংক তৈরি / Backlinks 


       এই বিষয়টির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি জড়িত বা কিছুটা পরিমাণে পরিচিত বটে। যারা আমরা ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত তারা কম বেশি বুঝে গেছি যে ব্যাকলিংক জিনিসটি কি

     যদিও অফ পেজ এসইও অন পেজ এসইও এর মধ্যে আমি এই সম্পর্কে সামান্য দু'একটি কথা বলেছি তবুও ব্যাকলিংক সম্পর্কে একটু তথ্য এখানে দেওয়ার চেষ্টা করি। ব্যাকলিংক আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। 
Backlinks kivabe banabo

    যদিও গুগল সার্চ ইঞ্জিনের কোন জায়গতে এটা লেখা নেই যে ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইট বা কোন আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে আসতে পারে। কিন্তু বড় বড় সমস্ত ব্লগার দের মত অনুযায়ী এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, একটি ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলকে রেঙ্ক করানোর জন্য।

    ব্যাকলিংক কি। ব্যাকলিংক হলো এমন একটি বিষয় যা আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল অন্য কোন আর্টিকেল বা ওয়েবসাইট থেকে সাপোর্ট পেতে পারে। এখানে ব্যাকলিংক সম্পর্কে বলব যে আমরা যখন অন্য কোন ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল থেকে আমাদের কোন আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটের জন্য একটি লিঙ্ক তৈরি করে তখন তা ব্যাকলিংক হয়। 

    ব্যাকলিংক সাধারণত দুই প্রকার। একটু ফলো ব্যাক লিঙ্ক এবং অন্যটি নোফলো ব্যাকলিংক। এই ডু ফলো ব্যাক লিঙ্ক ও নো ফলো ব্যাক লিঙ্ক দুটি আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলের SEO এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    এটা কখনো মনে করা যাবে না যে শুধুমাত্র ডু-ফলো ব্যাকলিংক থাকলেই আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে প্রথম দিকে থাকবে। ডুফলো ও no ফলো ব্যাক লিংক অবশ্যই একটি সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করতে হবে।

ডুফলো ব্যাকলিংক / Dofollow Backlinks


     ডুফলো ব্যাকলিংক আমাদের ওয়েবসাইটকে ফাস্ট পেজে নিয়ে আসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ডুফলো ব্যাকলিংক পাওয়াটা অনেক কঠিন। যদি অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে আমরা এই লিংকটি পেয়ে থাকি তবে আমাদের ওয়েবসাইটটি গুরুত্ব পায় সার্চ ইঞ্জিনের কাছে।

    এই গুরুত্ব পাওয়ার জন্য এই do ফলো ব্যাক লিংক অত্যন্ত জরুরি। যখন আমরা একটি নামি দামী ওয়েবসাইট থেকে এই ধরনের ডুফলো ব্যাকলিংক পেয়ে থাকি তখন খুব সহজে আমাদের আর্টিকেল বা ওয়েবসাইট ফাস্ট পেজে অবস্থান করতে পারে।

     ডুফলো ব্যাকলিংক কি। যখন অন্য কোনো ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল থেকে আমাদের আর্টিকেলে বা ওয়েবসাইটে একটি লিঙ্ক তৈরি হয় এবং সেই লিংকটি যদি আমাদের ওয়েবসাইটকে নির্দিষ্ট করে তখন তা হয় ডুফলো ব্যাকলিংক

     অর্থাৎ এখানে মূল বিষয়টি হলো লিংকটিকে অবশ্যই নির্দিষ্ট করে সার্চ ইঞ্জিনকে বোঝাতে হয়। যদি লিংকটি নির্দিষ্ট না করে তবে তা ডুফলো ব্যাকলিংক হয়না।

    এবার কথা হল এই ডুফলো ব্যাকলিংক কীভাবে আমরা তৈরি করতে পারি। যদিও এর ধারণা আমি একটু আগেই দিয়েছি তবুও আর একবার বলি do ফলো ব্যাক লিংক আমরা কোন গেস্ট পোস্ট, ব্লগ কমেন্টিং, প্রোফাইল তৈরি, ইত্যাদির মাধ্যমে তৈরি করতে পারি।

