Share Market কি ? শিখুন Share Market সম্পর্কে বাংলাতে | Share Market in Bengali

    Share Market কি ? বা What is Share Market in Bengali, এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের তেমন কোনো সঠিক পরিচয় নেই। এই কারণে আজ এই অধ্যায় আমরা শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে শিখব।

    শেয়ার মার্কেট বা শেয়ার বাজার /share market  করতে গেলে যে সমস্ত বেসিক বা সাধারণ ধারণা গুলি আপনার মধ্যে থাকা দরকার সেই বিষয়গুলি নিয়ে আমরা আজ এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করব।
Share Market কি ? শিখুন Share Market সম্পর্কে বাংলাতে | Share Market in Bengali

    যদি আপনি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে জানতে চান এবং সেখান থেকে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তবে এটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল।

   পৃথিবীতে টাকা ইনকাম করতে চাইনা এমন লোকের পরিমান খুব কম আছে। একমাত্র টাকা দাঁড়ায় সকল স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব এই কারণে আমাদের উদ্দেশ্য আর লক্ষ্য থাকে কিভাবে আমরা আমাদের টাকার পরিমাণ বাড়াতে পারব।

    পৃথিবীতে টাকা ইনকাম করা আমাদের লক্ষ্য হলেও ইনকাম করার মাধ্যম গুলি আলাদা আলাদা - কেউ চাকরি করে টাকা ইনকাম করছে কেউ বা ব্যবসা করে। কেউ বা চেষ্টা করে কি করে তাদের টাকা থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে বেশি পরিমাণ মুনাফা লাভ করতে পারে।

    যে সমস্ত লোকেরা তাদের টাকাকে অল্পসময়ের মধ্যে দ্বিগুণ করার আশা করে থাকে তাদের জন্য একমাত্র এবং অন্যতম মাধ্যম হল share market শেয়ার মার্কেট। শেয়ার মার্কেট এর মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে টাকা বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব। 

    কিন্তু আমাদের মধ্যে আমরা অনেকেই জানি না এই শেয়ার মার্কেট বা স্টক মার্কেটিং বিষয়টি। সেই কারণে আমাদের হাতে টাকা থাকলেও তাকে আমরা বাড়িয়ে নিতে পারি না। কিন্তু এই শেয়ার মার্কেট স্টক মার্কেটিং করে বহু মানুষ তাদের টাকা কে বাড়িয়ে নিতে সক্ষম।

    আপনি যদি আজ শেয়ার মার্কেট বা স্টক মার্কেট সম্পর্কে জানতে চান তবে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।কারণ এখানে আমি একটি শেয়ার মার্কেট স্টক মার্কেটের / share market সমস্ত বিষয়গুলি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যা আপনার খুবই প্রয়োজনীয় তা আলোচনা করতে চলে ছি।



Share Market কি - What is Share Market in Bengali


    শেয়ার মার্কেট / share market বিষয়টি অবশ্যই একটি মার্কেট বাজার সংক্রান্ত বিষয় এটি আমার নাম থেকেই বুঝতে পারছি। শেয়ার মার্কেট অর্থাৎ এমন একটি বাজার যেখানে শেয়ার কে কেনা বেচা এসব কাজ গুলি করা হয়ে থাকে।

    এটি টাকা ইনকাম করার এমন একটি মাধ্যম যেখানে খুব অল্প সময়ে আপনি আপনার টাকা বাড়িয়ে নিতে পারেন, ঠিক একই রকম ভাবে যদি আপনি অসাবধানী এবং ভুলবশত টাকা লাগিয়ে ফেলেন তবে আপনার লস হতে পারে।

    আসলে স্টক মার্কেট বা শেয়ার মার্কেট / share market বিষয়টি টাকা ইনকাম করার সঙ্গে যুক্ত যেখানে আপনি কোন কোম্পানির সঙ্গে তার শেয়ার কিনতে পারেন বা বিক্রি করে দিতে পারেন।

