মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট কি? কিভাবে মাইক্রো নিশ ওয়েবসাইট বানাতে হয় ?

     ব্লগ বা ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব তার মধ্যে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট থেকে সব থেকে বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব, কিন্তু কিভাবে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট বানাতে হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। 

   আপনি যদি একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে এই আর্টিকেলে আজ আমরা কিভাবে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট বানাতে হয় তা নিয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনা করব।

    সুতরাং আপনিও এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে কিভাবে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট বানাতে হয় তা শিখতে পারবেন এমনকি একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট আপনি তৈরি করতে পারবেন। 
মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট কি? কিভাবে মাইক্রো নিশ ওয়েবসাইট বানাতে হয় ?

    আশা করি কি করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় তা আপনি হয়তো জানেন, যদি না জানেন তবে এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে অনেকগুলো বিষয় আমাদের লক্ষ্য রাখতে হয়।

    কিন্তু এই সকল বিষয়ে জানার আগে প্রধানত যে বিষয়টি আমাদের জানা প্রয়োজন তা হলো মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট কি ? যদি আপনি জানেন তবে ভালো, কিন্তু যদি না জানেন তবে চলুন দেখে নিই যে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট কি ।



মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট কি ?


    মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট কি যদিও আমরা এর নামের সঙ্গে কিছুটা সম্পর্ক পেয়ে থাকি তবুও একটু বিস্তারিত আলোচনা না করলে আমরা বুঝতে পারব না যে আসলে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট কি

    মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট হল এমন একটি সূক্ষ্ম লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা ওয়েবসাইট যা শুধুমাত্র একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে অন্য কোনো বিষয় সম্পর্কে সেখানে কোনো আলোচনা থাকে না। 

    যদি আপনি ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর সঙ্গে কমবেশি যুক্ত থেকে থাকেন তবে আশাকরি কী-ওয়ার্ড কথাটি অনেকবার শুনেছেন। কারণ আমরা যারা ব্লগার বা ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত তাদের প্রধান হাতিয়ার হল এই কী-ওয়ার্ড।

    যার কাছে যত বেশি শক্তিশালী কিওয়ার্ড থাকে তার ওয়েবসাইট বা ব্লগ তত বেশি শক্তিশালী ভাবে তাকে টাকা ইনকাম করার পথ দেখিয়ে দেয়। সুতরাং আমার ভাষায় এই কী-ওয়ার্ড গুলি হল কোন ওয়েবসাইটের প্রধান হাতিয়ার

    কিন্তু সচরাচর আমরা ওয়েবসাইটে দেখে থাকি একাধিক বিষয় নিয়ে সেখানে লেখা থাকে বা একাধিক বিষয়ে সার্চ করলে আমরা একই ওয়েবসাইট থেকে তথ্য পেয়ে যায়। সুতরাং এই সকল ওয়েবসাইটগুলোকে আমরা মাল্টি নিশ ওয়েবসাইট বলতে পারি।

    যেমন বিভিন্ন নিউজ রিলেটেড ওয়েবসাইট গুলোতে আমরা অনেক ধরনের নিউজ সম্পর্কে জানতে পারি সুতরাং এগুলোকে আমরা কখনই একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট বলতে পারব না। যদিও এই সকল ওয়েবসাইট একটিমাত্র নিস নিয়ে কাজ করে কিন্তু তা মাইক্রো নিস নয়।

     তাহলে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট কি ? মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট হবে এমন একটি ওয়েবসাইট যেখানে শুধুমাত্র একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে দ্বিতীয় কোনো বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা থাকবে না। 

    যেমন যদি বলি কোন নিউজ রিলেটেড ওয়েবসাইটে দেখি শুধুমাত্র পলিটিক্যাল নিউজ নিয়ে আলোচনা করা হয় তবে আমরা এটিকে একটি মাইক্রো মিস ওয়েবসাইট বলতে পারব কারণ এখানে অন্য কোন নিউজ নিয়ে আলোচনা করা হয় না।

     সুতরাং বুঝতে পারলাম যে আসলে মাইক্রো মিস ওয়েবসাইট বলতে কী বোঝায়। এবং এটিও বুঝতে পারলাম যে নিউজ রিলেটেড কোন ওয়েবসাইট মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট নয়।


