মোবাইল ফোন ও মোবাইল টাওয়ার কিভাবে কাজ করে

   আধুনিক যুগের সব থেকে সফল ও দ্রুতগতি সম্পন্ন চিন্তা ধারার ফসল হলো মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোন সমস্ত মানব জাতিকে কয়েকশো বছর আগে নিয়ে আস্তে পেরেছে। বর্তমান দিনে এই মোবাইল ছাড়া আমরা একটি মুহূর্ত ভাবতে পারি না।


   হাতের মাঝের এই ছোট্ট ইলেকট্রিক ডিভাইস টি কিভাবে কাজ করে ও এই যন্ত্র টিকে সাহায্য করার জন্য বাইরে থাকা মোবাইল টাওয়ার কিভাবে কাজ করে তা আমরা আজ এখানে আলোচনা করবো - তার আগে দেখে নি এই দুটো বস্তু কি ( মোবাইল ও মোবাইল টাওয়ার )


মোবাইল কি ? 

  কি এক অদ্ভুত প্রশ্ন তাই না ! যা হাতে নিয়ে বসে আছি যাকে নিজের ইচ্ছা মত নিজের করে ব্যাবহার করে থাকি সে যে কি তাকে এখন আমাদের জানতে হবে !! 


  তবুও বলি, যাকে বা যে যন্ত্র কে কথা বলার জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যে খুব সহজে বহন করে নিয়ে যাওয়া যায় তাই হলো মোবাইল ফোন। 


  যদিও এখন আমরা মোবাইল ফোন কে শুধু মাত্র কথা বলার জন্য ব্যাবহার করিনা। সমস্ত রকম ইন্টারনেট সম্পর্কিত, বা সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত কাজের জন্য ব্যাবহার করে থাকি। কিন্তু এই যে হাতের মধ্যে থাকা ছোট্ট একটা ডিভাইস যার নাম মোবাইল তা কিভাবে কাজ করে সে কথা কি কখনো আপনার মাথা তে এসেছে ?? 


  যদি না আসে তবে মোবাইল আর্ তার সহযোগী মোবাইল টাওয়ার কি ভাবে কাজ করে তা এখানে আমরা জেনে নেব। তার আগে দেখে নি যে মোবাইল টাওয়ার কি ?


মোবাইল টাওয়ার কি ?

    মোবাইল কাজ করে দুটি মাধ্যমে ট্রান্সমিট এবং রিসিভার এ কিভাবে মোবাইলকে সাহায্য করার জন্য যে টাওয়ার বসানো হয় সেটিও ট্রান্সমিট রিসিভারের কাজ করে। মোবাইলকে সাহায্য করার জন্য বসানো হয় মোবাইল টাওয়ার বলি। যারা মোবাইলে সিগন্যাল পৌঁছে দিয়ে মোবাইল কে ইন্টারনেট এর সঙ্গে যুক্ত করে।

মোবাইল ফোন ও মোবাইল টাওয়ার কিভাবে কাজ করে


এবারে আমরা দেখে নেবো যে মোবাইল ও মোবাইল টাওয়ার কিভাবে কাজ করে। 


মোবাইল তো আমরা সবাই ব্যবহার করে থাকি, যখন আমাদের কাউকে ফোন করতে হয় তখন তার নাম্বারটা আমরা আমাদের ফোনে টাইপ করি তারপর ডায়াল করি এবং সাথে সাথে সেই ফোনটা তার কাছে চলে যায়। আমরা যখন কাউকে ফোন করি তখন হঠাৎ করে সঙ্গে সঙ্গে কি করে সেই ব্যক্তির কাছে বা তার মোবাইলে আমাদের কলটা পৌঁছে যায় কখনো ভেবে দেখেছেন কি। 


 মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে বা মোবাইল ফোন সম্পর্কে জানার আগে টেলিফোন সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। মোবাইলের আগে আমরা টেলিফোন ব্যবহার করতাম। সেই ক্ষেত্রে যখন একটা টেলিফোন থেকে অন্য টেলিফোনে কল করা হতো সেই টেলিফোন কে কানেক্ট করার জন্য এবং কথা বলার জন্য একটা ডিরেক্টর লাইন পাতা থাকতো।


  যাকে আমরা ডাইরেক্ট লাইন বলছি তা হলো তারের মাধ্যমে অর্থাৎ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টেলিফোন তারের মাধ্যমে যোগাযোগ করা থাকত।  অর্থাৎ দুই প্রান্তের মানুষের যোগাযোগ হতো তারের মাধ্যমে আর তারের মাধ্যমে এক প্রান্তের কথা অন্য প্রান্তে পৌঁছে যেত কিন্তু বর্তমানে আমাদের হাতে যে মোবাইল ফোন এসেছে তাতে কোন তারের ব্যবহার নেই।


   এটাই হলো আধুনিক যুগের অন্যতম বিস্ময়কর একটি ঘটনা যেখানে তার ছাড়া এক প্রান্তের কথা অন্য প্রান্তে তাও কোনরকম দেরি না করে যোগাযোগ করতে সক্ষম হচ্ছে। 


   আসলে আমরা যখন মোবাইল থেকে ফোন করি তখন আমাদের মোবাইল থেকে একটা সিগন্যাল প্রথমে ওই কাছে থাকা মোবাইল টাওয়ারে পৌঁছায়, বলতে পারি কাছে থাকা আমাদের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার করে যে কোম্পানি তার টাওয়ারের সঙ্গে আমাদের মোবাইল সবসময় যুক্ত থাকে তারবিহীনভাবে। 


    আর আমাদের মোবাইল থেকে অটোমেটিক ভাবে একটা সিগন্যাল পৌঁছাতে শুরু করে কাছাকাছি থাকা আমাদের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এর মোবাইল টাওয়ারে। 


  মনে করুন আপনি এখন দিল্লিতে আছেন আর এখান থেকে আপনি একজনকে ফোন করবেন যে কিনা মুম্বাইতে অবস্থান করছে আপনি আপনার মোবাইল ফোন বের করে তার নাম্বার টি সিলেক্ট করে ডায়াল করার সঙ্গে সঙ্গে তার কাছে ফোন ডুকছে অর্থাৎ এক্ষেত্রে কোনো রকম দেরি হচ্ছে না।


   ভাবুন তো যদি দীর্ঘ এই দূরত্ব কোন ভাবে অতিক্রম করতে হতো তাহলে ফোনটা ঢুকতে কত সময় লাগতো, এই কাজকে সহজ করে দিয়েছে মোবাইল টাওয়ার গুলো। অর্থাৎ ছোট্ট মোবাইল ডিভাইসের এত বেশি ক্ষমতা থাকেনা যে কয়েক শ কিলোমিটার দূরত্বের কোন মোবাইলে গিয়ে সে যোগাযোগ করতে পারবে।


   এই কারণে এই মোবাইল টাওয়ার গুলো বিভিন্ন মোবাইল ফোনের সঙ্গে বিনা তারের মাধ্যমে একটা সিগনালে যুক্ত থাকে। এখানে মোবাইল ও মোবাইল টাওয়ার দুটো পদ্ধতিতে কাজ করে এক হলো সিগন্যাল ট্রান্সমিট করা ও সিগন্যাল রিসিভ করা।


সিগন্যাল ট্রান্সমিট কি

    আগেই বলেছি যে মোবাইল ফোনমোবাইল টাওয়ার দুটি কাজ করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কোন ফোন করার জন্য বা অন্য জায়গার ফোন রিসিভ করার জন্য তার মধ্যে একটি হলো সিগন্যাল ট্রান্সমিট করা। 