    শেয়ার মার্কেটে আমরা অনেক বড় বড় কোম্পানির কাছ থেকে শেয়ার কিনতে পারি। একটু উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করি তাহলে জিনিসটি পরিষ্কার হবে, ধরুন শেয়ার মার্কেটে পৃথিবীর বড় বড় অনেকগুলো কোম্পানি আছে তারা তাদের শেয়ার বিক্রি করতে চাইছে।


    যেমন পৃথিবীর বড় একটি কোম্পানি ধরুন টাটা কোম্পানি, আপনি শেয়ার মার্কেট থেকে টাটা কোম্পানির একটি শেয়ার কিনলেন ধরুন 10000 টাকার। এই 10 হাজার টাকার শেয়ার কেনার মানে হল আপনি টাটা কোম্পানির একজন অংশীদার হয়ে গেলেন।

    অর্থাৎ আপনি শেয়ার মার্কেট / share market থেকে যে কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন এবং যত টাকা দিয়ে কিনেছেন সেই টাকার পরিমাণ মতো আপনি সেই কোম্পানির সঙ্গে অংশিদারি হিসাবে যুক্ত হলেন। আপনি সেই কোম্পানির একজন মালিক কিন্তু সেটি অবশ্যই শেয়ার এর উপর নির্ভর করে।

    এবার ধরুন আপনি যতটুকু শেয়ার 10000 টাকা দিয়ে কিনেছিলেন কিছুদিন পর সেই শেয়ারের বাজার দর বা মূল্য হয়ে দাঁড়ালো কুড়ি হাজার টাকা। অর্থাৎ আপনি কিন্তু আপনার শেয়ারের উপর 10000 টাকা লাভ করে ফেলেছেন।

    এখন আপনি আপনার শেয়ার টিকে বেচলে 10000 টাকা লাভ করবেন আর যদি মনে করেন যে না আমি বিক্রি করব না রেখে দেবো তাহলে আপনি ইচ্ছামত রেখে দিতে পারেন।কিন্তু মনে রাখতে হবে এ শেয়ার মার্কেট সব সময় বারেও কমে সুতরাং লাভ-লস দুটি সমান পরিমাণে হতে পারে।

      সুতরাং বলতে পারি আপনি কোন কোম্পানির শেয়ার কিনে সেই কোম্পানির শেয়ারে মালিক হতে পারেন। তাহলে এতক্ষণ বুঝতে পারলেন যে শেয়ার মার্কেট বিষয়টি কি এবং শেয়ার মার্কেটে আসলে কি হয়ে থাকে। এবার চলুন দেখি নি যে আমরা কখনো শেয়ার কিনব।


শেয়ারবাজার থেকে শেয়ার কখন কিনব ?


     আশাকরি এতক্ষণ শেয়ার মার্কেট / share market সম্পর্কে আপনার কিছু ধারনা হয়েছে। তাহলে চলুন এবার জেনে নিই শেয়ার বাজার থেকে শেয়ার আমরা কিভাবে কিনবো। 

    শেয়ার মার্কেট বা শেয়ার কেনাবেচা করতে গেলে প্রথমেই আমি বলব আপনার এই বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। এবং বিষয়গুলি ভালোভাবে বুঝতে হবে যে কখন আপনাকে শেয়ার কিনতে হবে বা বিক্রি করতে হবে।

    যখন আপনার এই সকল বিষয়ে সামান্য পরিমাণে ধারণা বেড়ে যাবে তখন আপনি শেয়ার মার্কেটে টাকা লাগাতে পারবেন। এই সকল ধারণা যদি আপনার না থাকে তবে আপনি টাকা লাগালেও লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

    যদি শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে আপনার আগ্রহ থেকে থাকে তবে প্রতি মুহূর্তে লক্ষ্য রাখতে হবে শেয়ার মার্কেটে কোন কোম্পানির শেয়ারের মূল্য কমছে বাড়ছে।

