ব্যাকলিংক কি ? কেন দরকার ? কিভাবে ভাল মানের ব্যাকলিংক বানানো যায় ?

    আমরা যারা ব্লগ বা ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত এমন কি এস ই ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত তারা প্রায়ই একটি কথা শুনে থাকি তা হলো ব্যাকলিংক, কিন্তু ব্যাকলিংক কি বা এর প্রয়োজন কোথায় এবং কিভাবে বা একটি ব্যাকলিংক বাড়ানো যায় এর সম্পর্কে আমাদের তেমন কোন ধারণা নেই।

    একজন ব্লগার বা ওয়েবসাইট এর মালিক হিসাবে আমাদের যেকোনো আর্টিকেল বা পোস্টকে গুগোল এর পেজ এ প্রথম দিকে তুলে আনার জন্য প্রয়োজন হয় ব্যাকলিংক

    তবে ব্যাকলিংক সম্পর্কে এই সামান্য ধারণাটুকু সঠিক নয় বা সম্পূর্ণ নয়। কারণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও এর জগতে ব্যাকলিঙ্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় এর কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যাকলিংক কি ? কেন দরকার ? কিভাবে ভাল মানের ব্যাকলিংক বানানো যায় ?

    সুতরাং যদি আপনি একজন ব্লগার বা ওয়েবসাইটের মালিক হয়ে থাকেন তবে এই ব্যাকলিংক সম্পর্কে একটি সুষ্ঠু ও সম্পূর্ণ ধারণা থাকা প্রয়োজন। যদি ব্যাকলিংক সম্পর্কে আপনার সুষ্ঠু ধারণা না থাকে তবে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে যথাযথভাবে অপটিমাইজ করতে পারবেন না। 

    আর যদি আপনার ওয়েবসাইট বা যেকোন আর্টিকেলের অপ্টিমাইজেশান ভালো না হয় তবে তা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবে না। এক্ষেত্রে আপনার লস হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অর্থাৎ একটি আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটকে যেকোন সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে আনতে গেলে ব্যাকলিংক সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে।

   যদি আপনি ব্যাকলিংক সম্পর্কে সামান্য একটি ধারণা নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করেন বা আর্টিকেল লিখে পোস্ট করেন তবে তা সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে ভালো মানের বলে পরিচয় পাবে না ও বেশি মাত্রায় ব্যাকলিংক তৈরি করলে স্প্যাম বলে সার্চ ইঞ্জিন মনে করে।

    আর যেকোন সার্চ ইঞ্জিন এইসকল স্পামিং ব্যাকলিংক গুলি যুক্ত আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটকে তাদের সার্চ রেজাল্টের প্রথমদিকে না নিয়ে আসে নিচের দিকে ঠেলে দেয় এর ফলে আপনার ওয়েবসাইট কখনোই প্রথম দিকে উঠে আসতে পারবে না।

    এখানে একটি সামান্য উদাহরন দিয়ে বলি ধরুন আপনি জানেন যে বেশি পরিমাণ ব্যাকলিংক তৈরি করলে আপনার ওয়েবসাইট বা যে কোন আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে উঠে আসে, সেইমতো আপনি যথেষ্টভাবে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আপনার আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরী করতে শুরু করলেন। 

    এই সকল তৈরি করা ব্যাকলিংক  যদি যথাযথ ও উপযুক্ত না হয় অপটিমাইজেশনের জন্য তবে আপনার ওই আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটের স্পামিং স্কোর / Spaming Score অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যাবে এর ফলে আপনার অজান্তেই আপনার ওই পেজ বা ওয়েবসাইট যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্ব হারাবে।

     তাহলে আশাকরি বুঝতে পারলেন যে এই সামান্য ব্যাকলিংক বিষয়ে একটি ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল এর কাছে কতখানি গুরুত্ব রাখে। এই কারণে আমাদের প্রয়োজন ব্যাকলিংক সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া। চলুন দেখি নি আসলে ব্যাকলিংক কি ?



ব্যাকলিংক কি ? 


