হোস্টিং কি ? হোস্টিং কয় প্রকার ও কি কি ? কিভাবে ওয়েব হোস্টিং কিনতে পারি ? - Kivabe.In

  আমরা অনলাইনে যখনই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পরিকল্পনা করি তখনই প্রধান দুটি জিনিস আমাদের জানতে হয় প্রথমটি হলো ডোমেইন এবং দ্বিতীয়টি হলো হোস্টিং / Hosting। হোস্টিং / Hosting এবং ডোমেইন ছাড়া একটি ওয়েবসাইট বানানো কোনভাবেই সম্ভব নয় কিন্তু তার আগে জানতে হবে যে একটি হোস্টিং কি এবং তা কয় প্রকারের হয়ে থাকে। 

    এর আগে আমরা ডোমেইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি সেখানে ডোমেইন কি এবং ডোমেইন কয় প্রকার হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করা আছে যদি প্রয়োজন হয় আপনি এখানে ক্লিক করে সম্পর্কে বিস্তারিত আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। এখন আসি যে হোস্টিং কি সেই বিষয়ে।

হোস্টিং ( Hosting ) কি ? 


    হোস্টিং / Hosting কি প্রশ্নের উত্তরে প্রথমেই বলব যেখানে হোস্ট করা যায় বা যে হোস্ট করে তাই হল হোস্টিং। এবার হোস্টিং সম্পর্কে বোঝাতে গেলে বিস্তারিতভাবে একটু আপনার জানা দরকার। ধরুন আপনার বাড়ির বিভিন্ন রান্না বান্না করার জন্য আপনি বিভিন্ন সবজি ও মালপত্র কিনে থাকেন। এবার সেই আপনার কেনা বিষয়গুলি আপনি যেখানে রাখেন অর্থাৎ যাকে আমরা বাংলায় বলি ভাঁড়ার-ঘর সেটা হলো এক ধরনের আপনার বাড়ির হোস্টিং / Hosting রুম।

হোস্টিং কি ? হোস্টিং কয় প্রকার ও কি কি ? কিভাবে ওয়েব হোস্টিং কিনতে পারি ?
Kivabe.in/Hosting

 
    এবার আপনি যখন অনলাইনে বা ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে যাবেন সেটি একান্ত ভাবে আপনার ওয়েবসাইট বা একটি ঠিকানা হবে যেমন Kivabe.in হলো একটি ইন্টারনেট এর ঠিকানা। এবার এই ঠিকানাই যদি কেউ পৌঁছায় তাহলে সেখানে যদি কিছু রাখা থাকে তবে সে কিছু দেখতে পাবে কিন্তু যদি না থাকে তাহলে কিছুই দেখা সম্ভব নয়। কিন্তু আসল বিষয়টি হলো একটি ডোমেইন থাকলেই তাহলে কোন দর্শক ওয়েবসাইটে সে কিছুই পাবে না।
  
    এর জন্য প্রয়োজন আমাদের ওয়েবসাইটে যে সমস্ত বিষয়গুলি আমরা লিখব বা যে সকল ছবি ও ভিডিও গুলি রাখবো তাদেরকে রাখার মত একটি জায়গা। যে জায়গাতে আমাদের ওয়েবসাইটের সমস্ত বিষয়গুলি সঞ্চিত থাকবে এবং কোন দর্শক যদি আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে তাহলে সেখান থেকে শেষ এই বিষয়গুলি দেখতে পাবে। 

    আশা করি আপনাদের হোস্টিং কি ? ( What Is Hosting ? ) এই বিষয়টি বোঝাতে সমর্থ হলাম। হোস্টিং হলো এমন একটি ইন্টারনেটে জায়গা বা স্থান যেখানে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য কে সঞ্চিত করে রাখতে পারি। আশা করি এবার বিষয়টি আরো পরিস্কার হলো। তাহলে এটাও বুঝতে পারলেন যে শুধুমাত্র একটি ডোমেইন কিনলেই আমাদের ওয়েবসাইট সম্পূর্ণভাবে গঠন হয় না।

    সেই ওয়েবসাইটকে যথাযথভাবে বিভিন্ন বিষয় বস্তু সঙ্গে যুক্ত করতে গেলে আমাদের একটি স্থানের প্রয়োজন হয় যে স্থানে থাকবে আমাদের ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিষয়গুলি সেই স্থানকে আমরা টেকনিক্যাল ভাষায় বলি হোস্টিং / Hosting। এবার আমরা দেখে নেবো যে হোস্টিং গুলি কত প্রকারের ( Types Of Hosting ) হয়ে থাকে।

হোস্টিং কত প্রকারের ( Types Of Hosting ) ?