     প্রতিমুহূর্তে বা প্রতিদিন শেয়ারের বাজারদর লক্ষ্য রাখতে গেলে আপনি ইকোনমিক্স টাইমস নিউজ পেপার টি ফলো করতে পারেন। আবার প্রতি মুহূর্তে শেয়ার বাজারের দর দেখতে গেলে আপনি আপনার টিভি থেকে এনডিটিভি চ্যানেলটি লক্ষ্য করতে পারেন।

    বিশেষত এই দুটি মাধ্যম যদি আপনি প্রতিদিন এবং প্রতিমুহূর্তে লক্ষ্য রাখেন তাহলে আপনার শেয়ার কেনার আগেই এ সম্পর্কে অনেক ধারণা জন্মাবে যে কি করে এবং কখন শেয়ারবাজার থেকে শেয়ার কিনব।

     আমি আগেই বলেছি এইখানে যেমন লাভের সম্ভাবনা থাকে ঠিক একই রকম ভাবে প্রচুর সম্ভাবনা থাকে লস হবার। এই কারণে কোন বিষয় না জেনে বা না বুঝে এখানে টাকা লাগানো উচিত নয়। প্রতি মুহূর্তে শেয়ার বাজার বা শেয়ার মার্কেট বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিষয়।

    যেমন একটি ঝুঁকির বিষয়ে আলোচনা করতে চাই সেটি হল ধরুন আপনি একটি সামান্য 1000 টাকার শেয়ার কিনে লস করলেন। আপনার মনের ভিতর কিন্তু এটি কাজ করবে যে ঐ লোকটিকে কি করে আমি পুনরায় তুলে নিয়ে আসতে পারি। এই কারণে আপনি প্রতি মুহূর্তে চাইবেন যে বেশি পরিমাণ টাকা লাগিয়ে ওই টাকাটা তুলে আনার জন্য।

    কিন্তু এটি আপনার আরও বেশি বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে। এই কারণে কখনোই লস হয়ে যাওয়া বিষয়টিকে বেশি পরিমাণে টাকা লাগিয়ে তুলতে যাওয়া শেয়ার মার্কেটে উচিত নয় বলে আমি মনে করি।


    এইজন্য অবশ্যই আমি বারবার বলতে চাইব যে শেয়ার মার্কেটে ব্যবসা বা কেনাবেচা করতে গেলে অবশ্যই সেই সম্পর্কে ভাল করে জানুন ভাল দক্ষতা অর্জন করুন এবং তারপর এখান থেকে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা ইনকাম করুন।

     তবে যদি আপনার শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে আরো বেশি ধারণা প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি বাজারে এমন অনেক শেয়ার মার্কেট অ্যাপ আছে, যেগুলি ইন্সটল করে সেখানে ফ্রী একাউন্ট খোলা যায়।

    এই ধরনের অ্যাকাউন্ট গুলিতে সেই কোম্পানি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনাকে দেয় শেয়ার মার্কেট বোঝার জন্য। কিন্তু মনে রাখবেন যে টাকা তারা দেয় সেটি কখনোই আপনি আপনার ব্যাংকে তুলে নিতে পারবেন না।

    তারা যদি আপনাকে 500 ডলার বা 1 হাজার ডলার দিয়ে থাকে তাহলে সেই টাকা টিকে আপনি ব্যবহার করে সেই আপ্লিকেশন ওয়েবসাইট থেকে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন।

    অর্থাৎ এই সকল কোম্পানিগুলি চাই যে নতুন নতুন গ্রাহক তাদের এই সকল সুবিধাগুলি নিয়ে তাদের থেকে শেয়ার মার্কেটিং করে এজন্য তারা এই ধরনের কিছু ফ্রি অ্যাকাউন্ট করে  শেয়ার মার্কেট শেখার সুযোগ করে দেয়।

    শেয়ার মার্কেট এ ব্যবসা করার আগে বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনার নিখুঁতভাবে ধারণা প্রয়োজন কারণ এখানে অনেক ফ্রট ঢুকে যাওয়ার জায়গা থাকে। বেশিরভাগ কোম্পানিগুলি কিছুদিন পর বন্ধ হয়ে যায়।