     সাধারণভাবে ব্যাকলিংক বলতে আমরা বুঝি একটি ইউআরএল / Url, যা আমাদের কোন আর্টিকেল বা আমাদের ওয়েবসাইট এর জন্য হতে পারে। কিন্তু ব্যাকলিঙ্ক সম্পর্কে এটি সম্পূর্ণ কোন ধারণা নয় চলুন ব্যাকলিংক সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা টা জেনে নি।

    মনে করুন আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে বা বসে আছেন সেটি হলো আপনার ওয়েবসাইট বা যে কোন আর্টিকেল, যদি আপনার পিছনের দিকে কোন মানুষ আপনাকে সাপোর্ট করে তাহলে আপনি ব্যাক থেকে একটি সাপোর্ট পেলেন। আসলে এই সাপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি হলো একটি ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলের জন্য ব্যাকলিংক।

    তাহলে ব্যাকলিংক বলতে গেলে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল এর কোন লিংক যদি অন্য কোন ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল থেকে আসে তাহলে সেটি আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলের জন্য একটি ব্যাকলিংক বলে গণ্য হবে।

    ব্যাকলিংক সরাসরি আমাদের ওয়েবসাইটের ডোমেইন অর্থাৎ প্রধান ইউআরএল বা যেকোনো পোস্ট ও আর্টিকেলের ইউ আর এল এর জন্য হতে পারে। এক্ষেত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। 

    যেহেতু এই সকল লিংক আমরা অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে আমাদের ওয়েবসাইটকে নির্দেশ করে সেহেতু এদেরকে আমরা এক ধরনের সাপোর্ট যুক্ত লিঙ্ক বলতে পারি এই সাপোর্ট যুক্ত লিঙ্ক হল আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক।

    এবার আশা করি ব্যাকলিঙ্ক সম্পর্কে কিছুটা ধারনা হলো। কিন্তু এই ধারণা ব্যাকলিংক সম্পর্কে সকল বিষয়ে জানার মূল বিষয় নয় কারণ ব্যাকলিংক সম্পর্কে এমন অনেক ছোট ছোট বিষয় আছে যেগুলি না জানলে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হতে পারে।



ব্যাকলিংক কেন প্রয়োজন ? 


    ব্যাকলিংক কেন প্রয়োজন এর উত্তরে আমরা নিজেরা অর্থাৎ মানুষেরা নিজেদের দিয়েই একটি উদাহরণ দেবো যদি আমার পিছনে আমার উপর অধিক মানুষের সাপোর্ট থাকে তবে আমি নিজেকে বেশি শক্তিশালী বলে মনে করি। 

    ঠিক একই রকম একটি ওয়েবসাইটে যদি ব্যাকলিংক তৈরি করা যায় বা ব্যাকলিংক নির্দেশ করে তবে সেই ওয়েবসাইটটি যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনের কাছে বেশি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করে, এবং ওই ওয়েবসাইটটি এবং ওয়েবসাইটের বিভিন্ন আর্টিকেল গুলি যে কোন সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে গুরুত্ব পায়।

     ব্যাকলিঙ্ক আসলে একটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর প্রক্রিয়া, যে কোন আর্টিকেল লেখার সময় আমাদের দু'ধরনের ব্যাকলিংক এর কথা প্রায়ই শোনা যায়। যদি আমরা বিশ্বের অধিক ব্যবহার করা এস ই ও প্লাগিন yeost এর কথামতো চলি তবে দেখব সেখানে দুই ধরনের ব্যাকলিংক এর কথা আমাদের মেনে চলতে হয়।

    এক হলো আউটবাউন্ড লিংক ও অন্যটি হলো ইনবাউন্ড বা ইন্টার লিংকিং। এর অর্থ হলো আমার আর্টিকেল থেকে অন্য কোন আর্টিকেল বা অন্য কোন ওয়েবসাইটকে একটি লিংক দিতে হয় তাহলে সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে আমাদের ওয়েবসাইট আর্টিকেলটি গুরুত্ব পায়।

    আবার দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে অর্থাৎ ইন্টারলকিং এর ক্ষেত্রে আমাদের যেকোনো একটি আর্টিকেল যখন বেশি পরিমাণে দর্শকের কাছে গুরুত্ব পায় তখন ওই আর্টিকেলটিতে থাকা আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন লিঙ্কগুলি ক্লিক হয় আমাদের অনান্য আর্টিকেল গুলি গুরুত্ব পেতে থাকে।
ব্যাকলিংক কি ? কেন দরকার ? কিভাবে ভাল মানের ব্যাকলিংক বানানো যায় ?