কিভাবে মাইক্রো নিশ ওয়েবসাইট বানাতে হয়


  • এবার বলি মাইক্রো নিস একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে প্রথমেই আমাদের প্রয়োজন একটি কিওয়ার্ড যে কিওয়ার্ড কে নির্ভর করে আমরা একটি ওয়েবসাইট গঠন করতে পারব।
  • এখন একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে যে সকল বিষয় গুলি পরপর জানা প্রয়োজন সেগুলি হল - 

কী-ওয়ার্ড রিসার্চ :  

     সাধারণত যারা ব্লগার বা ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত তারা এই কী-ওয়ার্ড কে এমনভাবে রিসার্চ করে থাকে যার মাধ্যমে তারা একটি সংক্ষিপ্ততম কিওয়ার্ড পেতে পারে যার সার্চ ভলোম অনেক বেশি কিন্তু সেখানে Rank করতে হলে বেশি কষ্ট করতে হয়না।

    আর একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে প্রথমেই এই কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করা প্রয়োজন। কারণ এই কী-ওয়ার্ড এর মাধ্যমে আমাদের ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসতে শুরু করে। সুতরাং এমন একটি কিওয়ার্ড কে নির্বাচন করতে হবে যার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারে।

    কিওয়ার্ড রিসার্চ করে এমন একটি কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে যার সার্চ ভলিউম অনেক বেশি কিন্তু তার ডিফিকাল্ট খুব কম । যদি এরকম একটি কিওয়ার্ড আমরা রিসার্চ করে পেয়ে যাই তবে খুব সহজেই একটি মাইক্রো মিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারব।

    কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করা যেকোন ওয়েবসাইট তৈরি করার প্রথম ধাপ কারণ সমস্ত ওয়েবসাইটটি একটি মাইক্রো নিস যুক্ত হলে তার প্রধান অস্ত্র হবে এটি কি ওয়ার্ড। তারমানে আপনার ওয়েবসাইট টিতে যত পরিমান ভিজিটর পৌঁছাবে তা এই কী-ওয়ার্ড এর মাধ্যমে পৌঁছাবে।

     সুতরাং একটি মাইক্রো উনিশ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে অবশ্যই এমন একটি কিওয়ার্ড বেছে নিতে হবে যা অনেক বেশি মানুষ সার্চ করে থাকে এবং যার ডিফিকাল্টি ও অনেক কম। তা না হলে ওই ওয়েবসাইটটি খুব সহজে Rank করানো যাবে না।



কাস্টম ডোমেইন :  

      একটি মাইক্রো মিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে প্রথমত তাকে একটি সুন্দর কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজন হলো আপনার একটি কাস্টম ডোমেইন কিনতে হবে। যদি আপনার নিস রিলেটেড ডোমেইন হয় তবে তা খুব ভালো হয়। 

    আপনি একটি উন্নত মানের কাস্টম ডোমেইন ক্রয় করতে পারেন গোড্যাডি নেম চিপ হোস্টগেটর ইত্যাদি প্রোভাইডার থেকে আপনি খুব সহজেই একটি কাস্টম ডোমেইন কিনে নিতে পারেন।

    অনেক উন্নত মানের ব্লগার রা তারা একটি ওয়েবসাইটকে দ্রুত সার্চ পেজে তুলে আনার জন্য অনেক সময় এক্সপায়ার ডোমেইন ক্রয় করেন। একটি এক্সপায়ার ডোমেইন ক্রয় করলে তা স্যান্ডবক্স এর অন্তর্ভুক্ত থাকেনা এবং সাথে সাথে অনেকগুলি ব্যাকলিঙ্কযুক্ত ডোমেন পাওয়া যায়।

     যেহেতু এই ধরনের এক্সপায়ার দিনগুলি অনেক দিনের পুরনো হয় তাই খুব সহজে তাকে রেঙ্ক করানো যায়। আপনি ও আপনার মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে এমন একটি এক্সপায়ার কাস্টম ডোমেইন কিনতে পারেন।

    কাস্টম ডোমেইন কেনার সময় অবশ্যই তার বিষয়ে ভালো করে জেনে নিয়ে নির্বাচন করা উচিত কেননা বেশিরভাগ এক্সপায়ার করা ডোমেইন গুলি এডসেন্স ডিজেবল থাকে সুতরাং যদিও আপনার ওয়েবসাইট করতে সমর্থ হয় তবুও সেখান থেকে আপনি অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাবেন না।