    উপরে আমরা বিস্তারিত জানলাম যে আসলে হোস্টিং বিষয়টি কি এবার এখানে জেনে নেবো যেই হোস্টিং কত প্রকারের হতে পারে। এই বিষয়টিকে বোঝার জন্য আপনাদের একটু বাস্তব দৃষ্টি দিয়ে বুঝতে হবে ধরুন আপনি কোথাও ঘর বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন যদি একটি রুম কে দু'জনে শেয়ার করে থাকেন তাহলে দুজনে থাকতে পারবেন সেক্ষেত্রে সেই রুমে জায়গাটা দুজনে কম ব্যবহার করতে পারবেন। 

    আশা করি আমার কথা বুঝতে পারলেন যে আমি কি বোঝাতে চাইছি ঠিক এই সবের উপর নির্ভর করে হোস্টিং গুলিকেও বিভিন্ন ভাবে ভাগ করা যায় সেই বিস্তারিত ভাগ গুলি সম্পর্কে নিচে এক এক করে আলোচনা করা হলো। ইন্টারনেটের জন্য বা ওয়েব হোস্টিং যে প্রকারের সেই হোস্টিং গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো 

শেয়ার্ড হোস্টিং ( Shared Hosting )


   ইন্টারনেটের এই ওয়েব হোস্টিং টি এমন একটি বিষয় যা আপনি অন্যের সঙ্গে শেয়ার বা ভাগাভাগি করে নিয়ে সেখানে আপনার ওয়েবসাইটটিকে রাখতে পারেন। এই ধরনের হোস্টিং কে বোঝানো যেতে পারে যে একটি বিশাল হল ঘরের মধ্যে অনেকজন একসঙ্গে বসবাস করা। 

Shared Hosting এরমধ্যে অনেকগুলি ওয়েবসাইটকে রাখা হয়। পৃথিবীতে যত গুলি ওয়েবসাইট হোস্টিং এর উপর নির্ভর করে চলে তার বেশিরভাগ চলে এই শেয়ার্ড হোস্টিং এর উপর নির্ভর করে। আশাকরি বুঝতে পারলেন যে শেয়ার্ড হোস্টিং কি। আবারও বলি যখন একটি মাত্র রুম বা সার্ভার কে একসঙ্গে অনেকগুলো মানুষ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে তখন তা হয় শেয়ার্ড রুম বা শেয়ার্ড হোস্টিং। 

শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ( Advantage Of Shared Hosting )


  • শেয়ার্ড হোস্টিং গুলি অনেক কম মূল্যে পাওয়া যায় সুতরাং অনেক কম মূল্য দিয়ে এই ধরনের হোস্টিং গুলিকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
  • যারা নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাদের জন্য এই ধরনের শেয়ার্ড হোস্টিং গুলি খুব উপকারী হয়ে থাকে।

শেয়ার্ড হোস্টিং এর অসুবিধা ( Disadvantage Of  Shared Hosting )


  • শেয়ার্ড হোস্টিং গুলি যেহেতু একটি বাসা কে ভাগ করে ব্যবহার করার মত তাই এটাতে পরিমাণ বা জায়গা যাকে আমরা ইন্টারনেটে স্টোরেজঃ বলি তা অনেক কম পাওয়া যায়।
  • যদি আপনার ওয়েবসাইটটি একটু জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তখন তাকে চালানোর মতো ক্ষমতা এই ধরনের হোস্টিং গুলি থাকে না।
  • যেহেতু শেয়ার্ড হোস্টিং গুলি সস্তার হয় তাই এরা পরিষেবা অনেক কম সময়ে দিয়ে থাকে যেগুলি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রাঙ্ক করার জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করে।


ভিপিএস / VPS ( Virtual Private Server ) হোস্টিং 


    VPS হোস্টিং এর আসল নাম হল ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার হোস্টিং ( Virtual Private server )। ভিপিএস হোস্টিং আসলে শেয়ার্ড হোস্টিং এর বিপরীত। আমরা শেয়ার্ড হোস্টিং নিয়ে আলোচনা করার সময় একটি রুম কে শেয়ার করে নেওয়ার ব্যাপার দিয়ে তুলনা করেছিলাম। কিন্তু এখানে একটি রুম বা একটি ইন্টারনেট সার্ভার এর মালিক হলেন আপনি নিজে যেটিকে আপনার কারো সঙ্গে শেয়ার বা ভাগাভাগি করার প্রয়োজন হয় না। 

     ভিপিএস হোস্টিং ভার্চুয়াল ভাবে বা ইন্টারনেটে এমন একটি পার্সোনাল ব্যক্তিগত রুম যেখানে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না বা অন্য কারো প্রবেশের হাত থাকবে না। এটি একটি নির্দিষ্ট রুম শুধুমাত্র আপনার জন্য ঢাকা থাকে যার পাসওয়ার্ড বা চাবিও আপনার ব্যক্তিগত। সাধারণত এই ধরনের হোস্টিং গুলিতে বড় বড় ওয়েবসাইটগুলোকে হোস্ট করা হয়। এবার এই ভিপিএস হোস্টিং এর বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা গুলি দেখে নেব।