    একটি ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংকের গুরুত্ব অপরিসীম মূলত তিনটি কারণের জন্য একটি ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক তৈরি করা হয় - ওই ওয়েবসাইটটির একটি ভালো মানের অথোরিটি তৈরি করা, 2 সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে ভালোভাবে Rank করা, ও 3 আমাদের ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়ানো।

    প্রথমটির জন্য অর্থাৎ ভালো মানের অথরিটি তৈরি করার জন্য অবশ্যই ব্যাকলিংকের গুরুত্ব আছে। যখন আমাদের ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন আর্টিকেল গুলি অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পায় তখন আমাদের ওয়েবসাইটের অথরিটি গুরুত্ব বেড়ে যায়।

    সুতরাং আমাদের ওয়েবসাইটের অথরিটি বাড়ানোর জন্য অবশ্যই ব্যাকলিংক এর প্রয়োজন। আর আমরা এটা জানি যে বেশি অথরিটি যুক্ত ওয়েবসাইটগুলি খুব তাড়াতাড়ি সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে রাঙ্ক করে।

    দ্বিতীয় টি অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনে ভালোভাবে রাঙ্ক করার জন্য আমাদের আর্টিকেল এর ব্যাকলিংক এর প্রয়োজন, একটি আর্টিকেল সুন্দর করে লেখার পর আমাদের নজর দিতে হয় তার জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করা। কারণ অন্য ওয়েবসাইট থেকে যত পরিমাণ ব্যাক লিঙ্ক আমাদের ওই আর্টিকেলটির কাছে আসবে কত পরিমান সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আমাদের ওই আর্টিকেলটি গুরুত্ব পাবে।

    সুতরাং আমাদের ওয়েব সাইটের যেকোন আর্টিকেলকে যদি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে রেঙ্ক করতে হয় তবে অবশ্যই ভালো মানের ও বেশি পরিমাণে ব্যাকলিংক তৈরি করার প্রয়োজন।

    তৃতীয়তঃ অর্থাৎ ভিজিটর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ব্যাকলিংক অত্যন্ত জরুরী কারণ যখন আমরা আমাদের আর্টিকেলের জন্য একই বিষয়ের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল থেকে একটি লিংক আমাদের আর্টিকেল পর্যন্ত নিয়ে আসবো তখন দর্শকরা সেখান থেকে রিলেভেন্ট অবশ্যই আমাদের আর্টিকেল পর্যন্ত পৌঁছাবে।

    অর্থাৎ বলতে পারি একটি আর্টিকেল এ যথেষ্ট পরিমান ভিজিটর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ব্যাকলিংক গুরুত্বপূর্ণ। যখনই ব্যাকলিংক তৈরি হবে তখনই ওই ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে আমাদের আর্টিকেলটিতে দর্শক পৌঁছাতে শুরু করবে।



কিভাবে ভাল মানের ব্যাকলিংক বানানো যায়  ?


    ব্যাকলিংক কি এবং কেন আমাদের ওয়েবসাইট এবং আর্টিকেলের জন্য ব্যাকলিংক গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা এতক্ষণ জেনেছি কিন্তু তাহলে কিভাবে ভালোমানের ব্যাকলিংক আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য বানাবো সেটি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    কারণ শুধুমাত্র ব্যাকলিংক বানালেই তা আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না একটি ভালো মানের ব্যাকলিংক দশটি নিম্নমানের ব্যাকলিংক এর থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণে আমাদের প্রথম লক্ষ্য হয় একটি ভালোমানের ব্যাকলিংক তৈরি করা।

    ভালো মানের ব্যাকলিংক তৈরি করতে গেলে অবশ্যই প্রথমত আমাদের ওয়েবসাইটের বিষয় সম্পর্কিত ওয়েবসাইটগুলি কে খুঁজতে হবে। কারণ যখন আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কিত বিষয় থেকে একটি ব্যাকলিংক আপনার ওয়েবসাইট বা কোন আর্টিকেলে পৌঁছাবে তখন অবশ্যই সেটি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্ব পাবে।

    আমরা প্রায় একটি কাজ করি, তাহলে প্রথমে একটি আর্টিকেল লিখে তার জন্য যেকোনো ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক নেওয়ার চেষ্টা করি এবং নিয়ে উনি কিন্তু এটা বুঝিনা জেতার ফলে আমাদের এই আর্টিকেলটি কোন গুরুত্ব পেল কিনা।

    অর্থাৎ আমরা কোন ওয়েবসাইট থেকে বা আর্টিকেল থেকে ব্যাকলিংক নিলেই তা ভালো মানের ব্যাকলিংক হয়না বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকলিংক হয়না। প্রথম শর্ত হলো একটি ভালো মানের ব্যাকলিংক তৈরি করতে গেলে অবশ্যই বিষয়কে ঠিক রাখতে হবে। অর্থাৎ আমার ওয়েবসাইটটি যে বিষয় সেই বিষয় সম্পর্কিত ওয়েবসাইট থেকে আমাকে ব্যাক লিঙ্ক নিতে হবে।