     যদি এই বিষয়গুলি না বুঝতে পারেন তবে অফ পেজ এসইও বিষয়টি আর একবার ভালো করে দেখে নিন।

      ডুফলো ব্যাকলিংক এর ক্ষেত্রে আর একটি কথা বলতে চাই তা হল, অনেক ক্ষেত্রে কিছু বড় ওয়েবসাইটকে টাকা দিয়ে Do ফলো ব্যাক লিংক নেওয়া যায়। এমনকি কিছু সংস্থা এই কাজ করে থাকে।

     ডুফলো ব্যাকলিংক তৈরি করার সময় অবশ্যই কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে, তা হল যে ওয়েবসাইট থেকে আমি এই লিংক তৈরি করতে চাইছি সেই সাইটটি যেন আমার সাইটের রিলেটেড হয়।

     দুটি সাইট বা আর্টিকেল এর বিষয় যদি দু রকম হয় তবে তা উন্নত মানের ব্যাকলিংক বলে গণ্য হয় না। সুতরাং ডুফলো ব্যাকলিংক তৈরি করার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।

নো ফলো ব্যাক লিংক / No Follow Backlinks


      No ফলো ব্যাক লিংক আমাদের ওয়েবসাইটের বা আর্টিকেলের রেঙ্ক করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডুফলো ব্যাকলিংক তৈরি করার মতনই নোফলো ব্যাকলিংক তৈরি করা যায়।

    অবশ্যই ব্যাকলিংক তৈরি করার ক্ষেত্রে ডুফলো এবং নোফলো ব্যাকলিংক কে একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে তৈরি করতে হবে, তা না হলে সার্চ ইঞ্জিন একে স্পামিং বলে ধরে নিয়ে ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল এর রেংকিং কে নষ্ট করে দেয়।

      ডুফলো ব্যাকলিংক তৈরি করার মতোই নোফলো ব্যাকলিংক তৈরি করতে গেলে রিলেটেড বা সম্পর্কিত বিষয়টির ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে। সবসময়ই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে রিলেটেড বিষয়গুলি বেশি গুরুত্ব পায়।

    ডুফলো ও নোফলো ব্যাকলিংক তৈরি করতে গেলে যে শব্দ বা সেন্টেন্স ব্যবহার করা হবে অর্থাৎ যাকে আমরা এঙ্কর টেক্সট বলে থাকি তা যেন সম্পর্কিত বা রিলেটেড হয়।

    আর্টিকেল বা ওয়েবসাইট সম্পর্কিত কি ওয়ার্ড যদি অ্যাংকর টেক্সট / Ancor Text এ না থাকে তবে সার্চ ইঞ্জিন সেই লিঙ্ক গুলিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না এর ফলে ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল ফাস্ট পেজে আসতে পারে না।



আমার মতামত :   আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলকে যদি আমরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে ফাস্ট পেজে আনতে না পারি তবে তা কখনই আমাদের কাছে গুরুত্ব পাবে না বা তা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ আমরা আয় করতে পারবো না।

     সুতরাং আমাদের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন খুব গুরুত্ব সহকারে করতে হবে এবং যথেষ্ট পরিমাণে তাকে অপটিমাইজ করতে হবে যার ফলে আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল রেঙ্ক করতে পারে।

    কিন্তু এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার জন্য কখনোই ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বা কালো পথের মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল কে নিয়ে যাব না। এর ফলে আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে ব্লক হয়ে যেতে পারে।

    আমি সবসময়ই হোয়াইট হ্যাট এসইও কে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কারণ সার্চ ইঞ্জিন যে বিষয়গুলি কে গুরুত্ব দেয় তাকে অবলম্বন করে চলা বেশি ভালো বলে মনে করি।

    SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিষয়টি খুব ছোট কোনো বিষয় নয় এটি একটি জটিল বিষয়। আমি ওয়েবসাইটকে গুগল এর ফাস্ট পেজে আনার জন্য যে সমস্ত কৌশলগুলি অবলম্বন করি সেগুলো এখানে আলোচনা করেছি।

    আমার ধারণা এই বিষয়গুলি মেনে চললে যেকোন ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিনে ফাস্ট পেজে অবস্থান করবে। আর এই সাহায্য যদি আপনাদের ভালো লাগে তবে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।