    এই কারণে একটি কাস্টম ডোমেইন কেনার সময় বা এক্সপায়ার ডোমেইন কেনার সময় অবশ্যই ভালো করে জেনে বুঝে ও তাকে চেক করে তবেই কেনা উচিত বলে আমি মনে করি।


হোস্টিং : 

    আশাকরি একটি ওয়েবসাইট এর হোস্টিং বলতে কী বোঝায় আপনি ঠিক বলছেন সুতরাং একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে তার জন্য প্রয়োজন একটি উন্নত মানের হোস্টিং। যদি আপনি একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তবে অবশ্যই আপনার একটি হোস্টিং প্রয়োজন।

    হোস্টিং সাধারণত অনেকগুলি প্রোভাইডার থেকে কেনা যায় যেমন ব্লুহোস্ট, নেম চিপ, হোস্টগেটর, গো ড্যাডি, ইত্যাদি। একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটে সবসময় বেশি পরিমান ভিজিটর এর চাপ থাকে বলে তাকে একটু উন্নত মানের হোস্টিং দিয়ে তৈরি করতে হয়।

    যদি আপনি একটি উন্নত মানের হোস্টিং ক্রয় করতে না পারেন তবে সেক্ষেত্রে আপনি গুগলের ফ্রী ব্লগার ডটকমের সঙ্গে আপনার কাস্টম ডোমেইন কে যুক্ত করে একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।

     যদিও গুগোল এর blogger.com অনেক সীমাবদ্ধতা আছে wordpress-এর থেকে তবুও এর দর্শক ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি যেকোনো হোস্টিং কোম্পানি থেকে। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন হোস্টিং কেনার প্রয়োজন হয় না শুধুমাত্র একটি কাস্টম ডোমেইন কিনলেই মাইক্রো নিস সাইট তৈরী করতে পারবেন।

কি ওয়ার্ড এর বিবরণ : 

     যেহেতু মাইক্রোনিড ওয়েবসাইটগুলি একটি নির্দিষ্ট কী-ওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয় তাই আর্টিকেল আর্টিকেলটির মধ্যে ওই কিওয়ার্ডটির যতগুলি প্রশ্ন থাকতে পারে সবগুলি নিয়ে বিবরণ দিতে হবে।

    একটিমাত্র উদ্দেশ্য নিয়ে এই ওয়েবসাইট তৈরি হওয়ার জন্য ইউজারের বা দর্শকের সমস্ত চাহিদাগুলি এখানে পূরণ করার লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি কোন ভিজিটর বা দর্শক আপনার এই ওয়েবসাইটটিতে পৌঁছে তার ইচ্ছামত বিষয়ে জানতে না পারে তবে সে আপনার ওয়েবসাইটে থাকবে না।

    এই কারণে যে একটি মাত্র বিষয়কে কেন্দ্র করে আমরা এই ধরনের মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করব সেই একটি বিষয়কে যথাযথভাবে এবং তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিতে হবে।

    এর ফলে কোন ব্যক্তি যখনই সেই বিষয়টি পড়তে বা জানতে আপনার ওয়েবসাইটে পৌঁছাবে তখন সে সমস্ত বিষয়গুলি পড়ে বুঝতে পারবে সুতরাং অন্য ওয়েবসাইটে তার যাওয়া প্রয়োজন হবে না। 

     বিষয়ের বর্ণনা গুলি অবশ্যই আপনাকে সহজ-সরল ভাষায় করতে হবে এবং মূল শব্দ গুলি বা বিষয়গুলিকে একটু বোল্ড করে দিতে হবে।


সম্পর্কিত ফটো :  

    একটি মাইক্রো উনিশ ওয়েবসাইট তৈরি করতে আমাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে কিভাবে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করা যায় বা কিভাবে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি গুগোল এর ফাস্ট পেজে আসতে পারে।

     এই বিষয়টিকে আমরা বলি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন নিয়ে আমি অনেকগুলি পোস্ট লিখেছি আপনারা সেগুলি দেখতে পারেন।

   যদি আপনার ওয়েবসাইটটিকে যথাযথভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন না করেন তবে সেখানে দর্শক পৌঁছাতে পারবে না। কিন্তু আমাদের একমাত্র লক্ষ্য থাকে এই সকল মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটে কিভাবে অনেক পরিমান দর্শক পেতে পারি।