ভিপিএস হোস্টিং এর সুবিধা ( Advantage Of VPS Hosting )


  • যেহেতু ভিপিএস হোস্টিং পার্সোনাল তাই অনেক বেশি সুরক্ষিত শেয়ার্ড হোস্টিং থেকে।
  • শুধুমাত্র একজন ব্যবহারকারীর জন্য এই ধরনের সার্ভার গুলি রাখা হয় এই কারণে খুব ভালো পারফর্মেন্স বা পরিষেবা দিয়ে থাকে ভিপিএস হোস্টিং।
  • যেহেতু এই হোস্টিং গুলির কোনরকম শেয়ার করার প্রয়োজন নেই তাই এই ধরনের হোস্টিং গুলি অত্যাধিক পরিমাণে ওয়েবসাইট ট্রাফিক কন্ট্রোল করতে পারে।

ভিপিএস হোস্টিং এর অসুবিধা ( Disadvantage Of  VPS Hosting )


   এই ধরনের ভিপিএস হোস্টিং গুলির তেমন কোন অসুবিধা থাকে না শুধুমাত্র একটি সাধারণ অসুবিধা হলো - 
  • ভিপিএস হোস্টিং শেয়ার্ড হোস্টিং এর থেকে অধিক মূল্যবান হয়ে থাকে যাকে বহন করা একজন নতুন ব্লগার এর জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।


ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং ( Dedicated Web Hosting )


    আমরা এত সময় শেয়ারড ওয়েব হোস্টিং ও ভিপিএস ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কে জেনেছি। যেখানে শেয়ার্ড হোস্টিং কে আমাদের অন্য সকলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে হয় সেখানে শুধুমাত্র একটি সার্ভারকে একজনের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হয় ভিপিএস ওয়েব হোস্টিং এ। কিন্তু ডেডিকেটেড সার্ভার গুলিতে শুধুমাত্র একটি সার্ভার নয় একটি স্টেশনের যতগুলি সার্ভার থাকে সবগুলিকে ডেডিকেটেড করা হয় একজন ব্যবহারকারীর জন্য।

    বিশ্বের বড় বড় সকল কম্পানি গুলি এই ধরনের ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং গুলি বিভিন্ন কম্পানি গুলি নিজেদের জন্য তৈরি করে নেই। যেমন অ্যামাজন কোম্পানি তার নিজের ডেডিকেটেড সার্ভার তৈরি করেছে যাকে আবার কারা হোস্টিং হিসেবে বিক্রিও করে থাকে ( AWS ) । এবার দেখে নেব এই ধরনের ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং গুলির সুবিধা ও অসুবিধা।

ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং এর সুবিধা (Advantage Of  Dedicated Web Hosting )


  • অত্যাধিক পরিমাণে ট্রাফিক বা ভিজিটর খুব সাবলীলভাবে এই হোস্টিং গুলি বহন করতে পারে।
  • উত্তর দিক সুরক্ষিত হয় এই ধরনের ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং গুলি।
  • অতি উচ্চমানের পরিষেবা দিতে সক্ষম ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং গুলি।

ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং এর অসুবিধা ( Disadvantage Of  Dedicated Web Hosting )


  • এটি একটি বড় ফ্ল্যাট এর মত সুতরাং তাকে কেনা বা তার উপর একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা সাধারন ব্লগার এর পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। কারণ এর ব্যবহার করার ক্ষমতা সাধ্যের বাইরে।


ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং ( Cloud Web Hosting )


    পৃথিবীতে যত পরিমাণে ওয়েব হোস্টিং আছে তাদের মধ্যে এটি সবথেকে ভরসাযোগ্য। ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং গুলি একসঙ্গে অনেক সার্ভারকে যুক্ত করে গঠিত হয়। যে কারণে এই ধরনের সার্ভার গুলি বা ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং গুলি খুব কম পরিমাণে ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিং এর মতনই উচ্চমানের ট্রাফিককে খুব সহজেই বহন করে নিতে পারে।

     আমরা ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং এর বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা গুলি এবার দেখে নেব। কারণ বিভিন্ন ওয়েব হোস্টিং গুলির সমস্যা অসুবিধা দুটি থাকে।

ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং এর সুবিধা ( Advantage Of Cloud Web Hosting )


  • ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং একসঙ্গে অত্যাধিক মাত্রার পরিষেবা দিতে পারে বা ভিজিটরকে বহন করতে পারে।
  • এই ধরনের ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং গুলির সার্ভার সমস্যা বা সার্ভার ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

ক্লাউড ওয়েব হোস্টিংয়ের অসুবিধা ( Disadvantage Of Cloud Web Hosting )


  • ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং গুলি কোন ওয়েবসাইটের জন্য মূল যোগাযোগের জায়গাটি আমাদের সামনে খুলে রাখে না। অর্থাৎ যাকে রুট অ্যাক্সেস / Root Access বলে তা দেয় না। 
  • এই ধরনের ক্লাউড ওয়েব হোস্টিং গুলি অতি মূল্যবান হয়ে থাকে।


হোস্টিং কিভাবে কিনতে হয় ( How To By Web Hosting ) ? 