   অর্থাৎ তাদের থেকে আপনি যে টাকা দিয়ে শেয়ার কিনেছেন সেই টাকা পুরোটাই তারা লুফে নেয় কিন্তু তার বিনিময়ে আপনি কিছুই পাবেন না। কি কারনে স্টক মার্কেট করতে গেলে অবশ্যই ভালো করে জেনে বুঝে নিন।

    একবার বিষয়টি জেনে বুঝে বা সেই সম্পর্কে আপনার ধারণা হয়ে গেলে তখন সেই কোম্পানি থেকে আপনি শেয়ার কিনতে পারেন। 

    শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কখন কিনব, এর উত্তরে আমি এটাই বলতে চাইব যে কোম্পানির শেয়ার আপনি কিনতে চাইছেন সেই কোম্পানির ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো করে জেনে নিন কতদিন ধরে চলছে সেটা জেনে নিন নিয়ে সেই কোম্পানি যখন কম টাকায় শেয়ার গুলো দেবে তখন আপনি শেয়ার কিনে নেবেন।



শেয়ার মার্কেটে টাকা কিভাবে লাগাবো ? 


  শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কিনতে গেলে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। একটি Demat Account তৈরি করতে গেলে দুইভাবে তৈরি করতে পারবেন। প্রথমত, যারা ব্রোকার অর্থাৎ শেয়ার মার্কেটে মিডিয়া হিসেবে কাজ করে তাদের কাছ থেকে আপনি Demat Account খুলতে পারবেন।

   Demat Account এ আমাদের মোট টাকা রাখা থাকে। যেমন আমরা আমাদের ব্যাংকে যেভাবে টাকা গুলি রাখি ঠিক একই রকম ভাবে এখানে টাকার এগুলো রাখতে পারি।

    সুতরাং আপনাকে শেয়ার কিনতে বা বেচতে গেলে প্রথমেই একটি Demat Account  থাকতে হবে। তা না হলে আপনি শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কিনতে পারবেন না।

    কোম্পানি থেকে কোন শেয়ার কেনার পর যে পরিমাণ আপনার লাভ হবে সেই টাকা আপনার এই Demat Account এ চলে আসবে। হঠাৎ সমস্ত টাকা বা লাভ Demat Account এ থাকবে।

    এই  Demat Account এর সাথে আমাদের ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট যুক্ত করা থাকে তাই আমরা ইচ্ছা করলেই যখন-তখন এখান থেকে টাকা ব্যাংকে ট্রান্সফার করে দিতে পারি।

   Demat Account তৈরি করতে গেলে অবশ্যই আপনার কোন ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে। ওই ব্যাংকের একাউন্টে সঙ্গে আপনার এই Demat Account টি যুক্ত করতে হবে। আর এই সাথে অবশ্যই আপনার প্যান কার্ড যা এড্রেস প্রুফ হিসাবে যুক্ত করতে হবে।


দ্বিতীয়তঃ, আপনি কোন একটি ব্যাংকে গিয়ে আপনার Demat Account টি খুলতে পারেন। যদিও এটি একটু বেশি সমস্যার হয়ে থাকে।

   আমার মতে আপনি যদি কোন একটি ব্রোকার এর কাছ থেকে আপনার Demat Account টি তৈরি করেন তবে বেশি ভালো হবে বলে আমি মনে করি। 

    কেননা যদি আপনি একজন ব্রোকারের কাছ থেকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন তবে প্রথমত আপনি তার থেকে সাপোর্ট পাবেন, ও দ্বিতীয় তো সে অবশ্যই আপনাকে ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য বলবে। কারণ আপনি লাভ করলে তাতে তারও লাভ হবে।

    সুতরাং আমি মনে করি আপনি যদি একজন ব্লগারের কাছ থেকে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন তবে সে ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত তারা অর্থাৎ ব্রোকাররা আপনাকে সাহায্য করার পরিবর্তে টাকা নিয়ে থাকে।

    ভারতবর্ষের এমন কিছু কোম্পানি বা সংস্থা আছে যাদের মাধ্যমে আপনি শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার কিনতে পারেন। আমি আগেই বলেছি এই সকল কোম্পানি থেকে ভালো করে জেনে বুঝে তবে শেয়ার কিনবেন।

    তবে ভারতবর্ষের মধ্যে যে সকল কম্পানি গুলি সবথেকে বেশি পরিমাণে চলে এবং ভালো মানের বলে মনে করা হয় সেগুলি হল - National Stock exchange ( NSE), Bombay Stock exchange (BSE). 