    এই অধিক পরিমান দর্শক আমাদের মাইক্র নিস ওয়েবসাইটে পাবার জন্য অবশ্যই যে বিষয়ে আমি মাইক্রোনিড ওয়েবসাইট তৈরি করেছি সেই বিষয় সম্পর্কিত ফটো আমাদের পোস্টে সংযুক্ত করতে হবে।

    এর ফলে আমাদের ওই পেজ বা ওয়েব সাইটটি একটি অপ্টিমাইজ ভাবে গুগোল এর সার্চ ইঞ্জিন এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে এবং তা গুগলের প্রথম দিকে অবস্থান করতে পারবে।

    সুতরাং যখনই আপনি একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইছেন বা করেছেন তখন অবশ্যই আপনার বিষয় সম্পর্কিত বা আর্টিকেল সম্পর্কিত একটি বা একাধিক ফটো সেখানে যুক্ত করবেন।


সম্পর্কিত ভিডিও :

     আশা করি আজ পর্যন্ত আপনি হয়তো অন্য কোন ব্লগে বা ওয়েবসাইটে এই সম্পর্কিত ভিডিও বলে কোন বিষয় জানতে পারেননি। কারন গুগল তার সার্চ ইঞ্জিন কে এমন ভাবে তৈরি করেছে যে একটি ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলকে অনেক ভাবে সেখানে রেঙ্ক করানো যেতে পারে।

   এই Rank করানোর বিষয়টিকে আমরা বলি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। আর এই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর অন্যতম এবং নতুন একটি মাধ্যম হলো আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে সম্পর্কিত ভিডিও যুক্তি করণ।

    হয়তো আপনি বর্তমানে অনেকগুলি ওয়েবসাইটে বা আর্টিকেলে দেখে থাকবেন যে সেখানে ভিডিও যুক্ত করা থাকে। এই ভিডিওগুলি শুধুমাত্র দর্শকদের দেখানোর জন্য নয় এই ভিডিওগুলি যুক্ত করার ফলে গুগোল সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে যে আমাদের ওয়েবসাইটে কোন ওয়েবসাইট থেকে বেশি যুক্তিযুক্ত।

    সুতরাং আপনি যখন একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করছেন অবশ্যই তার ব্লগে অর্থাৎ পোস্টে বা আর্টিকেলে সেই সম্পর্কিত একটি বা দুটি ইউটিউব ভিডিও এমবেড করে যুক্ত করুন। 

    এর ফলে ইউজার বা দর্শকরা ভালোভাবে বিষয়টি বুঝতে পারবে এবং অধিক সময় ধরে আপনার ওয়েবসাইটের উপর অবস্থান করবে। এর ফলে ওয়েবসাইটের ভিউ টাইম বা সময় বৃদ্ধি পায়।

     এবং ওয়েবসাইট এর উপর যদি দর্শক বেশি সময় ধরে অবস্থান করে তবে গুগল সার্চ ইঞ্জিন সেই ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলগুলো কে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিকে তুলে নিয়ে আসে।


  • এছাড়া আর যেসকল বিষয় গুলি একটি ওয়েবসাইটকে ফাস্ট পেজে আনতে গেলে করতে হয় তা আপনারা আশা করি সবাই জানেন তাই এখানে আর সেটি নিয়ে বেশি আলোচনা করলাম না। একটি আর্টিকেল কে কিভাবে গুগোল এর ফাস্ট পেজে আনতে হয় জানতে হলে নিচের লিংকে ক্লিক করে বিষয়টি জানতে পারেন।



    

মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করব।


     একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য থাকে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করার। আর একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তখনই আমরা তৈরী করব যখন একটি ওয়েবসাইট থেকেও বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করার কথা উঠবে।

   এই কারণে আমরা একটি মাইক্রো নিউজ ওয়েবসাইট তৈরি করি যা থেকে সাধারণ ওয়েবসাইট থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করা যায় এমনকি অনেক কম কাজ করে।

    একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট থেকে আমরা সাধারনত দুই ভাবে টাকা ইনকাম করতে পারি। প্রথমত গুগল এডসেন্স থেকে এবং দ্বিতীয়তঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং করে।

    চলুন আমরা এবার দেখে নিই একটি মাইক্রো নিজ ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে গুগল এডসেন্স ও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।


গুগল এডসেন্স : 

    সমস্ত ব্লগার বা যারা ওয়েবসাইট তৈরী করে তাদের মুখ্য ও প্রধান উদ্দেশ্য থাকে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করার। কারণ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার যতগুলো প্ল্যাটফর্ম আছে তাদের মধ্যে সবার আগে আছে গুগল অ্যাডসেন্স।