   আপনার ফোনে কেউ ফোন করতে চাইছে তখন সেই ব্যক্তির ফোন যে মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত প্রথমে বার্তাটি সেই মোবাইল টাওয়ারের মারফতে পৌঁছাবে আপনার কাছাকাছি থাকা কোন এক মোবাইল টাওয়ারে এরপর ওই মোবাইল টাওয়ার আপনার মোবাইলে একটি সিগন্যাল পাঠাবে আর এর জন্য আপনার মোবাইলে সেই ব্যক্তি থেকে আসা ফোনটি ঢুকবে।


    অর্থাৎ সেই ব্যক্তি যে সিগনাল পাঠানো টাওয়ারের মারফত এবং টাওয়ার আবার আপনার মোবাইলের সিগনাল পাঠানো এটি হলো সিগন্যাল ট্রান্সমিট করা অর্থাৎ আপনার ফোনে সিগন্যালটি টাওয়ারের মারফত ট্রান্সমিট হয়ে প্রবেশ করল। সুতরাং মোবাইলের সিগনাল কে টাওয়ারের দিকে প্রেরণ করা বা অন্য ফোনে পৌঁছানোর ঘটনাটা হলো সিগন্যাল ট্রান্সমিট। 


   মোবাইল ফোন বা টাওয়ার দুজনেরই এই সিগন্যাল ট্রান্সমিট ক্ষমতা থাকতে হয়। ধরুন আমি যখন ফোন করব তখন আমার ফোন থেকে সিগনাল ট্রান্সমিট হবে প্রথমে মোবাইল টাওয়ারে পৌঁছাবে সেখান থেকে সিগনাল যে ব্যক্তির কাছে ফোন করবো তার কাছাকাছি টাওয়ারে রিসিভ হবে এবং সেই রিসিভ সিগন্যাল আবার ট্রান্সমিট হয় সেই ব্যক্তির মোবাইলে পৌঁছাবে। পুরো ঘটনাটি কে বলা হয় সিগন্যাল ট্রান্সমিট হওয়া।


সিগন্যাল রিসিভ কি ? 

  সিগন্যাল রিসিভ হলো সিগন্যাল ট্রান্সমিট এর উল্টো অবস্থা যেখানে আগে আপনি একটি সিগন্যালকে টাওয়ারে প্রবেশ করার ছিলেন, ঠিক সিগন্যাল রিসিভ করা হলো মোবাইল টাওয়ার থেকে আসা কোন সিগন্যাল কে আপনার ফোন গ্রহণ করছে এই ঘটনাটি।


  তাহলে বলতেই পারি যে মোবাইল ফোন ও মোবাইল টাওয়ারের কাজ একই রকম, সিগন্যালকে গ্রহণ করা এবং কখনও কখনও সিগন্যালকে প্রেরণ করা। মোবাইল টাওয়ারে রিসিভার ট্রান্সমিট দুটি অপশন থাকে আবার একইভাবে আপনার হাতে থাকা ছোট মোবাইল টি তেও রিসিভার অপশন ও ট্রান্সমিট অপশন দুটিই থাকে। 


মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে 

   ধরুন দেখা গেল আমি কাউকে ফোন করেছি এবার আমাদের ফোনে থাকে মাইক্রোফোন, আর মাইক্রোফোনে যখনই আমরা কোন কিছু বলি সঙ্গে সঙ্গে অটোমেটিক্যালি সেটা Digital সিগনালে কনভার্ট হয়ে যায়, তার মানে হলো কম্পিউটারের যে বায়োনারি ল্যাঙ্গুয়েজ তাতে কনভার্ট হয়ে যায়।


   এবার 0 ও 1 এ ভাগ হয়ে যাওয়া আমাদের ভয়েস আমাদের ফোনে লাগানো যে এন্টিনা থাকে অর্থাৎ ট্রান্সমিট অপশন থাকে তা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের পরিণত হয় এবং ওই সিগন্যাল বা তরঙ্গ আমাদের কাছাকাছি থাকা কোন মোবাইল টাওয়ারে পৌঁছায়। তারমানে আমরা বলতে পারি প্রথমে আমাদের কথাগুলি ডিজিটাল ফরমেটে ভাগ হয় এবং তারপর সেগুলো আবার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েব বা রেডিও ওয়েব এ কনভার্ট হয় তবে তা টাওয়ার পর্যন্ত পৌঁছাবে না।