    তবে ভারতবর্ষের এই সকল স্টক মার্কেট থেকে যদি শেয়ার কিনতে হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে সরাসরি এদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে অথবা এদের যারা মেম্বার থাকে তাদের কাছ থেকে আপনি শেয়ার কিনতে পারবেন। এই কারণে এগুলিতে অনেক ঝুঁকি কম থাকে।


 Suppor Level কি ?


      কোন শেয়ার মার্কেটে / share market কোন কোম্পানির শেয়ার ওই মুহূর্তে কতখানি কমে যেতে পারে তা হলো সাপোর্ট লেভেল। সাপোর্ট লেভেল কে তৈরি করা হয় ক্রেতার তার উপর নির্ভর করে।

    একটি সাপোর্ট লেভেল / support level এর জন্য শেয়ার মার্কেটে এর নির্দিষ্ট সীমা রেখা করে দেয়া হয় যা সবচেয়ে নিচে কে নির্দেশ করে থাকে এবং অবশ্যই একটি সময়সীমার মধ্যে একে নির্ধারণ করা হয়।

    সমগ্র বেচাকেনার নিরিখে এই সাপোর্ট লাইনটি বা নির্দিষ্ট সীমারেখাটি উপরে বা নিচে নামতে পারে। কিন্তু এই সাপোর্ট লেভেল কে কিভাবে গণনা করা হয়, সাপোর্ট লেভেল কে গণনা করার বিষয়টি হলো - সাপোর্ট লেভেল এমন একটি সীমারেখা যেখানে বিক্রেতা পরিমাণ কম হয় কিন্তু ক্রেতার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।


Resistance Level কি ? 


    Resistance বা Resistance Level হল কোন স্টক মার্কেটের এমন একটি উচ্চ সীমারেখা যেখানে গিয়ে প্রায় সকল বিক্রেতা তাদের কোম্পানির শেয়ার কে বিক্রি করতে চাই।

    Resistance Level কেমন থাকবে তা নির্ভর করে টাকার অ্যাকশন এর উপর। এটি অনেক টেকনিক্যাল বিষয় গুলি কে নিয়ন্ত্রণ করে রাখে - যেমন ট্রেন্ডলাইন, মুভিং এভারেজ, আইডেন্টিফাই ইত্যাদি।

    Support level আর Resistance Level এর মধ্যে পার্থক্য হল তালিকায়, এই দুটি লেভেল আলাদা আলাদা প্রাইস পয়েন্ট কে দেখে থাকে। স্টক মার্কেট শেয়ার মার্কেট করতে গেলে এই দুটি বিষয়কে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।

    Resistance Level কে আমরা বোঝাতে গেলে বলতে পারি এটি হলো তালিকায় থাকা একটি এমন সীমারেখা যেখানে তিনি ক্রেতার থেকে বিক্রেতারা বেশি পরিমাণে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে চাই। 

    যেহেতু একই সময়ে অনেকগুলো কোম্পানির শেয়ার এখানে বিক্রি করার জন্য বিক্রেতারা আসে তাই এই মুহূর্তে শেয়ার মার্কেট এর দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।



Share Market Down কেন হয় ?