    একটি ভালো মানের ব্যাকলিংক তৈরি করার দ্বিতীয় শর্ত হল আমি যে ওয়েবসাইট থেকে বা আর্টিকেল থেকে ব্যাকলিংক নিচ্ছি বানাবো তার অথরিটি কেমন অর্থাৎ সেটি কতখানি গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়েবসাইট তা প্রথমেই জেনে নিতে হবে।

    যদি একটি কম গুরুত্বপূর্ণ বা অথরিটি যুক্ত ওয়েবসাইট থেকে আমরা একটি ব্যাকলিংক তৈরি করি তবে তা কখনই ভালো মানের ব্যাকলিংক বলে গণ্য হবে না। কারণ হয়তো আমার ওয়েবসাইটের অথরিটি ওই ওয়েবসাইট থেকে অনেক বেশি সুতরাং সে ক্ষেত্রে খুব বেশি গুরুত্ব পাওয়ার সুযোগ থাকে না।

    তৃতীয়তঃ আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য একটি ভালোমানের ব্যাকলিংক পেতে গেলে একটি ভালো আর্টিকেল থেকে তা নিতে হবে। অর্থাৎ বিষয়কে সঠিক রাখলে হবে না যে আর্টিকেল থেকে আমি ব্যাকলিংক নেব সেটি যেন খুব ভালো মানের একটি আর্টিকেল হয় অর্থাৎ দর্শকরা তাকে খুব গুরুত্ব দেবে।

    একটি ভালো মানের আর্টিকেল থেকে যদি ব্যাকলিংক পাওয়া যায় তবে অবশ্যই ওই ব্যাকলিংক টি একটি ভালো মানের ব্যাকলিংক হিসাবে পরিগণিত হবে। 

    একটি ভালো মানের ব্যাকলিংক পেতে গেলে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি তা হল আপনার ওয়েবসাইটটিকে এমনভাবে তৈরি করুন এবং আর্টিকেল গুলিকে এমন ভাবে লিখবেন যা দর্শক সহজে গ্রহণ করে ও দর্শকের আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে কোন অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়।

    একটি ভালো মানের ব্যাকলিংক তখনই পাওয়া যাবে যখন অন্য কোন ওয়েবসাইট আপনাকে খুব সহজে একটি লিংক দেবে, কিন্তু আপনি যখন না চাইলেও সে অটোমেটিক আপনাকে গুরুত্ব দেবে সেটি হবে সবচেয়ে ভালো মানের একটি ব্যাকলিংক।

    এই ধরনের ভালো মানের ব্যাকলিংক পেতে গেলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটটিকে কোন কপি করা কনটেন্ট দিয়ে তৈরি করলে হবে না এবং তা যেন ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে।

    এরপর সর্বশেষ একটি কথা হল আপনার বিষয় হলো আপনার ওয়েবসাইটের প্রাণ সুতরাং আপনি যদি যেকোনো বিষয়ে লেখার সময় গুরুত্ব সহকারে এবং নির্ভুল ভাবে তা দর্শকদের উপযোগী করে লেখেন তবে অবশ্যই ধীরে ধীরে আপনার ওয়েবসাইটের অথরিটি বাড়বে আর একবার অথরিটি বেড়ে গেলে অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইটটি অন্য সকল ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক পেতে শুরু করবে।

     একটি ভালো মানের ব্যাকলিংক পেতে গেলে প্রাথমিক যে তিনটি শর্ত আমাদের জানতে হবে সেগুলি আমি এখানে আলোচনা করলাম যদিও এছাড়াও অনেকগুলি শর্ত আছে একটি ভালো মানের ব্যাকলিংক পেতে গেলে তবুও প্রাথমিকভাবে আপনি যদি এই কয়েকটি শর্ত মেনে একটি ব্যাকলিংক তৈরি করেন অবশ্যই তা অথরিটি যুক্ত হবে।



ব্যাকলিংক এর প্রকার 


    ব্যাকলিংক এর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একে দুটি প্রাথমিক ভাগে ভাগ করা যায় - নো ফলো ব্যাক লিংক ও ডুফলো ব্যাকলিংক। দুটি ব্যাকলিংক আমাদের ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চলুন দেখে নিই এই দুই প্রকার ব্যাকলিংক কিভাবে আমাদের ওয়েবসাইটে গুরুত্ব দেয়।


নো ফলো ব্যাক লিংক : 