   যে সমস্ত ঘটনাগুলো আগে ঘটল তা সবই আমাদের মোবাইল ফোনের ভিতরে ঘটে, তারপর মোবাইল ফোনে ঘটা সমস্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া তরঙ্গটি পৌঁছায় মোবাইল টাওয়ারে। আর মোবাইল টাওয়ারে তরঙ্গটি পৌঁছানোর পর আমরা যাকে ফোন করতে চাই তার ফোনটি রিসিভার এর মত কাজ করতে শুরু করবে।


  অর্থাৎ আমাদের মোবাইল থেকে ট্রান্সমিট হয়ে যাওয়া তরঙ্গটি টাওয়ারে যা পৌঁছাবে তারপর টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত থাকা সেই ফোনটি রিসিভারের মত কাজ করবে। অর্থাৎ টাওয়ার থেকে একই রকম হবে রেডিও তরঙ্গ বা ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক তরঙ্গ সেই ফোনে পৌঁছাবে।


   যতক্ষণ সেই ব্যক্তি ফোন রিসিভ না করছে ততক্ষণ পর্যন্ত টাওয়ার থেকে যে তরঙ্গ পৌঁছায় তা একই রকমভাবে থাকে এবং ফোন রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে ওই তরঙ্গটি মোবাইলের মাধ্যমেই ডিজিটাল ভাবে কনভার্ট হয়ে মোবাইলে থাকা স্পিকারের মাধ্যমে আবার ভয়েসে পরিণত হবে।

   তাহলে যে ফোন করে তার মোবাইল থেকে প্রথমে আমাদের কথা ডিজিটাল হবে কোডে পরিণত হয় এবং সেই কোড ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গে পরিণত হয় এবং টাওয়ারে পৌঁছায়। টাওয়ারে পৌঁছানোর পর সেই তরঙ্গ আবার সেই ব্যক্তির মোবাইলে পৌঁছাবে একইরকমভাবে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বা রেডিও তরঙ্গ হিসেবে তারপর আবার ডিজিটাল ভাবে সেই কোড ভয়েসে পরিণত হয়।

   

মোবাইল টাওয়ার কিভাবে কাজ করে

   এতক্ষণ মোবাইল ও মোবাইল টাওয়ারের বিভিন্ন কাজ মোটামুটি বুঝলেও মোবাইল টাওয়ার টা আসলে কিভাবে কাজ করে তা বুঝিনি তার কারণ পৃথিবীতে শুধুমাত্র একটা বা দুটো টাওয়ার নেই যে টাওয়ার থেকে আপনি ফোন করছেন আর দ্বিতীয় টাওয়ার থেকে যাকে ফোন করেছেন সে রিসিভ করল।


   আশা করি এই বিষয়টি না পড়া পর্যন্ত আপনার কাছে পরিষ্কার হবে না তাহলে চলুন এ বিষয়টি আরো ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধরনের নিয়ে নেই। কারণ পৃথিবীতে কোটি কোটি টাওয়ার আছে আর আপনি যাকে ফোন করছেন ঠিক কিভাবে সেই টাওয়ারের কাছে পর্যন্ত আপনার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ বা রেডিও তরঙ্গ পৌঁছায় এ বিষয়টি একটি মজাদার বিষয় ও গুরুত্বপূর্ণ বটে।


   এক্ষেত্রে আপনার জেনে রাখা ভালো যে টাওয়ারের এমন কোন নিজস্ব ক্ষমতা থাকেনা যার মাধ্যমে কোন টাওয়ার সে নিজেই বুঝতে পারে যে আমার কাছে আসা বার রিসিভ হওয়া এই সিগন্যালটি কোন টাওয়ারে পৌঁছাতে হবে বা কোন টাওয়ারে পৌঁছালে এই সিগন্যালটি কোন ফোনে রিসিভ হবে।