     কখনো কখনো আমরা শুনে বা দেখে থাকি যে শেয়ার মার্কেট এর দাম অনেক কমে গেছে বা শেয়ার মার্কেট এর দাম কখনও বেড়ে যায়। কিন্তু কেন এমন হয় চলুন দেখে নিই - 

১)   শেয়ার মার্কেট / share market কখনো কখনো ডাউন হয়ে যায় এর জন্য প্রধানত যে কারণগুলি দায়ী তার মধ্যে অন্যতম হলো যদি বিশ্বে এমন কোন ঘটনা দুর্ঘটনা ঘটে থাকে যার জন্য দেশের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন শেয়ার মার্কেট পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

     কারণ আন্তর্জাতিক বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যেমন বর্তমানে করুণা মহামারী জন্য সমস্ত বিশ্বের আন্তর্জাতিক বাজারে এরকম অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

২)   কখনো কখনো এমন অবস্থা সৃষ্টি হয় যখন যারা শেয়ার মার্কেট কিনতে চাই তাদের হাতে টাকা থাকে না বা কখনো দেশীয় বাণিজ্যে এমন সমস্যা সৃষ্টি হয় যখন ক্রেতারা পয়সা বিনিয়োগ করতে চায় না তখন শেয়ার মার্কেট এর দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৩)   কখনো কখনো কিছু কোম্পানি বা শেয়ারহোল্ডার তারা আগামী দিনের রসের কথা চিন্তা করে শেয়ার মার্কেটে তাদের শেয়ার খুব কম দামে বেশি দিতে উদ্যত হয়। এই সময় শেয়ার মার্কেটে ওই কোম্পানির শেয়ার মূল্য অনেক কমে যায়। 



আমার মতামত :   শেয়ার মার্কেট / share market বিষয়টি আমরা অনেকবার শুনেছি কিন্তু কি করে এখান থেকে ইনভেস্ট করে টাকা ইনকাম করা যায় বিষয়টি আমরা জানতাম না বা জানলেও গভীর হবে সে সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না।

    এই কারণে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে যে সকল বিষয় গুলি খুব সাধারন বা শেয়ার মার্কেট করতে গেলে প্রথমে জানতে হয় সেই সকল বিষয়গুলো নিয়ে আমি এখানে আলোচনা করলাম।

    তবে অবশ্যই আমি ব্যক্তিগতভাবে বলবো যে শেয়ার মার্কেট প্রতি মুহূর্তে একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় সুতরাং শেয়ার মার্কেট করতে গেলে আপনাকে প্রথমে সমস্ত বিষয়গুলি জেনে তারপরে টাকা লাগানো উচিত।

    আগে সকল বিষয় গুলি জানুন যে কোম্পানির শেয়ার কিনতে চাইছেন সেই কোম্পানি সম্পর্কে ভালো করে রিচার্জ করুন তারপর সেই কোম্পানিতে আপনি আপনার টাকা লাগাতে পারেন।

     আবার টাকা লাগলে যে আপনি লাভ করতে পারবেন এই ইচ্ছা নিয়ে স্টক মার্কেট শেয়ার মার্কেটে আসলে আপনার বিপদ হতে পারে সুতরাং আপনার লাভ-লস 2 হতে পারে ব্যবসার মতো সেটি মাথায় রাখুন।

    যেহেতু শেয়ার মার্কেট / share market একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় তাই ভালোভাবে বুঝে তারপরে আপনার টাকা কোম্পানিতে ইনভেস্ট করবেন। ভালোভাবে বিষয়টি আপনি নিজে শিখুন পেছনে যারা শেয়ার মার্কেট এর সঙ্গে যুক্ত তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিন এবং ভালোমতো বুঝে তবে শেয়ার মার্কেটে একাউন্ট খুলুন।

     আমি ইন্টার্নেট থেকে নানান রকম তথ্য জেনে বুঝে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে যে ধারণা নিয়েছি তা থেকে আমি এগুলো আলোচনা করেছি সুতরাং এদের যদি আপনার ভাল লাগে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করবেন।

    যদি শেয়ার মার্কেট /share market সম্পর্কে অন্য কোন তথ্য আপনাদের জানার থাকে অবশ্যই নিচের কমেন্ট করবেন আমি চেষ্টা করবো পরবর্তীতে সেটি আপডেট করে দেয়ার, ধন্যবাদ।