    আমরা এতক্ষণে জানলাম যে হোস্টিং কি এবং তার প্রয়োজন কোথায় ও বিভিন্ন প্রকার হোস্টিং তাদের সুবিধা-অসুবিধা। কিন্তু এখন জানতে হবে যেটি হোস্টিং কিভাবে কিনতে হয়। চলুন তাহলে দেখে নি যে কিভাবে হোস্টিং কিনতে হয়। 

    হোস্টিং কেনা তেমন কোন বড় বিষয় না। শুধু কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রাখলেই খুব সহজেই যে কোন হোস্টিং কেনা সম্ভব। একটি হোস্টিং কিনতে গেলে প্রথমেই আপনার একটি ইমেইল আইডি থাকতে হবে। যেকোনো ধরনের ইমেইল আইডি হলেই হোস্টিং কেনা যাবে, আপনার ইমেইল আইডি হতে পারে জিমেইল বা ইয়াহু বা মাইক্রো সফট এর।

    এবার দ্বিতীয় যে কাজটি করতে হবে তা হল আপনাকে প্রথমে ঠিক করতে হবে আপনি কোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানি থেকে ওয়েব হোস্টিং কিনতে চাইছেন। ওয়েব হোস্টিং পরিষেবা দিয়ে থাকে এরকম কয়েকটি হোস্টিং কোম্পানি হলো - Bluehost.com Godaddy.com Hostinger.com Hostgator.com Resellerclub.com Intraserver.com ইত্যাদি। 

    এছাড়াও অনেক ছোট বড় হোস্টিং কোম্পানি আছে আপনি সেগুলোর মধ্যে একটিকে নিজের ইচ্ছামত বেছে নিতে পারেন। হোস্টিং কোম্পানি বেছে নেওয়ার পর তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে বিভিন্ন রকম প্লান দেখতে পাবেন। যেমন উপরে আলোচনা করেছি সে রকম শেয়ার্ড হোস্টিং ভিপিএস হোস্টিং ডেডিকেটেড হোস্টিং ইত্যাদি। 

    এখান থেকে বেশি নিতে হবে কোন হোস্টিং কি আপনি কিনতে চাইছেন। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য আলাদা করে হোস্টিং পাওয়া যায় আপনি ইচ্ছা অনুযায়ী সেটিও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনার প্যাকেজ সিলেক্ট করার পর কতদিনের জন্য আপলোড দিতে চাইছেন তা ঠিক করতে হবে। 

    ঠিক করার পর আপনাকে ওই ইমেইল আইডি দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে ওই ওয়েবসাইটে এবং একটি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। মনে রাখতে হবে এই ইমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড আপনার পরবর্তীতে খুব প্রয়োজনীয় হবে। এবার নির্ধারিত স্টেপ গুলি পরপর করলে এবং যথাযথ ভাবে করলে আপনার কাছে শেষ পর্বে নির্ধারিত টাকা পেমেন্ট করার জন্য বলবে। এখান থেকে টাকা পেমেন্ট করলেই আপনি যে প্যাকেজ সিলেক্ট করেছেন সেই প্যাকেজের পোস্টিং দিয়ে আপনি কিনে নিতে পারেন।

     এছাড়া যদি আপনাদের হোস্টিং কেনার ( Buy A Hosting ) আর কোন বিষয়ে জানার থাকে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করলে আমি তা পোস্ট করার আগ্রহ জানাবো।

READ MORE 


আমার মতামত ::  ওয়েব হোস্টিং কি ( What Is Web Hosting ? ) এবং তা Hosting কত প্রকারের হয় তাদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সর্বশেষে আমি এটা বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে কিভাবে ওয়েব হোস্টিং আমরা কিনতে পারি। আশা করি এই সকল বিষয়গুলি আপনি আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী বুঝতে পেরেছেন। যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে আমাদের এই লেখাটি সার্থক। 

     কোন ওয়েব হোস্টিং টি উপযুক্ত বা ভালো সেটি আপনি নিজেই আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবং সেই অনুযায়ী আপনার ওয়েব হোস্টিং কেনার ইচ্ছা থাকলে আপনি ভাল ওয়েব হোস্টিং কি কিনবেন বলে আশা রাখি। যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে অবশ্যই মতামত জানাবেন এই ধরনের পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ টি ফলো করে রাখতে পারেন ধন্যবাদ।