   বিভিন্ন এলাকাগুলোকে নির্দিষ্ট কিছু টাওয়ার এর মাধ্যমে চিহ্নিত করে দেয়া হয় অর্থাৎ সেই এলাকার সমস্ত মোবাইল ফোন গুলি ওই টাওয়ার এর আন্ডারে থাকবে এবং তার থেকে সিগনাল ট্রান্সমিট বা রিসিভ হবে। এবার যে টাওয়ার থেকে আমাদের মোবাইলের সিগনাল আসে সেই টাওয়ারের এলাকাকে বলা হয় বেজ স্টেশন BTS


    যে বেজ স্টেশন এর সাথে আমাদের মোবাইল সংযুক্ত থাকে সেই টাওয়ার টি আবার যুক্ত থেকে MSC ( Mobile Swiching Centre ) এর সাথে। বলতে পারেন প্রতিটি এলাকা তে এই মোবাইল সুইচিং সেন্টার থাকে এবং এখানে আমাদের ফোনের সব রকম ইনফর্মেশন থাকে।


  এবার আমাদের কাছে যে টাওয়ার থাকে তার কাজ হলো আমাদের সিগন্যাল কে MSC পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। আর এই MSC এর কাজ হলো আপনার কাছ থেকে যে সিগন্যাল এসেছে তাকে যেখানে আপনি ফোন করেছেন সেই খানে পৌঁছে দেওয়া।


   তবে MSC সরাসরি কোনও সিগনলকে মোবাইল ফোনে পাঠাতে পারে না। আপনি যে এলাকা তে ফোন করেছেন সেই এলাকার MSC তে সিগনল পৌঁছানোরকাজ করে আপনার এলাকার মোবাইল সুইচিং সেন্টার


   এবার আপনার মোবাইল সংক্রান্ত সমস্ত ডেটা ওই MSC তে সঞ্চিত হবে। এর মানে হলো আপনার এলাকা তে তো বটেই সাথে সাথে যেখানে ফোন করেছেন সেই এলাকার মোবাইল সুইচিং সেন্টার টি তেও আপনার মোবাইল সংক্রান্ত তথ্য জমা হবে। যেমন আপনার মোবাইল নম্বর, IMEI নম্বর, কতো ব্যালান্স আছে সমস্ত কিছু।


   তার পর আপনি যেখানে ফোন করতে চাইছেন সেই এলাকা কে নির্দিষ্ট করে MSC নির্দিষ্ট মোবাইল টাওয়ার এ আপনার ফোনে থেকে আসা ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক তরঙ্গ টি কে সেন্ড করবে । তার পর সেই ব্যক্তির মোবাইল ফোন আপনার পাঠানো বার্তা কে রিসিভারের মত গ্রহণ করবে। 


 👉👉  আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে মোবাইল মোবাইল টাওয়ার কাজ করে। যদিও কাজ টিকে অনেক ধির সময়ের মনে হতে পারে আপনার কাছে কারণ আপনার দেওয়া ফোন টি প্রথমে process হবে তার পর মোবাইল টাওয়ার এ যাবে সেখান থেকে আপনার কাছাকাছি MSC তে তারপর যেখানে ফোন করেছেন সেখান কার এমএসসি তে তার পর যাকে ফোন করেছেন সেই ব্যক্তির নিকট কোনো মোবাইল টাওয়ার হয়ে আপনার ফোনে সেই ব্যক্তির মোবাইল এ রিসিভ হবে। 


কিন্তু এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া টি খুব কম সময়ে হয়, মাত্র কয়েক মিলি সেকেন্ড এর ব্যাবধানে ঘটে যাকে আমরা অনুভব করতেও পারি না। আশা করি মোটামুটি তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পেরেছি। এই রকম আরো তথ্য জানতে নিচে দেওয়া লিংক গুলি দেখতে পারেন। 


READ MORE