     নো ফলো ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলের একপ্রকার HTML Attribute, যা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন কে নির্দেশ করে যাতে এই লিঙ্কটির মাধ্যমে দেওয়া ওয়েবসাইটের উপর কোনরকম লিংক জুস তৈরি না হয়।

    লিংক জুস হলো দুটি বা একাধিক লিংক এর মধ্যে একটি সম্পর্ক যে সম্পর্কের মাধ্যমে দুটি বা একাধিক লিংক শক্তিশালী হয়।

    অর্থাৎ নো ফলো ব্যাক লিংক নির্দেশ করে যে সার্চ ইঞ্জিনে এই লিংকটি উঠে আসবে কিন্তু ওই লিংক টিকে কোনো রকম শক্তি প্রদান করা যাবে না। এই সকল লিংক গুলির মাধ্যমে আমাদের ওয়েব সাইটের কোনো অথরিটি বৃদ্ধি পাবে না।

    কিন্তু ব্যাকলিংক এর ক্ষেত্রে নো ফলো ব্যাকলিংক এর গুরুত্ব আছে, কারণ শুধু মাত্র Do ফলো ব্যাকলিংক যেমন website এর অথরিটি বাড়ায় তেমন স্পামিং তৈরি করে যা search ইঞ্জিনের কাছে ওয়েব সাইটকে গুরুত্বহীন করে দেয়।

নো ফলো ব্যাক লিংক এর ধরন : 

    <a href=' https://www.google.com/' rel='nofollow'>GOOGLE</a> 


ডুফলো ব্যাকলিংক :

     যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে বা আর্টিকেল থেকে অন্য কোন ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল এর একটি লিংক যুক্ত করেন তবে তা অটোমেটিক ভাবে ডুফলো তে পরিণত হয়। 

   যদিও আমাদের ইচ্ছা মত এই সকল লিংক গুলিকে আমরা নো ফলো ব্যাক লিংক এ পরিনত করতে পারি। একটি ডু ফলো ব্যাকলিংক আমাদের ওয়েব সাইটের অথরিটি কে বাড়াতে সাহায্য করে।

    আপনি যদি একটি ভালো মানের website এর থেকে Do ফলো ব্যাকলিংক তৈরী করতে পারেন তবে আপনার ওয়েব সাইটের অথরিটি বেড়ে যাবে। এই কারণে আমাদের লক্ষ্য থাকে একটি ভালো মানের website এর থেকে ব্যাকলিংক নেওয়া।

    ডু ফলো ব্যাকলিংক এ কোনো rel="nofollo"   নির্দেশ করা থাকে না, যার ফলে খুব সহজে লিংক জুস পাস হলে আমাদের website এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়।

   Do ফলো ব্যাকলিংক এর ধরন : 

      <a href="https://www.google.com/">GOOGLE</a> 



আরো পড়ুন : 


ব্যাকলিংক সম্পর্কিত ভিডিও : 



আমার মতামত :   বন্ধুরা মনে করি আমি ব্যাকলিংক সম্পর্কে সঠিক ধারণা আমি অপন্দের কে দিতে পেরেছি, যদি আমার দেওয়া এই সকল তথ্য আপনার ভালো লাগে তবে আমার চেষ্টা স্বার্থক। 

    একটি ভালোমানের ব্যাকলিংক সব সময় আপনার ওয়েবসাইটের জন্য গুরুত্ব রাখে, এই কারণে চেষ্টা করবেন যাতে একটি ভালো মনের অথরিটি যুক্ত ব্যাকলিংক তৈরি করতে পারেন।

    একটি ভালোমানের ব্যাকলিংক তৈরি করতে যে বিষয় গুলো আমি আলোচনা করেছি ত যদি আপনি লক্ষ্য রাখেন তবে ব্যাকলিংক বানাতে আপনাকে বেশি খাটতে হবে না।

    সব সময় ডু ফলো ব্যাকলিংক বানানো কিন্তু ঠিক নোয় আপনার ওয়েব সাইটের জন্য একথা মনে রাখবেন। নো ফলো ও ডু ফলো ব্যাকলিংক এর পরিমাণ যেনো সমান সমান হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, তা না হলে স্পামিং স্কোর বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

    আপনার মতামত ব্যাকলিংক কি ও সেই সম্পর্কে সকল এই খুঁটিনাটি তথ্য গুলি দিতে পেরে আমার ভালো লাগবে যদি আপনার কাছে গুরুত্ব পায়, সুতরাং অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন ও সেয়ার করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।।