    এই কারণে আমরা যখনই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করি তার মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে গুগল এডসেন্স থেকে ভেরিফাই করানো এবং কিভাবে তাকে গুগল এডসেন্স থেকে মনিটাইজ করে তা থেকে টাকা ইনকাম করতে পারব।

    কিন্তু গুগল এডসেন্স থেকে কোন ওয়েবসাইট মনিটাইজ করানো বিষয়টি অতি সহজ বা সহজ কোনো বিষয় নয়। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট গুলিকে মনিটাইজ করা একটু কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়।

    মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটগুলি যেহেতু বেশি সার্চ ভলিউম যুক্ত হয়ে থাকে তাই অল্প সংখ্যক পোস্ট করলেই একটি ওয়েবসাইট কে খুব সহজে গুগলের প্রথম দিকে নিয়ে আসা সম্ভব।

    এই কারণে এই সকল ওয়েবসাইটগুলোতে পোস্ট বা আর্টিকেল এর সংখ্যা অনেক কম থাকে। কিন্তু গুগল এডসেন্স থেকে মনিটাইজ করাতে গেলে তার ট্রাম্প ও পলিসিতে এমন কোন উল্লেখ না থাকলেও ন্যূনতম কমপক্ষে 25 থেকে 30 টি পোষ্ট হওয়া বাধ্যতামূলক।

     সুতরাং গুগল অ্যাডসেন্স এর সমস্ত পলিসিকে যদি আপনি ঠিকমত মেনে একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করেন তবে সেখান থেকে আপনি গুগল এডসেন্স দিয়ে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

     গুগল এডসেন্স থেকে একটি ওয়েবসাইটকে কি করে খুব সহজে মনিটাইজ করা যাবে বা অ্যাপ্রভাল পাওয়া যাবে সেটি যদি জানতে চান অবশ্যই নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিন।


    
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং : 

    সমস্ত পৃথিবীতে অন্যতম এবং জনপ্রিয় অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। অনেক জনপ্রিয় এই মাধ্যমটির সাহায্যে পৃথিবীতে মানুষ প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ পর্যন্ত টাকা ইনকাম করে থাকে।

    আর যতগুলি মাইক্রো মিস ওয়েবসাইট তৈরি হয় তাদের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার।

   এই ক্ষেত্রে ডেভলপাররা বেছে নেন কোন প্রোডাক্ট টি সবথেকে কম প্রতিযোগিতামূলক এবং সেটিকে তারা তাদের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করে তা থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করেন।

    একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটে কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে তার লিংক যদি ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয় তা থেকে কোন ব্যবহারকারী সরাসরি সেই প্রডাক্টিভ অন্য ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারে।

   এর জন্য শুধুমাত্র আপনার মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটটিতে একটু বিস্তারিত বর্ণনা সহ সেই প্রোডাক্টের একটি লিঙ্ক আপনার ওয়েবসাইটে প্রদান করতে হবে। এবং যখন কোনো দর্শক ওই লিঙ্ক মারফত সেই বস্তুটি ক্রয় করবে সঙ্গে সঙ্গে আপনি সেখান থেকে একটি কমিশন পেয়ে যাবেন।

    আশা করি আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কমবেশি জানেন বা আপনার এই এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কমবেশি ধারণা আছে। যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আরও বেশি জানতে চান অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন আমি বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করব।



আমার মতামত :   বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরি করার দিকে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য হলো মাইক্রোনিড ওয়েবসাইটগুলি তৈরি করা। কারণ অল্প কাজ করে এখান থেকে বেশি পরিমাণ ট্রাফিক পাওয়া যায়।

    এবং এই বেশি পরিমাণ ট্রাফিক কে কাজে লাগিয়ে তা থেকে অনেক বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করার সুযোগ থাকে। এই কারণে আমরা বর্তমানে ইন্টারনেটে মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটগুলি বেশি পরিমাণ দেখে থাকি।

   কি করে একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় তা আমি আমার মত করে সহজ ভাষায় লিখেছি এবং একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইটের প্রধান বিষয় গুলি কি সেগুলিও বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

   এমনকি একটি মাইক্রো নিস ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা সম্ভব সেটিও আমি শেষে আলোচনা করলাম।সুতরাং আপনার যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন ও বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।